‘কৃষি পণ্যকে’ প্রোডাক্ট অব দ্যা ইয়ার ঘোষণা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

২০১৯ সালে কৃষি ও কৃষিখাতের পণ্যকে প্রোডাক্ট অব দ্যা ইয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। ২৪ তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন  রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরে বাংলানগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মাসব্যাপী এ মেলার শুভ উদ্বোধন করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

এসময় কৃষি ক্ষেত্রে পাটভিত্তিক বহুমুখী পণ্য, খাদ্যসহ অ্যাগ্রোপ্রসেস পণ্য, হিমায়িত চিংড়ি, আম, আলু ইত্যাদি পণ্যের রফতানি বাড়াতে তাগিদ দেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি আরো বলেন, প্রতি বছর হাজার হাজার ছেলে-মেয়ে উচ্চশিক্ষা নিয়ে বের হচ্ছে। এসব মেধাবী ছেলে-মেয়েদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা খুবই জরুরি। এ জন্য সরকারের পাশাপাশি আপনাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে সুবিধা আদায় করতে আমাদের জ্ঞানকৌশল ও দক্ষতা বাড়াতে হবে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের আরও বেশি ফলপ্রসূ অবদান রাখতে হবে। নতুন নতুন উদ্ভাবনের ফলে ব্যবসায়ের ধরণ প্রকৃতি দ্রুত পাল্টাচ্ছে। তাই আপনাদেরও নতুন নতুন ধারণা নিয়ে এগিয়ে আসতে তুলনামূলক সুবিধা ও স্থানীয় সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে নতুন শিল্প কারখান গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই কর্মসংস্থান ও উৎপাদনে এগিয়ে যাবে। দেশের ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে দেশি-বিদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ব্যবসায়ীদের নতুন নতুন ধারণা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। নতুন নতুন পণ্যের বাজার সৃষ্টি করতে হবে। তবেই বাংলাদেশকে সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত করা সম্ভব।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, এই বাণিজ্যমেলা দেশের সর্ববৃহৎ একটি আয়োজনে পরিণত হয়েছে। ১৯৭২ সালে আমরা ২৫ টি পণ্য রপ্তানি করতাম। এখন আমরা ৩৬ হাজার ৬৬৮ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি করি। আর পণ্য ও সেবাখাত মিলিয়ে ধরলে দাঁড়ায় ৪১ মিলিয়ন ডলার।

তিনি বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে হলে নতুন বাজার সৃষ্টির দিকে মনোযোগ দিতে হবে। উৎপাদন সৃষ্টির সাথে সাথে এর মান উন্নোয়ন এর দিকে মনযোগী হতে হবে ৷

 

এফবিসিসিআই‘র সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, আমরা ভেবেছিলাম এবার পূর্বাচলে মেলাটি অনুষ্ঠিত হবে কিন্তু এবারও হলো না। তবে আমরা আশা রাখছি, পরের বার এই মেলা সেখানেই হবে।

সাধারণত, প্রতিবছর ১ জানুয়ারি মেলা শুরু হয়ে থাকে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে এবার বাণিজ্য মেলা দেরিতে শুরু হচ্ছে।

বাণিজ্য মেলায় সব মিলিয়ে ৫৫০টি স্টল থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে-সংরক্ষিত মহিলা স্টল থাকবে ২০টি, প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন ৬০টি, প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন ৩৮টি, সাধারণ প্যাভিলিয়ন ১৮, সাধারণ মিনি প্যাভিলিয়ন ২৯টি, প্রিমিয়ার স্টল ৬৭টি, রেস্টুরেন্ট তিনটি, সংরক্ষিত প্যাভিলিয়ন ৯টি, সংরক্ষিত মিনি প্যাভিলিয়ন ৬টি, বিদেশি প্যাভিলিয়ন ২৬টি, সংরক্ষিত মিনি প্যাভিলিয়ন ৯টি, বিদেশি প্রিমিয়ার স্টল ১৩টি, সাধারণ স্টল ২০১টি ও ফুড স্টল ২২টি।

এবারের মেলায় ভিন্ন আঙ্গিক আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। মেলার প্রধান ফটকে আসবে পরিবর্তন। এছাড়া মেলার ভেতরে দর্শনার্থীদের জন্য খোলামেলা জায়গা রাখা হবে। গ্রীণজোন থাকবে। যাতে পরিবার ও পরিজনদের নিয়ে তারা স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরাঘুরি করতে পারেন। আর মেলার দুই প্রান্তে সুন্দরবনের আদলে ইকো পার্ক করা হবে। থাকবে ডিজিটাল এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার (ডিজিটাল টাচ স্ক্রিন প্রযুক্তি)। যার মাধ্যমে ক্রেতা-দর্শনার্থীরা নির্দিষ্ট স্টল ও প্যাভিলিয়ন অতি সহজে খুঁজে বের করতে পারেন।

এছাড়াও মেলা চলাকালীন সময়ে শুধু মেলা নয় রপ্তানিতে কিভাবে দেশ এগিয়ে যাবে সে বিষয়ে সেমিনার সিম্পোজিয়াম আয়োজন করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

মেলা চলবে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মেলায় কোনো সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে না। সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে।