চিকিৎসকের আত্মহত্যা: মিতুর জামিন স্থগিত চায় রাষ্ট্রপক্ষ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) এ জামিন স্থগিত আবেদনটি করা হয়। আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য আবেদনটি কার্যতালিকায় ছিল। পরে আদালত 'নট টুডে' করেছেন।
আদালতে মিতুর পক্ষে ছিলেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম জাহিদ সরওয়ার কাজল।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরওয়ার কাজল বলেন, 'মিতুর জামিন স্থগিতের আবেদনটি চেম্বার জজ আদালতে শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ছিল। আদালত নট টুডে (আজ নয়) বলে আদেশ দিয়েছেন। আশা করছি, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর মিতুর জামিন স্থগিতের আবেদনটি চেম্বার আদালতে শুনানি হবে।'
গত বুধবার (২৮ আগস্ট) বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি কাজী ইজহারুল হক আকন্দ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ মিতুকে স্থায়ী জামিন দিয়েছিল।
গত ৩১ জানুয়ারি চট্টগ্রামের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার একটি বাসায় ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশ ইনজেকশনের মাধ্যমে নিজের শিরায় বিষ প্রয়োগ করে আত্মহত্যা করেন। এর আগে স্ত্রীর সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়।
পরে স্ত্রীর সমালোচনা করে ফেসবুকে পোস্ট দেন স্বামী মোস্তফা মোরশেদ আকাশ। এতে লেখেন, 'আমাদের দেশে তো ভালোবাসায় চিটিংয়ের শাস্তি নেই। তাই আমিই বিচার করলাম, আর আমি চির শান্তির পথ বেছে নিলাম।'
ওই দিন রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে নগরীর নন্দনকানন এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তানজিলা মিতুকে আটক করে।
আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মোস্তফা মোরশেদ আকাশের স্ত্রী, শ্যালিকা, দুই বন্ধুসহ ছয়জনকে আসামি করে ১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে চান্দগাঁও থানায় মামলা করেন ডা. আকাশের মা জোবেদা খানম।