যানজট মুক্ত করতে পুলিশ সুপার নিজেই রাস্তায়

  • ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

যানজট মুক্ত করতে পুলিশ সুপার নিজেই রাস্তায়। ছবি: বার্তা২৪.কম

যানজট মুক্ত করতে পুলিশ সুপার নিজেই রাস্তায়। ছবি: বার্তা২৪.কম

 

বগুড়া: বগুড়া শহরকে যানজট মুক্ত করতে সচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ, যানবাহন আটক, মাইকিং করেও তেমন ভালো ফল পায়নি জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। শেষ পর্যন্ত পুলিশ সুপার আশরাফ আলী ভুঞা নিজেই রাস্তায় নেমে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ করেন। পুলিশ সুপারকে রাস্তায় দেখে তৎপর হয়ে ওঠেন ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি থানা ও ডিবি পুলিশ। ফলে আড়াই ঘণ্টায় শহরের সাতমাথায় দেড় শতাধিক যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বগুড়া শহরে যানজটের মূল কারণ অবৈধ রিকশা, সিএনজি চালিত অটোরিকশা এবং ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা। যার সংখ্যা প্রায় ৩৫ হাজার। অথচ এই শহরে ৫ হাজার রিকশা চলাচলের অনুমতি দিয়েছে বগুড়া পৌর সভা। বাকি ৩০ হাজার যানবাহনের নেই কোনো বৈধতা।

বগুড়া পৌরসভার মেয়র অ্যাড. মাহবুবুর রহমান যানজটের অন্যতম কারণ হিসেবে এসব অবৈধ যানবাহনকে দায়ী করে বলেন, শহরের রাস্তাঘাট অনুযায়ী ৫ গুণ বেশি যানবাহন চলাচল করে থাকে। এসব অবৈধ যানবাহন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা চাঁদা নিয়ে অবৈধ যান চলাচলের সুযোগ করে দেন। ফলে দিনদিন এসব অবৈধ যানবাহনের সংখ্যা আরও বাড়ছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/04/1536055200364.jpg

বগুড়া পৌরসভার তথ্যমতে, তাদের কাছে নিবন্ধিত সাড়ে পাঁচ হাজার রিকশার বাইরে চলাচল করে আরও ২০ হাজার রিকশা। বগুড়া বিআরটিএ’র কাছে নিবন্ধন রয়েছে পাঁচ হাজার সিএনজি অটোরিকশার। সেখানে সড়কে চলছে শহর ও শহরের বাইরে মিলে ২০ হাজারেরও বেশি সিএনজি অটোরিকশা। ক্ষমতাসীন দল ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নিয়ন্ত্রণ করে শহরের এসব অবৈধ যানের বিভিন্ন সমিতিগুলো। এরাই পৌরসভা ও পুলিশের নির্দেশনার তোয়াক্কা করছে না।

এদিকে গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ করে শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় অবৈধ যানের বিরুদ্ধে অভিযানে নামেন পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা নিজেই। পুলিশ সুপারকে দেখে তৎপর হয়ে ওঠেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। পাশাপাশি বগুড়া সদর থানা, ফাঁড়ি ও ডিবি পুলিশের সদস্যরা যানজট নিয়ন্ত্রণে তৎপরতা শুরু করেন। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত মাত্র আড়াই ঘণ্টায় আটক করা হয় দেড় শতাধিক ব্যাটারি চালিত রিকশা, ২০টি মোটরসাইকেল ও ২০টি ইজি বাইক। এ সময় মামলা করা হয় দেড় শতাধিক।

পুলিশ সুপার জানান, সাধারণ মানুষকে সচেতন এবং অবৈধ যানবাহনগুলোকে সতর্ক করতে তিনি নিজে সড়কে নেমেছেন। এখন থেকে পুলিশের চলমান অভিযান আরও জোরালো করা হবে।