কে এই বাউন্ডারি শহীদ



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভালুকার বাউন্ডারি শহীদ/ ছবি: সংগৃহীত

ভালুকার বাউন্ডারি শহীদ/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভালুকা (ময়মনসিংহ) থেকে ফিরে: বন বিভাগের জমি দখল করতে তিনি সিদ্ধহস্ত। যখনই জমিতে বাউন্ডারি দিয়ে দখলের প্রসঙ্গ আসে, প্রথমেই ডাক পড়ে তার। আবার অনেক সময় তিনি নিজেই লোক ডেকে এনে জমি দখল করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

যে কারণে এখন তার নামই হয়ে গেছে বাউন্ডারি শহীদ। কে এই শহীদ, কী তার পরিচয়? পুরো নাম শহীদুল ইসলাম শহীদ। জন্মসূত্রে গফরগাঁওয়ের বাসিন্দা হলেও হবিরবাড়ি মৌজায় স্থানান্তির হয়ে আসেন। রাজনৈতিক পরিচয় হচ্ছে ভালুকা উপজেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ। এক সময় দৈনিক পাঁচ কেজি গমের বিনিময়ে বন বিভাগের নার্সারীতে কাজ করতেন।

এখন শত কোটি টাকার মালিক। গাড়ি-বাড়ি, বিত্ত-বৈভব সবই এখন তার হাতের মুঠোয়। ভালুকা রেঞ্জ সংলগ্ন এলাকায় আলিশান বাড়ি তৈরি করেছেন। রয়েছে একাধিক খামার ও শিল্প কারখানা। সিডস্টোর বাজারের পুর্বদিকে ২০ বিঘা জমির উপর রয়েছে সুপ্তি সোয়েটার ও সুপ্তি প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং, দক্ষিণ দিকে ১০ বিঘা জমির উপর রয়েছে সুপ্তি ওয়েল লিমিটেড।

কোকাকোলার পশ্চিমে সাত বিঘা জমির উপর রয়েছে তার হাজী এন্টারপ্রাইজ নামে আরসিসি পিলারের কারখানা। জনশ্রুতি আছে ঢাকাতেও তার রয়েছে একাধিক বাড়ি। চলেন কোটি টাকা দামের গাড়িতে।

বন বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, নব্বই সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে সেই যে শুরু করেছেন, তা এখনও চলছে। নিত্য-নতুন ফন্দিতে বনের জায়গা দখল করে চলেছেন তিনি। তার এক ডাকে কয়েকশ লোক নেমে আসে। দখল প্রক্রিয়ায় মাঠে নেতৃত্ব দেন আমতলী গ্রামের ইন্নুস আলীর ছেলে শাহজাহান। শহীদের কথায় যে কারো মাথা ফাটিয়ে দিতে পারেন। এমন নজীর অনেক রয়েছে।

আরও পড়ুন:

** ১৫৯৯ একর জমির মালিক মল্লিকবাড়ি বন বিট নিজেই ভূমিহীন
*বনের জমি দখলের খেলার নাম ‘ডিমার্কেশন’

স্থানীয়রা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও ভালুকা চলে বিএনপি নেতা শহীদের আঙ্গুলের ইশারায়। আর টাকা দিয়ে প্রশাসনের লোকের মুখ বন্ধ রেখে অনায়াসে দখল করে নেন বনের জমি। তার কারণে বিপন্ন হয়ে পড়েছে ময়মনসিংহ বন বিভাগের ভালুকা রেঞ্জ। এরই মধ্যে মল্লিকবাড়ি বন বিটের এক হাজার ৫৯৯ একর জমি পুরোটাই জবরদখলকারিদের ভোগে চলে গেছে। খোদ বিট অফিসার এখন অন্য বিটের আশ্রিত হিসেবে রয়েছেন।

অপর দুইটি বিটের অবস্থাও সংকটাপন্ন। হবিরবাড়ি বিটের প্রায় সাত হাজার ১০ একর জমির মধ্যে চার হাজার ১৪৪ একর জমি শহীদদের ভোগে, কাদিগড় বিটের চার হাজার ৬৮৬ একর জমির মধ্যে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ জমি অর্থাৎ তিন হাজার ৬০ একর জমি অবৈধ দখলদারদের কবলে চলে গেছে। এই বিটের পারাগাঁও মৌজায় বন বিভাগের জমি ছিলো এক হাজার ৬৪৬ একর ৭২ শতক। এ জমির এক শতকও আর বন বিভাগের দখলে নেই। সবটাই বেদখল হয়ে গেছে।

সোনার চেয়ে দামী হওয়ায় এখানকার জমির দিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন ভূমিদস্যুরা। সেই লোলুপ দৃষ্টিতে সলতে যুগিয়ে যাচ্ছেন শহীদ। আর এর পেছনে চলে কোটি কোটি টাকার খেলা। শহীদের টাকা ও প্রতিপত্তির কাছে বন বিভাগের লোকজনও অসহায়। অনেকে ভয়ে, আবার কেউ কেউ আখের গোছাতে নিজেকে সপে দিয়েছেন তার হাতে।

সদ্য বিদায়ী একজন ফরেস্টার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘দিনের বেলা যদি কোনো বনকর্মী তার বিরুদ্ধে কথা বলেন, রাতে সেই কর্মীর ওপর হামলা হয়। মুখে কালো কাপড় বেঁধে হামলা করে কিলঘুষি দিয়ে চলে যায়। দুই একবার রাতের আধারে অস্ত্র ঠেকিয়ে ভয় দেখানোর ঘটনাও ঘটেছে। যে কারণে শহীদের কথা অনেকেই মুখে আনতে চান না।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/20/1547965562513.gif
ভালুকার হবিরবাড়িতে বাউন্ডারি শহীদের বাড়ি

ভালুকার বাসিন্দাদের দাবি, ২০০০ সালে ভালুকা থানার শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায় উঠেছিলো শহীদের নাম। কিন্তু কালের আবর্তে হারিয়ে গেছে সব কিছু। শহীদের বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে চমকপ্রদ তথ্য পাওয়া গেছে। বনের জমি দখলের পেছনে প্রায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তিনি যুক্ত থাকলেও সংশ্লিষ্টরা ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে এড়িয়ে গেছেন।

কোনো মামলায় তার নাম ভুল, কোনো মামলায় তার পিতার নাম ভুল, আবার কোনো মামলায় তার ঠিকানা ভুল দেওয়া হয়েছে। কখনও জমির দাগ নম্বরে ভুল করে তাকে পার পেয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। অনেক ঘটনায় তাকে খলনায়ক মনে করা হয়। কিন্তু তিনি থেকেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

তার নামে প্রথম মামলা হয় ১৯৯৩-৯৪ সালে (১৯হবি/৪০ ভালু)। ঐ সময়ে আরও গোটা তিনেক মামলা হয়। এরপর ধীরে ধীরে দুর্ধর্ষ হয়ে উঠেন শহীদ। বদলে যেতে থাকে বনের লোকদের ভূমিকা। ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিট অফিসার মুস্তাফিজুল হক (ফরেস্টার) নিজের পিঠ বাঁচাতে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করেন। সবগুলো মামলায় তার নামের ক্ষেত্রে নানান রকম ক্রটি রেখে দেন।

এসব মামলার মধ্যে ২২হবি/৩১ ভালু মামলায় শহীদুল ইসলামের বদলে কৌশলে এস. ইসলাম এবং পিতার নাম আলাউদ্দিনের বদলে আঃ উদ্দিন লেখা হয়। এরপর মামলা নম্বর ২৩হবি/৩২ ভালু একই ভুল করা হয়।

২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ৮হবি/৮ভালু মামলায় শহীদের নাম ঠিক লিখলেও পিতার নাম অফিমুদ্দিন লেখা হয়। অনেক মামলায় নানা রকম ভুল করে তাকে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে বন বিভাগ।

১৯৯৮ সালে কোরবানি ঈদের দিনে নিজের ঘরে খুন হন ভালুকার আকবর মেম্বার। সেই মামলায় প্রধান আসামি করা হয় বাউন্ডারি শহীদকে। ওই মামলায় বেশ কিছুদিন হাজত খাটতে হয় তাকে। পরে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তার প্রভাব বিস্তার করে মামলা থেকে ছাড় পেয়ে যান। আরও কয়েকটি হত্যাকান্ডের জন্য তাকে সন্দেহ করে ভালুকাবাসী।

বন বিভাগ মনে করে, বাউন্ডারি শহীদ ও সম্প্রতি গজিয়ে ওঠা যুবলীগ নেতা মনিরকে ঠেকানো গেলে বনকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। না হলে মল্লিকবাড়ি বিটের মতো অন্যান্য বিটের জমিও ধীরে ধীরে বেহাত হয়ে যাবে।

ময়মনসিংহ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা একেএম রুহুল আমিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি সম্প্রতি  এখানে  যোগদান করেছি। জেলা প্রশাসককেও জিজ্ঞেস করুন, তিনিও হয়তো বাউন্ডারি শহীদের কথা জেনে থাকবেন। তাকে সবাই বাউন্ডারি শহীদ নামেই জানে।’

শহীদের বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। ফোন কল করলেও রিসিভ করেননি। এমনকি এসএমএস দিলেও সাড়া দেননি।

   

উপজেলা ভোট: প্রথম ধাপে ১৩ প্রার্থী এমপির স্বজন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের নিকট আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিধিনিষেধ জারি করেছেন। কিন্তু দলের নিষেধাজ্ঞার বাইরে গিয়ে নির্বাচনের প্রথম ধাপে অন্তত ১৩ জন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এদের মধ্যে রয়েছেন সংসদ সদস্যের পুত্র, চাচাতো ভাই, খালাতো ভাই, জামাতা, ভাইয়ের ছেলে, ভাই ও চাচা।

সোমবার (৬ মে) সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডি ২৭ নম্বরের ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

টিআইবি জানায়, এই ধাপের নির্বাচনে তিন সংসদ সদস্যের পুত্র উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন করছেন। এ তিনজন হচ্ছেন- মাদারীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের পুত্র আসিবুর রহমান, নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী'র ছেলে আতাহার ইশরাক চৌধুরী, বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের পুত্র মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন।

আর তিন সংসদ সদস্যের ছোট ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন করছেন। তারা হলেন- বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের ছোট ভাই মিনহাদুজ্জামান, সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু'র ছোট ভাই মো. আবদুল বাতেন বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে, সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিমের ছোট ভাই এস এম নূর ই আলম নাজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন।

এছাড়া পাবনার বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু'র ভাইয়ের ছেলে আবদুল কাদের, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলামের চাচা সফিকুল ইসলাম ও চাচাতো ভাই আলী আফসার, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্য মাহবুব আলম হানিফের চাচাতো ভাই আতাউর রহমান, মাদারীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্য শাহজাহান খানের চাচাতো ভাই পাভেলুর রহমান, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্য আব্দুর রাজ্জাকের ছোট ভাই হারুন অর রশীদ, খাগড়াছড়ি'র রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা'র জামাতা বিশ্ব প্রদীপ অধিকারী।

এর মধ্যে একই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্যের দুই জন স্বজন নির্বাচন করছেন এমন উপজেলার সংখ্যা ৩। তারা হলেন, মাদারীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের পুত্র আসিবুর রহমান ও পাভেলুর রহমান, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলামের চাচা সফিকুল ইসলাম ও চাচাতো ভাই আলী আফসার, পাবনার বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু'র ভাইয়ের ছেলে আবদুল কাদের ও ছোট ভাই মো. আবদুল বাতেন।

টিআইবির তথ্য মতে, ২০১৯ সালের তুলনায় আয় বৃদ্ধির দিক দিয়ে সবার ওপরে খাগরাছড়ির রামগড়ের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারী। তার সম্পদ বেড়েছে ৩৩১৯.১৫ শতাংশ।

;

৪৩ ঘণ্টা পর সুন্দরবনের আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে: ফায়ার সর্ভিস



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে লাগা আগুন ৪৩ ঘণ্টা পর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

সোমবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশাসন) ও মেইনটেন্স লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী।

তিনি বলেন, বনের আগুন নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। এটা সাধারণ কোন আগুন নয়। বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে অক্লান্ত পরিশ্রম করে সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এ কাজে সকল সংস্থা সহযোগিতা করেছে। তবে আগুন পুরোপুরি নিভতে আরও দুই থেকে তিন সময় লাগতে পারে, তীক্ষ্ণভাবে চারদিকে নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সুন্দরবনে প্রতিবছরই এই সময়ে আগুনের ঘটনা ঘটে। আর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়। তাই সবাইকে সতর্ক থাকবে হবে। যেহেতু সুন্দরবন আন্তর্জাতিক একটি ঐতিহ্য। তাই এই বনকে রক্ষার দায়িত্ব সবার।

খুলনাঞ্চলের বন সংরক্ষণ মিহির কুমার দো জানান, আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ আনতে সোমবার (৬ মে) ভোর থেকে তৃতীয় দফায় কাজ শুরু করা হয়। এখন কোথাও আগুন এমনকি ধোঁয়াও দেখা যাচ্ছে না। কাজেই আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে যেহেতু বনের আগুন তাই বনবিভাগের পক্ষ থেকে আরও দুই দিন এই এলাকা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

গত শনিবার (৪ মে) দুপুরে সুন্দরবনের আমরবুনিয়ার লতিফের ছিলা এলাকায় আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এদিকে, আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও জানাতে পারেনি বনবিভাগ। তবে তা উদঘাটনে কাজ করছে বনবিভাগের তদন্ত কমিটি।

;

বড় ভাইয়ের অস্ত্রের আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

টাকা পয়সা লেনদেনের জের ধরে বড় ভাইয়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আজিবার রহমান নামে একজন নিহত হয়েছেন। 

সোমবার (৬ এপ্রিল) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্তায় মৃত্যু হয় তার ।

তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বলাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা । এর আগে শুক্রবার (৩ মে) রাতে সাতক্ষীরার সদর উপজেলার বলাডাঙ্গা গ্রামে দুই ভাইয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

নিহতের মেঝো ভাই রস্তম আলী জানান, বড় ভাই আফসার আলী ও ছোট ভাই আজিবর রহমান গরুর মাংসের ব্যবসা করত। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদের ব্যবসার টাকা নিয়ে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বড় ভাই আফসার আলী ঘর থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আজিবর রহমানের শরীরের এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। ওই সময় আহত অবস্থায় প্রথমে ছোটভাই আজিবর রহমানকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার (৬ মে) সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্তায় মৃত্যু হয় তার।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিদুল ইসলাম জানান, নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবারে রাতের ঘটনায় আফসার আলীর নামে একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি এখন হত্যা মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হবে । মামলার আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলেছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

;

সুন্দরবনে আগুন: ধোঁয়া দেখলেই পানি দেওয়া হচ্ছে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,বাগেরহাট
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগেরহাটের আমরবুনিয়ার লতিফের ছিলা এলাকায় পূর্ব সুন্দরবনে আগুন লাগা স্থানের কোথাও ধোঁয়া দেখা গেলে পানি দেওয়া হচ্ছে। পুনরায় আগুন লাগার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।

তৃতীয় দিনের মতো সোমবার (৬ মে) সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে এ কাজ। অগ্নিকাণ্ডের এলাকা সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধারা স্টেশনের আমরবুনিয়া টহল ফাঁড়ির লতিফের ছিলায় পানি ছেটানো শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস ও বন বিভাগ। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের পাশাপাশি তাদের সহযোগিতা করছে নৌ বাহিনী ও কোস্টগার্ড।

বনের লতিফের ছিলা ও ড্রেনের ছিলার মাঝামাঝি এলাকায় আগুন লাগার বিষয়টি গত শনিবার নজরের আসার পর থেকেই নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে বন বিভাগ, কমিউনিটি প্যাট্রলিং গ্রুপ (সিপিজি), ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিমের (ভিটিআরটি), টাইগার টিমসহ স্থানীয় সেচ্ছাসেবী ও বনজীবীরা। তবে ঘটনাস্থল থেকে পানির উৎস দূরে হওয়াতে এবং দুর্গম পথের কারণে প্রথম দিনে সেখানে পানি ছেটানো সম্ভব হয়নি।


সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জ সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেব বলেন, ‘গত রাত ১টা পর্যন্ত বন বিভাগ এককভাবে আগুন নেভাতে পাম্প মেশিন দিয়ে পানি স্প্রে করেছে। এর ফলে এখন আর কোথাও তেমন একটা আগুন দেখা যাচ্ছে না। যেখানে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে সেখানেই পানি দেওয়া হচ্ছে। নিয়ন্ত্রিত আগুন পুরোপুরি নেভাতে সোমবার সকাল ৭টা থেকে বন বিভাগকে সহায়তা করছেন নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী দুই দিন ধরে এ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখে পানি ছিটানো হবে। তবে আপাতত আর ভয়ের কোনও কারণ নেই। কারণ আগুন যাতে আর ছড়াতে না পারে সেজন্য রবিবার ফায়ার লাইন কেটে সেখানে পানি দিয়ে রাখা হচ্ছে। আর আগুনের অস্তিত্ব তেমন একটা নেই, শুধু কিছু কিছু জায়গায় ধোঁয়া রয়েছে।’

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম তারেক সুলতান বলেন, সোমবার ভোর ৬টা থেকে পানি দেওয়া শুরু হয়েছে। পূর্ণ শক্তি দিয়ে পানি দেওয়ার কাজ চলছে। সে কারনে আগুন আর বাড়তে পারেনি। আশা করছি আজকের মাঝে আমরা এটা ফলাফল পাব।

প্রধান বন সংরক্ষক (সিসিএফ) মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী জানান, অগ্নিকাণ্ডে সুন্দরবনের ৫ একর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে। তদন্ত রিপোর্ট শেষে বিস্তারিত জানাতে পারব।

;