সুদমুক্ত গৃহঋণ চান সরকারি চাকরিজীবীরা

  • আসিফ শওকত কল্লোল, স্পেশাল করেপসন্ডেন্ট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী অনুশাসন মানতে সুদবিহীন গৃহঋণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বিশেষ করে যারা সরকারি প্রভিডেন্ট ফান্ডের (জিপিএফ) সুদ নেন না তাদের জন্য সুদবিহীন গৃহঋণ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এদিকে অর্থমন্ত্রণালয়ের সরকারি কর্মচারীদের গৃহঋণ সেল দেশের বড় বড় ধর্মী প্রতিষ্ঠানের কাছে এ বিষয়ে মতামত জানতে চেয়েছে। এই ঋণের সুদ অনুদান/ চাঁদা হিসেবে দেখানো যায় কিনা সেটাও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। বর্তমানে ১৩ লাখ সরকারি চাকরিজীবী শুধু ৫ শতাংশ সুদে সরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গৃহ ঋণ পাবেন।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি অর্থ সচিব আবদুল রউফ তালুকদার ও সরকারি কর্মচারীদের গৃহঋণ সেলে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়েছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারি চাকরিজীবীদের সুদমুক্ত গৃহঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। যারা নতুন সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করছেন তারা যদি সুদমুক্ত জিপিএফ  গ্রহণ করতে চান তাহলে তাদের সুদমুক্ত ঋণ দেওয়া উচিত। পেনশন সহজীকরণ-২০১৬ অনুযায়ী যারা সুদমুক্ত জিপিএফ গ্রহণ করবেন তাদের ঋণের সুদ চাঁদা বা অনুদান হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। এছাড়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন সুযোগসুবিধা দিতে হবে।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা এখন সুদমুক্ত গাড়ি ঋণ পাচ্ছি। যদি সুদ দিতে হতো তাহলে অনেকেই ধর্মীও অনুশাসনের জন্য এ ঋণ নিতেন না। একইভাবে আমরা সরকারের কাছে সুদমুক্ত গৃহ ঋণ দাবি করছি। আশা করি এ সুবিধাটা আমরা পাবো।’

সরকারি কর্মচারী গৃহ ঋণ সেল থেকে জানা যায়, এ পর্ষন্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ৬ জন কর্মকর্তাকে ঋণ দিতে সরকারি আদেশ (জিও) জারি করা হয়েছে। আর ১৩ জনের বিষয়ে আদেশ জারি প্রক্রিয়াধীন আছে।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুলাই অর্থ বিভাগ ‘সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং-ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালা-২০১৮’ জারি করে। নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংক থেকে সরকারি কর্মচারীদের ৫ শতাংশ সরল সুদে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা গৃহনির্মাণ ঋণ নিতে পারবেন। চাকরি স্থায়ী হওয়ার পাঁচ বছর পর থেকে সরকারি চাকরিজীবীরা এই ঋণ পাওয়ার জন্য যোগ্য হবেন। ঋণ পাওয়ার আবেদনের জন্য সর্বোচ্চ বয়সসীমা ধরা হয়েছে ৫৬ বছর। ঋণের সীমা ঠিক করা হয়েছে ২০ লাখ থেকে ৭৫ লাখ টাকা। সর্বোচ্চ ২০ বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এই ঋণের জন্য ব্যাংক ১০ শতাংশ হারে সরল সুদ অর্থাৎ, চক্রবৃদ্ধি সুদ (সুদের ওপর সুদ) নিলেও ঋণ গ্রহীতাকে দিতে হবে ৫ শতাংশ। সুদের বাকি অর্থ সরকার ভর্তুকি হিসাবে পরিশোধ করবে।