আফগানিস্তানের মাদক, শ্রীলঙ্কায় বন্টন; বাহক বাংলাদেশি
আফগানিস্তান থেকে উৎপাদিত মাদক শ্রীলঙ্কায় বন্টন করা হয়। পরে বন্টনকৃত মাদক বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আর সবগুলো রুটের ক্যারিয়ার (সরবরাহকারী) ও বিতরণকারী হিসেবে কাজ করে কয়েকজন বাংলাদেশি।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে আটক আন্তর্জাতিক ৫ মাদক কারবারি সম্পর্কে এমন তথ্য দেন র্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান।
মুফতি মাহমুদ খান বলেন, সোমবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালান সিন্ডিকেটের সদস্য ফাতেমা ইমাম তানিয়া (২৬), আফসানা মিমি (২৩), সালমা সুলতানা (২৬), শেখ পারভেজ (২৮) ও রুহুল আমিন ওরফে সায়মন (২৯) কে আটক করা হয়।
র্যাব জানায়, তারা আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের সদস্য। অধিক টাকা উপার্জনের লক্ষ্যে আফগানিস্তান থেকে উৎপাদিত মাদক বহন করে, শ্রীলঙ্কা দিয়ে বিভিন্ন দেশ চীন, পাকিস্তান ও মালয়েশিয়া পৌঁছে দেয় এই চক্রটি।
মুফতি মাহমুদ খান বলেন, এই বাংলাদেশিরা শুধু সরবরাহ ও বিতরণের কাজ করতো। তার চেয়ে বেশি কিছু তারা জানতো না।
বাংলাদেশের এই চক্রটি নিয়ন্ত্রণ করেন আরিফ। সে বর্তমানে পলাতক। আরিফের আল আমিন ফ্যাশন হাউজ নামে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তার হাত ধরেই সিন্ডিকেটে ১৫/২০ জন বাংলাদেশি যুক্ত হয়েছে।
আরিফের হয়ে সদস্য সংগ্রহের কাজ করতো তার শ্যালিকা রেহানা। রেহেনা বর্তমানে শ্রীলঙ্কায় গ্রেফতার। তার হাত ধরে অধিক টাকা উপার্জনের লোভে পর্যায়ক্রমে ফাতেমা, আফসানা মিমি ও সালমা সুলতানাসহ অন্যরা যুক্ত হয় ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, আকাশ পথ, সমুদ্রপথ এমনকি অনেক সময় সড়ক পথেও তারা এক দেশ থেকে অন্য দেশে মাদক বহন করতো। বিদেশে গিয়ে ১০/১৫ দিন করে অবস্থান করতো। মাদকের চালান পৌঁছে দিয়ে টাকা বুঝে নিয়ে দেশে ফিরে আসতো তারা।
র্যাবের এই মুখপাত্র আরও বলেন, গত এক মাসে শ্রীলঙ্কায় ৩০৪ কেজি হেরোইন ও ৫ কেজি কোকেনসহ ৩ বাংলাদেশি গ্রেফতার হয়। এ ঘটনায় বাংলাদেশ একটি ট্রাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।
পরবর্তীতে ট্রাস্কফোর্সের কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় চয়েজ রহমান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের এই সদস্যদের আটক করা হয়।
আটকের সময় তাদের কাছ থেকে প্রায় ২ হাজার পিস ইয়াবা, বৈদেশিক মুদ্রা ও পাসপোর্ট পাওয়া যায়।