শাহজালালের রাডার ও এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের আধুনিকায়ন জরুরি
দেশের প্রধান প্রবেশদ্বার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রাডার সিস্টেম ও এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট আধুনিকায়নের দাবি জানিয়েছেন নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান।
এয়ারলাইনের নিরাপত্তা উন্নয়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ দাবি জানান। নভোএয়ারের আয়োজনে এই গোলটেবিল বৈঠকে দেশের বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান এয়ারলাইনের নিরাপত্তা উন্নয়ন বিষয়ের ওপর মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, দেশের প্রধান বিমানবন্দর পুরাতন রাডার দিয়ে কাজ করছে। আর এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ৪০ বছর আগের পর্যায়ে রয়েছে। তাছাড়া বিমানবন্দরে খুব খুব ঘনঘন পাখির উৎপাত হয়। অথচ আমাদের বার্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম খুবই পুরাতন। এয়ারগান দিয়েই পাখিদের নিবৃত্ত করে থাকি। এক সঙ্গে দুই ইঞ্জিনে পাখি ঢুকে গেলে দুর্ঘটনা ঘটতে বাধ্য।
মফিজুর রহমান বলেন, এয়ারনেভিগেশন সুবিধা যুগোপযোগী নয়। এর কাজ দ্রুত আধুনিকায়ন হচ্ছে না। যাত্রীদের মধ্যেও সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি উড়োজাহাজের নিরাপত্তায় বিমানবন্দরের সিকিউরিটি বাড়ানোর ওপর জোর দেন। নতুবা উড়োজাহাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না।
তিনি বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ যশোর ও সৈয়দপুর বিমানবন্দরের রানওয়ের সারফেস ভালো নয়। এতে চাকা ফেটে যাওয়া কিংবা উড়োজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাছাড়া উড্ডয়নের সময় ঝাঁকিও লাগে।
সম্প্রতি উড়োহাজাজের নিরাপত্তায় নভোএয়ার রেটিং ৩ পেয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের বিমান চলাচল খাত শুধু বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কেন্দ্রিক নয়। স্টার রেটিং নিয়ে অনেক বিভ্রান্তিও রয়েছে। অনেকেই এ ধরনের রেটিং করে থাকে। তবে এর মধ্যে ট্রিপ অ্যাডভাইসর, স্কাইট্রাক্স ও এয়ারলাইনরেটিং.কম এর তথ্য যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য। মাত্র ৫ বছরের পথ চলায় নভোএয়ার এই তালিকায় এসেছে এটি অনেক বড় বিষয়। আমাদের সজাগ দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের আরো দায়িত্ব হতে ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। ভারতে ৫/১৬টি এয়ারলাইন্সের মধ্যে ৪ থেকে ৫টি এয়ারলাইন্স সেফ এয়ারলাইন্সের তালিকায় রয়েছে। মিয়ানমারেও অনেকগুলো এয়ারলাইন্সের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটি এই তালিকায় রয়েছে।
হ্যাঙ্গার না থাকায় আইওএসএ অডিট করাতে পারছেন না অভিযোগ করে তিনি বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড পেলে আমরাও অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারতাম। এরপরেও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আমাদের পরীক্ষা পদ্ধতি অনুসরণ করে এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে নভোএয়ারের বৈমানিকদের অগ্রাধিকার দেয়। বৈমানিকদের মানসিক সুস্থতার জন্য সাইকোমেট্রিক ও সাইকোলজিক্যাল প্রোফাইলিং পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে থাকে। অপারেশন ও টেকনিক্যাল বিষয়ে অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দেয়, যাতে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। আমাদের এয়ারলাইন্স কন্টিনিউয়াস এয়ারওর্দিনেস ম্যানেজমেন্ট অর্গানাইজেশন (ক্যামো) এর সার্টিফিকেশন পেয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে।