'কর্তৃপক্ষ ভয়ে থাকে, ব্যারিস্টার কখন এসে লাইভ দেন'



মুজাহিদুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বার্তা২৪.কম-এর একান্ত সাক্ষাৎকারে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন

বার্তা২৪.কম-এর একান্ত সাক্ষাৎকারে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন

  • Font increase
  • Font Decrease

‘আমি রাতে ফেসবুকে কোন সমস্যা নিয়ে লাইভে কথা বললে, সকালে দেখা যায় ২০ লাখ মানুষ দেখে ফেলেছে। তখন হয়তোবা সমস্যার সমাধানে কর্তৃপক্ষের ওপরে চাপ পড়ে। কর্তৃপক্ষ সাথে সাথে গিয়ে সমস্যাগুলোর সমাধান করে ফেলেন। বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের লোকজন সব সময় ভয়ের মধ্যে থাকেন যে, ব্যারিস্টার কখন এসে লাইভ দিয়ে ফেলেন।’


কথাগুলো ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর। কর্মজীবনে আইনি পেশার পাশাপাশি যুক্ত আছেন সামাজিক নানা কর্মকাণ্ডে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নাগরিক সমস্যার নানা বিষয়ে কথা বলে আলোচনায় এসেছেন।

আলোচিত এই ব্যক্তি কখনও আবর্জনার স্তূপে কখনও চলন্ত গাড়ি থামিয়ে সড়কের পাশে আবার কখনও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়িয়ে ফেসবুকে লাইভে তুলে ধরছেন সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা। তাৎক্ষণিক এসব সমাধান হওয়ায় অনেকেই তাকে ফাটাকেস্ট বলে আখ্যা দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।


বার্তা২৪.কম-এর একান্ত সাক্ষাৎকারে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন জানালেন তার এমন উদ্যোগের নানা গল্প। সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল এ আইনজীবীর আলোচারিতা তুলে ধরেছেন স্টাফ করেসপন্ডেন্ট মুজাহিদুল ইসলাম।


ব্যারিস্টার সুমন জানালেন, আন্তর্জাতিক আপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর (রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী) হিসেবে কাজ করছি। পেশাগত দায়িত্বের বাইরে যে সময়টুকু নিজের জন্য থাকে, তার পুরোটাই আমি আমার জন্মস্থানের বিভিন্ন অসঙ্গতিগুলো নিজের সামর্থ্যে সমাধানের চেষ্টা করি। তবে যদি দেখি সমস্যাগুলো নিজের সামর্থ্যে সমাধান করা যাবে না তাহলে  সেগুলো ফেসবুকের মাধ্যমে তুলে ধরি যাতে এসব সমস্যা কর্তৃপক্ষের নজরে আসে এবং সমাধান হয়ে যায়।

দেশ ও মানুষের সেবা করতে হলে জনপ্রতিনিধি হতে হয় না জানিয়ে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে প্রতিটা মানুষই তার জন্মস্থান এবং তার দেশের জন্য নেতা। সেবা করার জন্য এমপি, চেয়ারম্যান, মেম্বার হতে হবে, এমনটায় আমি বিশ্বাসী নই। আপনি ডাক্তার হতে পারেন, ব্যারিস্টার, ইঞ্জিনিয়ার হতে পারেন। আপনিও কোন না কোন জায়গার সাংঘাতিক রকমের অভিভাবক হয়ে যেতে পারেন। বাংলাদেশে প্রচলন আছে, যে যার পেশা নিয়ে থাকবে। আমাদের বৃত্তের বাইরে বের হয়ে আসতে হবে। ধারণা বদলাতে হবে।

জীবনের প্রথম উদ্যোগে ‘পাগল’ খেতাব পেয়েছিলেন, অনেকেই বলছিলেন এসব ব্যারিস্টার সাহেবের ‘নাটক’। তবে দমে যাননি তিনি।

প্রথম কাজটা নিয়ে বলেন, আমার এলাকায় ব্রিজের কারণে বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারে না। তখন  চিন্তা করলাম আমি তো পাকা ব্রিজ করে দিতে পারবো না। আমি কাঠের ব্রিজ বানানো শুরু করলাম। প্রথমে মানুষজন বলতে লাগল যে ব্যারিস্টার পাগল হয়ে গেছে, ব্যারিস্টার নাটক করতেছে, ব্যারিস্টার নেতা হতে চায়। এসব তো আমি সহ্য করে নিলাম। এভাবে একটা দুইটা করে বানাইতে বানাইতে যখন আমি তেইশটা ব্রিজ বানিয়ে ফেললাম, তখন মানুষ বুঝতে শুরু করল না, ওর মনে হয় ভিতর থেকে আসে কাজগুলো। এখন মানুষ দেখতেছে যে, অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। ফলে মানুষের কষ্ট কমতেছে। হয়তো আমি চাচ্ছিলাম আমার এলাকাকে সামনে দিকে নিয়ে যেতে। কিন্তু আমার বক্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে।

কাজ পাগল এই মানুষটি মনে করেন, সবাই যার যার জায়গা থেকে  মানুষের সেবায় এগিয়ে আসলে দেখুন, পুরো দেশের উন্নয়ন হবে।

‘আপনি কখনোই সারাদেশে আপনার কাজ ছড়িয়ে দিতে পারবেন না । আমি কত কাজ করতে পারি? আমি চাই, সবাই তার জন্মস্থানে দুই দিন হলেও যাক। মাসে একবার না পারেন দুই মাসে একবার যেতে পারে। কারণ, আমার জন্মস্থানের জন্য যে টান অনুভব করি নিশ্চয়ই আপনার বাড়ির জন্য আমি এই টান অনুভব করি না। আপনিও আমার বাড়ির জন্য এই টান অনুভব করেন না। নিজের বাড়িতে শুধু ঈদে গেলে হবে? যাবেন মানুষের জন্য, যারা আপনার জানাজায় থাকবে। আপনার জানাজায় তো আমি থাকবো না। আপনার জানাজায় আপনার এলাকার লোকজন থাকবে। তো এদের জন্য কিছু একটা করেন।

সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তার বিষয়ে তিনি বলেন, সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য যদি আমি এসব কাজ করে থাকি, আমিতো জনপ্রিয়তা পেয়ে গেছি। তাহলে আমি এখনো কাজগুলো কেন করছি। তারপরেও আমার এলাকায় ২৩ টি ব্রিজ তৈরি করেছি। সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য হলেও আপনারা এলাকায় একটা ব্রিজ বানান না।  আগে একটা ব্রিজ বানান, ব্রিজের উপরে দাঁড়িয়ে বলুন আমি অমুক বলছি। একটা ব্রিজ বানিয়েছি এখানে। আপনারা নিজেরা কাজ করবেন না, অন্যরা করলে আপনারা আবোল-তাবোল কথা বলবেন।

'ফাটাকেস্ট' বা 'হিরো’ উপাধির বিষয়ে তিনি বলেন, আমি হিরো না। কয়েকটা ভালো কাজ করি মানে এই নয় যে,  আমি ভালো লোক হয়ে গেছি। আমারও সীমাবদ্ধতা আছে।  আমি কাউকে বলি নাই যে, আমার চরিত্র পীর সাহেবের মত। আমি একজন সাধারণ মানুষ। একটাই বিষয়, মানুষের কষ্ট দেখলে আমার খারাপ লাগে। আর এই যে ফাটাকেস্ট বা অন্য যে নামই বলেন,  ব্যাপারটা হচ্ছে আমার কথা লোকজন শুনতে শুরু করেছে।

তরুণদের উদ্দেশে ব্যারিস্টার সুমন আহ্বান জানিয়ে বলেন, ভালো কাজ করলে বাধা আসবেই। এতে ভয় পেয়ে থাকলে চলবে না। বাংলাদেশে যতো আন্দোলন সফল হয়েছে আস্তে আস্তে গড়ে উঠেছে। হঠাৎ করেই জনস্রোত চলে আসে নাই। আস্তে আস্তে আপনি আপনার বক্তব্য গুলো দিতে থাকেন, আপনি চিৎকার করতে থাকেন, আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার আওয়াজগুলো পৌঁছে দেন। দেখবেন মানুষ একটা সময় নেমে  আসতে বাধ্য। সিস্টেমগুলো বদলাতে হবে। শুধু নেতা বদল করে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন না।

 

 

   

ঝগড়া থামাতে গিয়ে লাঠির আঘাতে চাচাতো ভাইয়ের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় বউ-শাশুড়ীর ঝগড়া থামাতে গিয়ে জয়নাল আকন্দ (৪০) নামের এক ব্যাক্তি নিহত হয়েছেন। এঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) উপজেলার বালিজুড়ী ইউনিয়নের মির্জাপুর আকন্দ বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জয়নাল আকন্দ ওই এলাকার মুসলিম আকন্দের ছেলে।

মৃত্যুর বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন মাদারগঞ্জ মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, ১০ বছর আগে নিহতের চাচা খুরু আকন্দের মেয়ে ফুলেরা বেগমের সাথে পাশের বাড়ী শাবু মিয়ার ছেলে সাথে বিবাহ হয়। এর পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। তারই সূত্র ধরে শনিবার দুপুরে ফুলেরা বেগমের সাথে তার শ্বাশুড়ীর ঝগড়া লাগে। এসময় ফুলেরার চাচাতো ভাই জয়নাল আকন্দ ঝগড়া থামাতে যায় ওই বাড়িতে। এক পর্যায়ে ফুলেরার শ্বশুর শাবু মিয়ার সাথে কাটাকাটি হয় জয়নাল আকন্দের। এসময় তাদের লাঠির গুরুতর আহত হয় জয়নাল ও নবিজল। এসময় সাফুল (৩০),আলমগীর (২৪) ও বাবুল (৩০) নামে আরও তিন জন আহত হন।

পরে আহতদের উদ্বার করে মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের নেওয়া হয়। এসময় আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে জামালপুর নেওয়া পথে জয়নাল আকন্দের উচ্চ রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।

এবিষয়ে মাদারগঞ্জ মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথেই ঘটনার স্থলে আসছি। এঘটনার জড়িতদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

;

ধর্মঘট প্রত্যাখান তিন সংগঠনের, গাড়ি চালানোর ঘোষণা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ধর্মঘট প্রত্যাখান তিন সংগঠনের, গাড়ি চালানোর ঘোষণা

ধর্মঘট প্রত্যাখান তিন সংগঠনের, গাড়ি চালানোর ঘোষণা

  • Font increase
  • Font Decrease

 

চট্টগ্রামে ‘বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’র ডাকা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট প্রত্যাখান করেছে পৃথক তিন পরিবহন মালিক শ্রমিক সংগঠন। সেই সঙ্গে তারা গাড়ি চালানোরও ঘোষণা দেয়।

সংগঠনগুলো হলো- বৃহত্তর চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদ, চট্টগ্রাম পিকআপ-সিএনজি-টেম্পো ও পণ্য পরিবহন মালিক-চালক ঐক্য পরিষদ এবং বাংলাদেশ অটোরিকশা হালকাযান পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে স্ব-স্ব সংগঠনের নেতারা বিয়ষটি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন।

;

কাঠের গুদামে মিলল ৬০০ বস্তা অবৈধ ভারতীয় চিনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁওয়ে একটি কাঠের গুদাম থেকে ৬০০ বস্তা অবৈধ ভারতীয় চিনি জব্দ করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় গুদাম মালিককে তিন লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত সিদ্দিকীর নেতৃত্বে বহদ্দারহাট এলাকার এই গুদামে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা শাহ মো. মোর্শেদ কাদের এবং চান্দগাঁও থানার পুলিশের একটি দল ও ভূমি অফিসের কর্মচারীরা সহযোগিতা করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী বার্তা২৪.কমকে বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে বহদ্দারহাট এলাকায় একটা কাঠের গোডাউন ও কারখানায় বেশ কিছু চিনি মজুদ করা হয়েছে। বিষয়টি চাঞ্চল্যকর ছিল- যেহেতু কাঠের গোডাউনে চিনি। এটি একটি নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য। এর প্রেক্ষিতে চান্দগাঁও থানা পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করি এবং ঘটনা সত্যতা পাই।

তিনি বলেন, গোডাউনে এসে দেখি ৬০০ বস্তা চিনি মজুদ করা হয়েছে। পরবর্তীতে কৃষি বিপণন অধিদফতরের সহযোগিতায় আমরা জানতে পারি, চিনিগুলো ফ্রেশ ব্রান্ডের মোড়কে থাকলেও এসব ভারতীয়। কাঠের গোডাউন থেকে তারা সরাসরি বাজারজাত করার পরিকল্পনা নিয়ে মজুত করেছিল। আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে একই তথ্য পেয়েছি। গুদাম মালিক দোষ স্বীকার করেছেন।

তিনি আরও বলেন, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অপরাধ আমলে নিয়ে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর ৩৭ ধারা অনুযায়ী গুদাম মালিক মো. আব্দুর রব্বানিকে তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

গুদাম মালিক আব্দুর রব্বানী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‌গোডাউনটা আমার থেকে পাশের এক দোকানদার ভাড়া নিয়েছি। আমাকে বলেছিলেন কাঠ রাখবে। কিন্তু ঈদের পর থেকেই চিনি রাখছেন, এসব চিনি যে অবৈধ তা তিনি জানতাম না।

;

হিট অফিসারকে নিয়ে ট্রল করতে না করলেন নুর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, তীব্র গরমে দেশের তরুণরা হিট অফিসার বুশরা আফরিনকে নিয়ে ট্রল করছেন। তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন মাত্র এক বছর হয়েছে। এক বছরে তিনি কি করবেন? এসব ঠিক করতে অন্তত পাঁচ বছর লাগবে। শুধু শুধু তাকে ট্রল করে কোনো লাভ নেই।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে পেশাজীবী অধিকার পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মৃতিচারণ ও দোয়া মাহফিলে তিনি একথা বলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না জানিয়ে নুরুল হক নুর বলেন, বাটপাররা দেশের টাকা বাহিরে নিয়ে যাচ্ছে, রিজার্ভ ফাঁকা করে ফেলছে। তাই সাংবাদিকরা যাতে কোনো নিউজ করতে না পারে সেজন্য তাদেরকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

তিনি বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ঔষধ নীতি করার কারণে বাংলাদেশে ঔষধ শিল্প বিকশিত হয়েছে। এই ঔষধ নীতি করার আগে বাংলাদেশে প্রায় দুই হাজার রকমের ঔষধ আমদানি করা হতো। এখন ৯৭-৯৮ শতাংশ ঔষধ বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশ থেকে ঔষধ এখন বিদেশে রফতানি করা হয়।

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতো ব্যক্তিদেরকে নিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে আলোচনা করা উচিত। তার মতো ব্যক্তিত্বপূর্ণ মানুষ আমি আমার ৩২ বছর বয়সে দেখিনি। তিনি অসহায় মানুষ, ভুক্তভোগীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। দেশের যেকোনো জায়গায় যখন প্রাকৃতিক সমস্যা হতো তখন তিনি মানুষকে সাহায্য করার জন্য ছুটে গিয়েছেন। তিনি সবসময় বলতেন, আমি তোমাদের মধ্যে ভবিষ্যৎ দেখি।

এসময় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ছেলে বারিশ চৌধুরী বলেন, আমার বাবা একজন দেশপ্রেমিক ছিলেন। তিনি কখনোই চাইতেন না যে সাধারণ মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাক। তিনি সবসময় মানুষের কথা চিন্তা করতেন। তিনি প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতেন।

পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট খালিদ হোসেনের সঞ্চালনায় স্মৃতিচারণ ও দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক বাবলু বিশ্বাস, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মঞ্জুর মোরশেদ মামুন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।

;