ট্রেনে হারিয়ে যাওয়া শিশুর স্বজনদের খুঁজছে পুলিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে হারিয়ে যাওয়া শিশু থানার হেফাজতে/ছবি: বার্তা২৪.কম

ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে হারিয়ে যাওয়া শিশু থানার হেফাজতে/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে হারিয়ে যাওয়া নাহিদা (৩) নামে এক শিশুকে উদ্ধার করার পর তার স্বজনদের খুঁজছে ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানা পুলিশ।

সোমবার (২৭ মে) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মোশাররফ হোসেন বার্তা২৪.কমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, সোমবার সকাল ৭ টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা আন্ত:নগর বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের ‘জ’ বগিতে কান্নারত ওই শিশুটিকে পেয়ে ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার টিজি পার্টির অফিসার এটিএসআই খন্দকার রকিবুর রহমান আমাকে তাৎক্ষণিকভাবে জানায়। পরে আমি ট্রেনে মেয়েটির অভিভাবককে খোঁজার পরামর্শ দিলে সে ট্রেনে কর্মরতসহ সকল যাত্রীদের বিষয়টি জানায়৷ কিন্তু মেয়েটির কোন অভিভাবক না পাওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানায় আনা হয়।

ধারণা করা হচ্ছে, ভৈরবের আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে শিশুটির বাবা-মা নেমে গেলেও সে হয়তো নামতে পারেনি।

ওসি আরও বলেন, ছোট্ট এই শিশু মেয়েটি এখন পরম মমতায় ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানা হেফাজতে রয়েছে। যেহেতু সে তার বাবা-মার নাম কিংবা ঠিকানা বলতে পারছে না, তাই শিশুটি এখানেই থাকবে। কেউ যদি তার বাবা-মার ঠিকানা ও পরিচয় কেউ জানাতে পারেন তাহলে ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানায় যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:ট্রেনে হারিয়ে যাওয়া শিশুটি ফিরল মায়ের কোলে

   

নিখোঁজের একদিন পর চিত্রা নদীতে মিলল স্কুলছাত্রের মরদেহ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নড়াইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইল সদর উপজেলায় চিত্রা নদীতে গোসলে নেমে রাজ শেখ (১২) নামে এক স্কুল ছাত্র নিখোঁজের একদিন পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) রাতে নড়াইল সদর উপজেলার বরাশুলা গ্রামে চিত্রা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।

এর আগে গত মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় চিত্রা নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হয় সে।

মৃত রাজ শেখ বরাশুলা গ্রামের মো. সাইফুর রহমানের ছেলে ও স্থানীয় বরাশুলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

নড়াইল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. মাসুদ রানা মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে আছরের নামাজের পর বাড়ি থেকে বের হয়ে বাড়ির পাশে বন্ধুদের সাথে ফুটবল খেলে রাজ। পরে সন্ধ্যার দিকে পার্শ্ববর্তী চিত্রা নদীতে সঙ্গীদের সাথে নিয়ে গোসল করতে নামে। তখন নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় রাজকে টেনে নিয়ে যায়। এসময় রাজের সঙ্গী ও আশপাশ থেকে স্থানীয়রা এসে নদীতে নেমে খোঁজাখুজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া পাননি। পরে নড়াইল ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল রাত থেকেই উদ্ধার অভিযান চালায়। পরে তার খোঁজ না পেয়ে বুধবার সকাল থেকে দিনব্যাপি উদ্ধার অভিযান চালিয়ে সন্ধান না পেয়ে অভিযান শেষ করে। এক পর্যায়ে এদিন সন্ধ্যায় নিখোঁজের একদিন পর ঘটনাস্থলেই তার মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে নড়াইল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. মাসুদ রানা বলেন, গতকাল রাত থেকে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে নিখোঁজের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। বুধবার দিনব্যাপী উদ্ধার অভিযান চালিয়ে তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে বিকেল ৪ টার দিকে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। পরে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তার মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা উদ্ধার করেন।

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৯



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ২৯ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) সকাল ছয়টা থেকে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৫৮৯ পিস ইয়াবা, ৩৭ গ্রাম হেরোইন, ১৫ কেজি ৫০ গ্রাম গাঁজা ও ৬৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২৩ টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;

মাটির চুলা তৈরি করে চলে বৃদ্ধা সালেহার পেট



সোহাগ হাফিজ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বরগুনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে মাটির তৈরি চুলা। একসময় গ্রামগঞ্জে এ চুলার বেশ কদর থাকলেও এখন আর তেমন দেখা যায় না। তবে এ চুলা তৈরি করেই বিক্রির টাকায় চলে ৬০ বছর বয়সী বরগুনার বৃদ্ধা বিধবা সালেহার পেট। চুলা বিক্রি করে যা আয় হয়, তা দিয়ে কোনোভাবে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটে তার।

বরগুনা পৌরশহরের পুলিশ লাইন এলাকার রাস্তার পাশে বসে প্রতিদিন বিকেলে মাটি দিয়ে চুলা তৈরি করতে দেখা যায় সালেহাকে। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তার স্বামী মারা গেছে প্রায় ১২ বছর আগে। বৃদ্ধ সালেহার কাছের আপন আত্মীয় বলতে এক ছেলে থাকলেও তিনি পেশায় একজন রিকশা চালক। বেশি টাকা আয় করতে না পারায় মায়ের ভরণপোষণ দিতে পারেন না তিনি। এ কারণে বয়সের ভাড়ে কিছুটা নুয়ে পড়লেও নিরুপায় হয়ে পেটের তাগিদে মাটি দিয়ে চুলা তৈরির কাজ করতে হয় সালেহাকে।


চুলা বিক্রি করে তিনি কোনো মাসে তিন হাজার, আবার কোনো মাসে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করেন। এ টাকায় খেয়ে না খেয়ে তাকে পার করতে হয় পুরো মাস।

পুলিশ লাইন এলাকায় সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, দূর দুরন্ত থেকে মাঠ ঘাটের মাটি সংগ্রহ করে তৈরি করে রেখেছেন ছোট বড় প্রায় ১৫ থেকে ২০টি চুলা। শুকনো মৌসুমে প্রতিটি চুলা তৈরি করতে সালেহার সময় লাগে ৮ থেকে ১০ দিন। এসব চুলার আকার অনুযায়ী প্রতিটি চুলা বিক্রি হয় ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। এতে গড়ে প্রতি মাসে ১০ থেকে ১২টি চুলা বিক্রি করে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা আয় করেন তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে বিধবা সালেহার বিষয়ে জানতে চাইলে শাহনাজ নামের এক প্রতিবেশী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, এই চুলা বিক্রি করেই তার নিজের পেট চালায়। তার ছেলে শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় সেও ঠিকভাবে রিকশা চালাতে পারে না। এ কারণেই আমি তাকে দেখি প্রায় চার পাঁচ বছর ধরে এই চুলা তৈরি করেন। অনেক কষ্ট করে দূর থেকে মাটি নিয়ে এসে ১০ থেকে ১২ দিন পরিশ্রম করে একেকটি চুলা বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেন। এরপর বড় ছোট আকার অনুযায়ী ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করেন প্রতিটি চুলা, তাও আবার কোনোদিন বিক্রি হয় আবার কোনোদিন বিক্রি হয় না। আত্মীয় স্বজন বলতে এক ছেলে, সেও অসুস্থ থাকায় কষ্ট হলেও তাকেই এ বয়সে এখন কাজ করতে হয়।


বরগুনার সোনাখালী এলাকার শিউলি বেগম কাজের সুবাদে প্রতিদিন যাওয়া আসা করেন পুলিশ লাইনের ওই রাস্তা হয়ে, বৃদ্ধ বিধবা নারী সালেহার বিষয়ে তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই দেখি তিনি দূর থেকে মাটিকাঁদা নিয়ে এসে চুলা তৈরি করেন। তবে এ চুলার বিকল্প গ্যাসের চুলা থাকায় এখন তো তেমন কেউ মাটির চুলা ক্রয় করে না। এতে কোন দিন ১ টা বিক্রি হয় আবার হয়ও না, আবার দু’মাসেও কোন চুলা বিক্রি হয় না এমনও হয়। এই চুলা বিক্রি করে যে টাকা আয় হয় তা দিয়ে সে কি খায় কি করে কীভাবে চলে তা তিনিই জানেন।

বৃদ্ধ বয়সে কোনো ধরনের কষ্টের কাজ না করে ঘরে থাকার কথা। কী কারণে প্রতিদিন চুলা তৈরির মত পরিশ্রম করছেন জানতে চাইলে বৃদ্ধ সালেহা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ১১ বছর ধরে এই চুলা তৈরির কাজ করি। আগে কম কাজ করলেও এখন প্রায় গত তিন বছর কষ্ট করে খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে অনেক বেশি কাজ করতে হয়। অভাব না থাকলে কী কেউ এ কষ্টের কাজ করে? আগে ছেলে কিছু টাকা পয়সা দিত, এখন সে অসুস্থ থাকায় আগের মত কোনো টাকা পয়সা দিতে পারে না। ছেলের বউ সেও বাসা বাড়িতে কাজ করে তাদের সংসার চালায়। আমাকে কীভাবে খাওয়াবে? বয়সের কারণে অন্য কোনো কাজ করতে না পারায় বাধ্য হয়েই চুলা তৈরি করেই চলতে হয়। এছাড়া চুলাগুলো ঢেকে রাখতে ভালো দুটি পলিথিন দরকার, তাও কিনতে পারি না। যে টাকা আয় করি তা দিয়ে প্রতিদিন বাজার কিনেই খেতে হয়। আমার এ কষ্টের কথা কাউকে বলতে পারি না। আল্লাহ যদি আমারে কিছু একটা ব্যবস্থা করে দিত, তাহলে আর এত কষ্ট করতে হত না।

;

পেনশন স্কিমে নিবন্ধন না করলে আশ্রয়ণের ঘর বাতিলের হুমকি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন না করলে বরাদ্দকৃত ঘর বাতিলের হুমকি দিয়েছেন ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা সাহাব উদ্দিন। অভিযোগ উঠেছে তিনি বলেছেন, পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করো; নয়ত আশ্রয়ণের ঘর বাতিল করে দেব।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১৩ মে) উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের রাজষপুর আশ্রয়ণে গিয়ে বাসিন্দাদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করতে বলেন ভূমি কর্মকর্তা সাহাবউদ্দি। এ সময় তিনি ওই আশ্রয়ণের সর্দার মো. শাহাদাতকে মঙ্গলবারের (১৪ মে) মধ্যে বাসিন্দাদের নিয়ে পরশুরাম সোনালী ব্যাংকে গিয়ে ছবি ও আইডি কার্ড দিয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করতে নির্দেশনা দেন। পেনশন স্কিম চালু না করলে বরাদ্দকৃত ঘর বাতিল করবেন বলেও জানান তিনি। একইসময় তার সঙ্গে স্থানীয় ইউপি সদস্য পেয়ার আহম্মদও আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের দ্রুত পেনশন স্কিম চালু করতে বলেন। 

রাজষপুর আশ্রয়ণের বাসিন্দা পারভীন আক্তার বলেন, ঘরবাড়ি না থাকায় আমরা আশ্রয়ণে থাকি। সেখানের সবারই আর্থিক অবস্থা খারাপ। তারমধ্যে যদি এমন কিছু করে আমাদের আর যাওয়ার জায়গা থাকবে না। গরিব মানুষ কাউকে কিছু বলতেও পারিনা। খুব কষ্টে দিন পার করেছি।

আরেকজন বাসিন্দা বিজলি আক্তার বলেন, আশ্রয়ণের সর্দার শাহাদাত ও ইউপি সদস্য পেয়ার আহাম্মদ একটি লিফলেট দিয়ে ব্যাংকে পাঠিয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে তাদের কথা মতো ছবি, এনআইডি আর লিফলেট নিয়ে সোনালী ব্যাংকে গিয়েছি। কিন্তু সঙ্গে ৫০০ টাকা না নেওয়ায় ব্যাংকের কর্মকর্তারা ফিরিয়ে দিয়েছেন। 

তিনি বলেন, আমি অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোনমতে বেঁচে আছি। এসব পেনশন স্কিমের বিষয়ে কিছু জানিনা। ভূমি অফিসের একজন স্যার পেনশন স্কিমে নিবন্ধন না করলে আমাদের ঘর বাতিল করে দেবেন বলেছে। এখন কিভাবে কি করব জানিনা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য পেয়ার আহম্মদ বলেন, আমি ভূমি কর্মকর্তার সঙ্গে সেখানে গিয়েছি। তাদের পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে চিথলিয়া ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা সাহাব উদ্দিন বলেন, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করতে বলেছি। কাউকে জোর করা বা ঘর বাতিলের কথা বলিনি৷  

পরশুরাম উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, পেনশন স্কিম নিবন্ধন করতে সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে। আশ্রয়ণের বাসিন্দারা নিবন্ধন না করলে বরাদ্দকৃত ঘর বাতিলের বিষয়টি সঠিক নয়। 

পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন, ভালো কাজের জন্য মানুষকে বলতে হয়। কিন্তু খারাপ কাজের জন্য বলতে হয় না। পেনশন স্কিম চালু করলে তাদের ভবিষ্যতের জন্যই উপকার হবে। তবে নিবন্ধন না করলে তাদের ঘর বাতিল করে দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। 

;