যানজট আর মৃত্যুঝুঁকি সিরাজগঞ্জ-বগুড়া মহাসড়কে!

  • শাহরিয়ার হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের বগুড়ার শেরপুর অংশে তীব্র যানযট/ ছবি: সুমন শেখ

ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের বগুড়ার শেরপুর অংশে তীব্র যানযট/ ছবি: সুমন শেখ

শেরপুর (বগুড়া) থেকে: ঈদযাত্রায় শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের মতো অগ্রিম টিকিটে বাড়ি ফেরার পথে যাত্রীরা। রাজধানী ছেড়ে আসতে শুরু করেছে উত্তরবঙ্গের মানুষ। তবে এবার ঈদের শুরুতেই ঢাকা-বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া বেড়েছে মৃত্যুঝুঁকিও।

সরেজমিনে দেখা যায়, সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়া পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটারের ২০ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। এখনও চলছে সংস্কারের কাজ। সংস্কার আর খানা-খন্দে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। যেটা সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়ার শহরতলী শেরপুর পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/31/1559301945488.jpg

অন্যদিকে, খানাখন্দক মাড়িয়ে যানবাহন চলাচলে চালকদের যেমন ভোগান্তি হচ্ছে, ঠিক তেমনি যাত্রীরা সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না। এসবে এই মহাসড়কের ‘ব্ল্যাক স্পট’গুলো আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। একাধিক গাড়িচালক বলছেন, এতে মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে গেছে।

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বগুড়ার শেরপুরের ছোনকা নামক স্থানে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে যাত্রীবাহী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের সাথে একটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে বাসের কিছু না হলেও ট্রাকচালক নিহত হন।

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার উপর দিয়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক খুব একটা প্রশস্ত না। এই রাস্তায় চালকদের মধ্যে ওভার-টেকিং করার প্রবণতা বেশি থাকে। তাছাড়া রাস্তার দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা সড়কটিকে আরও সরু করে দিয়েছে। যার ফলে এই মহাসড়কের এই অংশে যানজট লেগেই থাকে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/31/1559301967978.jpg

অন্যদিকে, দুই লেনের রাস্তার মাঝখানে নামেমাত্র রোড ডিভাইডার দিলেও সেটি কোনো কাজে আসছে না। রিক্সা, সিএনজি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে রাস্তার এপাশ থেকে ওপাশ।

শেরপুরে স্থানীয় বাসিন্দা ফজলুল করিম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘প্রতিবছরই ঈদকে কেন্দ্র করে এখানে তীব্র যানজট হয়। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে যানজট ও দুর্ঘটনা এড়ানোর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। যার ফলে শেরপুর বাজার থেকে বগুড়া ১০ কিলোমিটার দূরত্ব হলেও ঈদকেন্দ্রিক যানজটে দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্তও সময় লাগে। যে যানজট বগুড়া-রংপুর মহাসড়ক পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/31/1559301914661.jpg

জানতে চাইলে শ্যামলী পরিবহনের গাড়িচালক সোলায়মান আলী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘সরু রাস্তার দু'পাশ ডিভাইডার দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। সেখানে একটা গাড়ি চালানোই কঠিন। এর মধ্যে অনেকে গাড়ি অতিক্রম করতে চায়। ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। এই বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে দুর্ভোগ হবেই। কেননা দুর্ভোগ যেন না হয়, এমন ব্যবস্থা করা হয় না কখনো।‘

একই বিষয়ে এসআর গাড়ির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মতিয়ার হোসেন বলেন, ‘দুর্ভোগ বা দুর্ঘটনা এড়াতে ঈদ কেন্দ্রিক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। যদি হতো তাহলে উত্তরবঙ্গের এই প্রবেশদ্বারে এই যানজট হতো না।’