৫০০ টাকার দ্বন্দ্বে সংঘর্ষ, দুই পরিবারে আহত ১০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজশাহী
আহত একরামুলের পরিবারের সদস্যরা, ছবি: সংগৃহীত

আহত একরামুলের পরিবারের সদস্যরা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা গ্রামের দুই প্রতিবেশী একরামুল হক (৫০) ও সাদিকুল ইসলাম (৪৫)। কোরবানির ঈদের আগে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে ঢাকায় একসঙ্গে কাজ করতে যান একরামুলের ছেলে খাইরুল ইসলাম (২৮) ও সাদিকুলের ছেলে সজীব হোসেন (২০)। ঈদে বাড়িতে ফেরেন দু’জন একসঙ্গে।

তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক সাদিকুলের ছেলে সজীবকে ৫০০ টাকা কম দেয়। এনিয়ে সজীব একরামুলের ছেলে খাইরুলকে দায়ী করে। বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। ঈদের পর থেকে প্রায়ই প্রতিদিনই ছোট ছোট বিষয় নিয়ে ঝগড়া লাগে দুই পরিবারের সদস্যদের মাঝে। ঝগড়ার কেন্দ্রে থাকে সজীবের ৫০০ টাকা কম পাওয়া!

সবশেষ গত ২০ আগস্টও দুই পরিবারের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে ওই ৫০০ টাকা কম পাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে রূপ নেয়। ঝগড়া থেমে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর বাড়ি ফেরেন সজীবের বাবা সাদিকুল ইসলাম। ঝগড়ার খবর শুনে তিনি প্রতিবেশী একরামুলের বাড়িতে হামলা চালান। সঙ্গে তার স্ত্রী সুমি খাতুন (৩৫), ছেলে সজীব ও রায়হানও যায়।

তারা অতর্কিতভাবে একরামুলের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও বাড়ির সব সদস্যদের মারপিট করেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। যাতে একরামুলের পরিবারের সকল সদস্য আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা হাসপাতাল ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আহতরা হলেন- একরামুল হক (৫০), তার ছেলে খাইরুল ইসলাম (২৮), মাজহারুল ইসলাম (২৪), মো. নয়ন (২০), পিয়ারুল ইসলাম (১৮) এবং নয়নের স্ত্রী রুবিনা খাতুন (১৮)। তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে। একই সময়ে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা নেন সাদিকুল ইসলাম, তার স্ত্রী সুমি খাতুন, ছেলে সজীব ও রায়হান।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) গোদাগাড়ী মডেল থানায় মামলা দায়ের করতে যান। ঘটনা শুনে ওসি জাহাঙ্গীর আলম মামলা না নিয়ে দুই পরিবারকে আপোষ-মীমাংসা করে ফেলার নির্দেশ দেন। যাতে রাজি নয় একরামুলের পরিবার। তাদের দাবি- তারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের দোষও কম।

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সাদিকুল ইসলাম বলেন, ‘সেদিন ‍দু’পক্ষে মারামারি হয়েছে। আমরাও তাদের মেরেছি, তারাও মেরেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলে গায়ে খেটে টাকা আয় করছে, তা মেরে খাবে, এটা সহ্য করবো না। মীমাংসা করতে হলে ওই ৫০০ টাকা দিয়ে মীমাংসা করতে হবে।’

হামলার শিকার খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘ঠিকাদার কেনো সজীবকে ৫০০ টাকা কম দিয়েছে, সেটা আমিও জানি না। অথচ তারা আমাকে দোষারোপ করছে। এনিয়ে প্রতিদিন ঝগড়া করে। শেষ পর্যন্ত তারা আমার বাবা ও ভাইদের মারধর করেছে। হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে আমার প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। অথচ থানায় মামলা করতে গেলেও ওসি তা নেন নি।’ তার অভিযোগ পুলিশকে ঘুষ দিয়ে সাদিকুল ও তার ছেলে সজীব ম্যানেজ করে ফেলেছেন।

তবে গোদাগাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমাদের কাছে কেউ এমন অভিযোগ নিয়ে আসেনি। আসলে অবশ্যই মামলা গ্রহণ করে তদন্ত করে দেখা হবে।’

   

বরিশালে টাকা লেনদেনের অভিযোগে তিন নির্বাচন কর্মকর্তা আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালের গৌরনদী পৌরসভায় মেয়র পদে উপনির্বাচনে টাকা লেনদেনের অভিযোগে প্রিজাইডিং অফিসার ও দুই সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারসহ মোট তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তারা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন।

এদিকে, নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে টানটান উত্তেজনা এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকির মধ্য দিয়ে বুধবার (২৬ জুন) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে বরিশালের গৌরনদী পৌরসভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। যা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। 

একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়ার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

প্রসঙ্গত, বরিশাল গৌরনদী পৌরসভার মেয়র হারিছুর রহমান পদত্যাগ করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়েছেন। তার পদত্যাগের কারণে মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন অফিসার। এ পৌরসভার প্রায় ৩৭ হাজার ২৪৩ জন ভোটার নয়টি ওয়ার্ডের ১৪টি কেন্দ্রে প্রথমবারের মতো ইভিএমের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।

;

শাহজালাল বিমানবন্দরে চালু হলো শাটল বাস সার্ভিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শাহজালাল বিমানবন্দরে চালু হলো শাটল বাস সার্ভিস

শাহজালাল বিমানবন্দরে চালু হলো শাটল বাস সার্ভিস

  • Font increase
  • Font Decrease

যাত্রীদের ভোগান্তি কিমাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিআরটিসির শাটল বাস সার্ভিস সেবা চালু করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) সকাল ১১ টায় শাটল বাসে উদ্বোধন করেন সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী ফারুক খান উপস্থিত ছিলেন।

বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রবাসী, রেমিটেন্স যোদ্ধা, দেশী ও বিদেশি পর্যটক ও সাধারণ যাত্রীদের বিমানবন্দরে যাতায়াত ও লাগেজ সামগ্রী পরিবহনের সুবিধার্থে বিআরটিসি চালু করতে যাচ্ছে বিমানবন্দর শাটল বাস সার্ভিস সেবা। এই পরিষেবার মাধ্যমে বিমানবন্দরের যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপদে তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারবে। বিআরটিসির কারিগরি দক্ষতায় তৈরি বিশেষ এই বাসটি সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত লাগেজ পরিবহনের সুবিধা, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ফ্রি Wifi এবং প্রবীণ ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের বাসে উঠা নামার বিশেষ ব্যবস্থা। গাজীপুরস্থ সমন্বিত কেন্দ্রীয় মেরামত কারখানায় বিআরটিসি নিজস্ব কারিগরি দক্ষতায় প্রাথমিকভাবে ২টি বিশেষ শাটল বাস প্রস্তুতির কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।


বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো.তাজুল ইসলাম বলেন, বিমানবন্দর থেকে দুইটি বাস উত্তরার জসিম উদ্দিন পর্যন্ত চলাচল করবে। এতে যাত্রীদের পরিবহন ভোগান্তি কমাবে। পাশাপাশি যাত্রীদের হয়রানি ও প্রতারিত হবে না।

সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, পাকিস্তান আমল থেকেই বিআরটিসি লসের মুখে ছিল। এখন বিআরটিসি লাভে আছে। আগামীতে এই যাত্রা আরও ভালো হবে। বিমানবন্দরের শাটল বাসের মাধ্যমে যাত্রীদের যাত্রা আরও সহজ হবে।

এর আগে মঙ্গলবার বিমানবন্দরে এক গণশুনানিতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান এ সেবা চালুর তথ্য দিয়ে বলেন, এতে করে কোনো যাত্রী ব্যক্তিগত গাড়ি বা ট্যাক্সি নিতে না চাইলে এ বাসের সেবা নিতে পারবেন।

;

ফেনীতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অভিযানে দেড় বছরে ৩৯০ মামলা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ফেনী
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, ছবি: সংগৃহীত

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীতে গত ১৮ মাসে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ফেনী।

বুধবার (২৬ জুন) আন্তর্জাতিক মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী দিবসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

কার্যালয়টির দেয়া তথ্যানুযায়ী, ফেনীতে ২০২৩ সাল এবং ২০২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত মাদকদ্রব্য আইনে ৩৯০ টি মামলায় ৩৯৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এবং বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে ২০২৩ সালে ৩ হাজার ৯১১ টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে এবং ২০২৪ সালের অদ্যাবধি পর্যন্ত ১ হাজার ৪৯০ টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের দেয়া তথ্যানুসারে, ২০২৪ সালের মে মাস অব্দি মোট মামলার সংখ্যা ১২১ টি, আসামি ১২১ জন। এরমধ্যে ইয়াবা ৪০ হাজার ৫৬৮ পিস,গাজা ২৮ কেজি ৮৫০ গ্রাম, চোলাইমদ ৩৬ লিটার, বিদেশীমদ ২০৯ বোতল, বিয়ার ৩ ক্যান, মুলি ৩ কেজি ৫০০ গ্রাম, ট্যাফেন্টাডল ট্যাবলেট ৪৫০ পিস, ৮ রাউন্ড গুলিসহ পাইপগান ১ টি উদ্ধার করা হয়েছে।

২০২৩ সালে ২৬৯ মামলায় আসামি ২৭৮ জন। এরমধ্যে ইয়াবা ৩৩ হাজার ৯৭৯ পিস,গাজা ১১৮ কেজি ১০০ গ্রাম, চোলাইমদ ১০৭ লিটার, বিদেশীমদ ৬৯ বোতল, ফেন্সিডিল ৪৮ বোতল,বিয়ার ৩০ ক্যান, ওয়াস ১ হাজার ২০ কেজি, জি পেথিডিন ইনজেকশন ৫ এ্যাম্পুল, মুলি ২০ পিস, কোডিনযুক্ত মাদকদ্রব্য ৮বোতল, মোবাইল সেট ১ টি, পিক আপ ১ টি, সিএনজি ১ টি উদ্ধার করা হয়েছে।

একই সূত্র জানায়, ২০২১-২২, ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গণসচেতনতা কার্যক্রমের আওতায় ১০টি সেমিনার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদকবিরোধী সচেতনতা সৃষ্টিতে মেন্টর তৈরি করা হয়েছে ৯২ টি, আলোচনা সভা করা হয়েছে ২৩ টি, মাদকবিরোধী শ্রেণি বক্তৃতা ১৭ টি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ক্লাব এনজিও ও সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে শর্ট ফিল্ম প্রদর্শিত হয়েছে ১৫৪ টি, কারাগারে বন্ধীদের মাদকবিরোধী প্রচারণামূলক কার্যক্রম হয়েছে ৭ টি। এছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকবিরোধী স্লোগান সম্বলিত কলম খাতা, স্কেল বিতরণ করা হয়েছে এবং মাদকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে ব্যানার পোস্টার লিফলেট বিতরণ করা হয়ছে।

ফেনীতে মাদকদ্রব্যের বিষয়ে উপ পরিচালক সোমেন মন্ডল জানান, বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ফেনী সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়াতে মাদকের হার এখানে বেশি হয় এবং সে অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করা হয়। এছাড়াও ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের ট্রানজিট হওয়াতে ফেনী দিয়ে মহাসড়কে মাদক পাচার বেশি হয় বলে জানান তিনি। যার ফলে ফেনীতে ফেনীর মানুষ ছাড়াও আশেপাশের বিভিন্ন জেলার মানুষ ধরা পড়ে।

তিনি বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে চিহ্নিত স্থান গুলোতে নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদক নিয়ন্ত্রণে থাকলেও যারা ধরা পড়ে অধিকাংশই যুবক বয়সী বলে জানান তিনি।

অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, মাদক নিরাময় কেন্দ্র গুলোতে ৯০ শতাংশ ১৫ থেকে ৩৫ বয়সী। এটি খুবই উদ্বেগজনক। এদেরকে মাদকের ভয়াবহতা থেকে বের করতে হলে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। খেলাধুলাসহ পারিবারিক ভালো অবস্থানের মাধ্যমে পরিত্রাণ করতে হবে। তবেই মাদকের ভয়াবহতা থেকে তরুণদের বের করে আনা সম্ভব হবে।

;

স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের লগো, ছবি: সংগৃহীত

স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের লগো, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ)  ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। 

বুধবার (২৬ জুন) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত বিশেষ দরবারে প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা, তিন বাহিনী প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, মহাপরিদর্শক বাংলাদেশ পুলিশ, মহাপরিচালক আনসার ও ভিডিপি, পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং এসএসএফ এর সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই এসএসএফ এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান, স্বাগত বক্তব্যে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ বাঙালি জাতির সবচেয়ে দুভার্গ্যময় রাত ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ এ শাহাদৎ বরণকারী বঙ্গবন্ধু পরিবারের সব শহীদদের। তিনি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শাহাদৎ বরণকারী সব বীর শহীদদের যারা বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনেন আমাদের কাঙ্খিত স্বাধীনতা।

মহাপরিচালক, এসএসএফ তার বক্তব্যে এই বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সবার মাঝে তুলে ধরেন। মহাপরিচালক জানান, উন্নয়নের মহাসড়কে নিজেদের অবস্থানকে সুসংহত রাখতে প্রধানমন্ত্রীর সদয় অনুশাসন এবং সুদূরপ্রসারী দিকনির্দেশনা অনুযায়ী এসএসএফ এ সংযোজিত হওয়া অত্যাধুনিক ভিআইপি প্রটেকশন ইকুইপমেন্টসমূহ এ বাহিনীকে বিশ্বের একটি অত্যাধুনিক ও যুগোপযোগী নিরাপত্তা বাহিনীতে রূপান্তরিত করেছে। তিনি এ বাহিনীর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সদা সানুগ্রহ ও সুদৃষ্টির জন্য সব সদস্যের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়াও মহাপরিচালক, এসএসএফ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ এবং আমন্ত্রিত বৈদেশিক রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের নিরাপত্তা প্রদানের মহান দায়িত্ব পালনকালে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত দরবারে প্রধানমন্ত্রী অত্র বাহিনীর সব সদস্যদের দক্ষতা, নিষ্ঠা, কর্তব্যপরায়নতা, আনুগত্য, পেশাদারিত্ব ও নৈপুণ্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন। জনসাধারণ থেকে দূরত্ব সৃষ্টি করে নয় বরং জনসম্পৃক্ততা স্বাভাবিক রেখেই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব আরোপ করেন। ভবিষ্যতেও এই বাহিনীর সদস্যবৃন্দ অতীতের ন্যায় প্রশ্নাতীত আনুগত্য ও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব প্রদর্শন করে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে ও সরাসরি নেতৃত্বে পরিচালিত এ বাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য তাঁর আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য যে, দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং সরকার কর্তৃক ঘোষিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের দৈহিক নিরাপত্তার জন্য ১৯৮৬ সালে রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা বাহিনী গঠিত হয়। পরবর্তীতে এই বাহিনীকে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স হিসেবে নতুন নামকরণ করা হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যবধি এই বাহিনীর সদস্যগণ প্রশ্নাতীত আনুগত্য, নিষ্ঠা এবং অকৃত্রিম বিশ্বস্ততার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছে। বাংলাদেশ সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ ও আনসার বাহিনী থেকে প্রেষণে নিযুক্ত অফিসারদের নিয়ে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স গঠিত।

স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্মারক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে এসএসএফের মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রীর পাঁচবার সরকার গঠনের পূর্বের শপথ গ্রহণের ছবি সম্বলিত প্রতিকৃতি 'স্বপ্নের রূপকার' এবং বাংলার ঐতিহ্যবাহী নানা ধরনের নৌকার রেপ্লিকা উপহার হিসেবে প্রদান করেন।

;