বিয়ে-সুন্নতে খৎনায় ব্যবহার হচ্ছে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি ‘বড়কুঠি’!



স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজশাহী
বড়কুঠি ভবন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বড়কুঠি ভবন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী মহানগরীর বড়কুঠি ভবনের সামনেই প্রবেশপথের পাশে একটি সাইনবোর্ড রয়েছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের। এতে লেখা রয়েছে-‘সংরক্ষিত পুরাকীর্তি, কোনো ব্যক্তি এ পুরাকীর্তির কোনো অংশ ধ্বংস বা অনিষ্ট সাধন করলে অথবা এর কোনো বিকৃতি বা অঙ্গচ্ছেদ ঘটালে বা এর কোনো অংশের ওপর কিছু লিখলে বা খোদাই করলে বা কোনো চিহ্ন বা দাগ কাটলে ১৯৬৮ সালের ১৪ নম্বর পুরাকীর্তি আইনের ১৯ ধারায় সর্বাধিক এক বছর পর্যন্ত জেল বা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’

অথচ শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকেল থেকে সন্ধ্যা অব্দি ধুমধামে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়ে গেল রাজশাহীর সর্বপ্রাচীন দালান ‘বড়কুঠি’তে। দিনভর প্রাচীন এ পুরাকীর্তির ভেতর চুলা বসিয়ে রান্না-বান্না, খাওয়া-দাওয়া, বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সবই হলো। ভবনটির নিচতলা ব্যবহার করে অনুষ্ঠিত হলো বিয়ের অনুষ্ঠান। অথচ দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই কর্মচারী ছাড়া স্থানীয় প্রশাসনের কেউই বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেছেন।

বড়কুঠি এলাকার বাসিন্দা মো. আলমের মেয়ে মিমি খাতুনের বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতাই সেখানে হয়। বর রুবেল হোসেনের বাড়ি নগরীর তেরোখাদিয়া এলাকায়। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী। আর মিমির বাবা আলম রাজশাহী সিটি করপোরেশনের একজন কর্মচারী।

শুক্রবার বিকেলে বড়কুঠির সামনে গিয়ে দেখা যায় বিয়ের জন্য নির্মাণ করা গেট। প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতেই পশ্চিম দিকে চোখে পড়ল চুলা জ্বালিয়ে রান্না করার দৃশ্য। আর পূর্ব দিকে ধুয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে খাবারের থালা। উচ্ছিষ্ট খাবার পড়ে ছিল সেখানে। মূল ভবনের ভেতরে ঢুকতেই যে কক্ষ, সেখানে করা হয়েছিল কনের বসার স্থান। এ কক্ষটি পার হয়ে ভেতরে গেলেই ‘পাঠকক্ষ’ নামের একটি কক্ষ। চেয়ার-টেবিল সাজিয়ে সেখানে চলছিল খাওয়া-দাওয়া। আর ‘তাসকক্ষ’ নামের আরেকটি কক্ষে রান্নার পর রাখা হয়েছিল খাবার। এছাড়া পাশের আরেকটি কক্ষে করা হয়েছিল বর রুবেল হোসেনের বসার স্থান। পুরো বড়কুঠি ভবনের নিচতলা ছিল লোকে লোকারণ্য। ঠিক কমিউনিটি সেন্টারের মতোই ব্যবহার হলো প্রাচীন এই ভবনটি।

ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ডাচরা রাজশাহী শহরে রেশম ও অন্যান্য জিনিসের ব্যবসা শুরু করে। ওই শতাব্দীর মাঝামাঝি কোনো এক সময় তারা বড়কুঠি নির্মাণ করে। ব্যবসায়ীদের কাছে ‘ডাচ্ ফ্যাক্টরি’ হিসেবে পরিচিত এ স্থাপনাকে স্থানীয়ভাবে ‘বড়কুঠি’ বলা হয়। আশপাশের সব নীলকুঠির মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় বা মর্যদা সম্পন্ন হওয়ায় এর নাম হয়েছিল বড়কুঠি। বড়কুঠি নির্মাণকালে এর চেয়ে বড় কোনো ভবন রাজশাহী শহরে ছিল না।

দেশভাগের পর ১৯৫১ সালে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হলে বড়কুঠি সরকারি সম্পত্তিতে পরিণত হয় এবং খাদ্য বিভাগের অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে। ১৯৫৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হলে বড়কুঠি বিশ্ববিদ্যালয়কে হস্তান্তর করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় তার বর্তমান অবস্থানে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বড়কুঠি উপাচার্যের কার্যালয় ও বাসস্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে বড়কুঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ক্লাব রয়েছে। সম্প্রতি এটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। তবে প্রক্রিয়াটি এখনো পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি।

বড়কুঠির দেখাশোনার জন্য এর নিচতলায় পরিবার নিয়ে থাকেন প্রহরী গোলাম মোর্তজা চান্দু। দু’টি কক্ষ তিনি ব্যবহার করেন। এর একটি ‘ক্রীড়া কক্ষ’ তার শোবার ঘর। মোর্তজার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের পিয়ন মো. বাবলুও বড়কুঠির দেখাশোনার দায়িত্বে আছেন। তবে তিনি পরিবার নিয়ে থাকেন বড়কুঠি ভবনের সামনের মহল্লায়। এ দুই কর্মচারী বড়কুঠিতে বিয়ের অনুষ্ঠানের অনুমতি দিয়েছেন।

বিষয়টি স্বীকার করে কনের বাবা মো. আলম বলেন, ‘বড়কুঠিতে এর আগেও বিয়ে ও সুন্নতে খৎনাসহ বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান হয়েছে। এজন্য মাত্র এক হাজার টাকা ভাড়া লাগে। তিনি বাবলু ও মোর্তজার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে অনুষ্ঠান করেছেন।’

জানতে চাইলে বড়কুঠির প্রহরী গোলাম মোর্তজা বলেন, ‘ভবনটিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ক্লাব রয়েছে। বিয়ে, সুন্নত খৎনা, জন্মদিন, মুখে ভাতের যেসব অনুষ্ঠান এখানে করতে দেওয়া হয়, তা থেকে প্রাপ্ত টাকা কর্মচারী ক্লাবের তহবিলে জমা করা হয়। আমরা নেই না।’

তবে প্রত্মতত্ত্ব অধিদফতরের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক নাহিদ সুলতানা বলেন, ‘এতো প্রাচীন স্থাপনায় ব্যক্তিগত বা সামাজিক অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়া অকল্পনীয়। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে একটি পুরনো মিলনায়তন আছে। প্রাচীন ঐতিহ্য বলে সেখানেই আমরা কোনো অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেই না। আর রাজশাহীর বড়কুঠি তো আরও গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। একজন কর্মকর্তা পাঠিয়ে এ বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।’

বড়কুঠিতে বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এমএ বারী বলেন, ‘ভবনটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাই প্রত্মতত্ত্ব অধিদফতর সেখানে সাইনবোর্ড টাঙিয়েছে। এ অবস্থায় ভবনটি দেখাশোনার জন্য জেলা প্রশাসনেরও দায়িত্ব রয়েছে।’

তবে জেলা প্রশাসক হামিদুল হক জানান, বড়কুঠি এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকায় এর যেন কোনো ক্ষতি না হয়, সেটি তাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে। তারপরেও তিনি এ বিষয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে কথা বলবেন। ভবনটির যেন কোনো ক্ষতি না হয়, সেটি নিশ্চিত করা হবে।

   

ঝুম বৃষ্টিতে ভিজল ঢাকা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঝুম বৃষ্টিতে ভিজল ঢাকা, ছবি: বার্তা২৪.কম

ঝুম বৃষ্টিতে ভিজল ঢাকা, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আষাঢ়ের শুরু থেকেই বৃষ্টি ঝরছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। বুধবার হঠাৎ করেই ঝুম বৃষ্টিতে ভিজেছে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকা। এতে করে কিছুটা সমস্যায় পড়েছেন দিনের শুরুতেই পথে নামা কর্মজীবী মানুষ।

সকাল ৯টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। মাঝে কিছুক্ষণ বিরতি দিলে পৌনে ১০টায় শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। অফিস আওয়ারে বৃষ্টি হওয়া পথেই ভিজতে হয়েছে অনেককেই। কেউ কেউ বৃষ্টি থেকে বাঁচতে যাত্রী ছাউনিতে আশ্রয় নিয়েছেন। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন মোটরসাইকেলের আরোহীরা। তাদেরকে দেখা গেছে, ফ্লাইওভারের নিচে, যাত্রী ছাউনিতে আশ্রয় নিতে। আবার কেউ কেউ রাস্তায় বাইক দাঁড় করে রেখে কোন দোকানে ঠাঁই নিয়েছেন।


রাজধানীর কারওয়ান বাজার, পান্থপথ, ধানমণ্ডি, মোহাম্মদপুর, আগারগাঁও, ফার্মগেট, হাতিরঝিল, মিরপুর, গুলিস্তান ও নিউমার্কেট এলাকায় বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। তবে এ বৃষ্টির পরিমাণ কোথাও কম আবার কোথাও বেশি শোনা গেছে।

এদিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকাসহ প্রায় সব বিভাগেই দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির কথা আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বুধবােরর (২৬ জুন) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকাসহ দেশের আটটি অঞ্চলের উপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।


এতে বলা হয়েছে, ঢাকা, কুমিল্লা, নোয়াখালী, বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, মঙ্গলবার রাতে দেওয়া আবহাওয়ার সবশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বুধবার সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে।

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ২২ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকাল ছয়টা থেকে বুধবার (২৬ জুন) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ৫৩৫ পিস ইয়াবা, ৬২ দশমিক ৫ গ্রাম হেরোইন, ২০ বোতল ফেন্সিডিল ও ১ কেজি ৬০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৫টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;

কারাগারের ছাদ ফুটো করে ফাঁসির ৪ আসামির পলায়ন, পরে গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম,বগুড়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়া জেলা কারাগারের ছাদ ফুটো করে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি পালানোর পরপরই তাদেরকে গ্রেফতার করে জেলা পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) দিবাগত রাত তিনটার দিকে কারাগারে কনডেম সেল থেকে আসামিরা পালিয়ে যায়।

বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পালিয়ে যাওয়ার পর পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী থানার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে নজরুল ইসলাম ওরফে মজনু ওরফে মঞ্জু (৬০), নরসিংদি জেলার মাধবদী থানার ফজরকান্দি গ্রামের মৃত ইসরাফিলের ছেলে আমির হামজা ওরফে আমির হোসেন (৪১), বগুড়া কাহালু উপজেলার উলট্ট গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে জাকারিয়া (৩৪) এবং বগুড়া সদরের কুটিরবাড়ি গ্রামের ইসরাইল শেখের ছেলে ফরিদ শেখ (৩০)।

তারা প্রত্যেকেই হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি।

পুলিশ সুপার বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে চার আসামি ছাদ ফুটো করে বের হয়। এরপর তারা বিছানার চাদর ব্যবহার করে দেয়াল টপকিয়ে বাহিরে বের হয়। ভোর রাত ৩টা ৫৫ মিনিটে পুলিশের একাধিক টিম সংবাদ পেয়ে শহরে তল্লাশী শুরু করে। ভোর রাত ৪টা ১০ মিনিটে শহরের চেলোপাড়া চাষি বাজার থেকে চারজনকেই গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

তিনি বলেন, পালিয়ে যাওয়ার পরপরই জেলা কারাগার থেকে পাঠানো ছবি দেখে গ্রেফতারকৃতদের শনাক্ত করা হয়। গ্রেফতারের পর চারজনকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয় এবং কারা কর্তৃপক্ষ তাদেরকে শনাক্ত করেন।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, কারাগার পরিদর্শন করে দেখা গেছে, তারা চারজন একই সাথে একটি কক্ষে অবস্থান করতো। তারা পরিকল্পিতভাবে ছাদ ফুটো করে পরিধেয় বস্ত্র এবং বিছানার চাদর জোড়া দিয়ে রশি বানিয়ে দেওয়াাল টপকিয়ে পালিয়ে করতোয়া নদীর পার হয়ে পালিয়ে যায়।

পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।

;

কলাপাড়ায় অগ্নিকাণ্ডে পুড়ল রাইসমিল, ১০ লাখ টাকার ক্ষতি



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কলাপাড়া, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অগ্নিকাণ্ডে একটি রাইসমিল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট, থানা পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় আধা ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) উপজেলার সাপ্তাহিক হাট বাজারের শেষ মুহূর্তের রাত ৯.৩০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, পৌর শহরের আন্ধারমানিক নদীর তীরে মৌডুবি ট্রলার ঘাট এলাকার সিরাজুল হক মুন্সির ‘তানভির রাইসমিলে’ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় চাল, হলুদ-মরিচের গুঁড়াসহ অন্যান্য সামগ্রী পুড়ে গেছে।

কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. ইলিয়াস বলেন, খবর পেয়ে আমাদের ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট স্থানীয়দের সহায়তায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।

বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রত্যক্ষদর্শীরা। মিল মালিক সিরাজুল হক মুন্সি বলেন, এ অগ্নিকাণ্ডে আমার প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

;