আবরার হত্যা: সিসিটিভি’র ফুটেজে যা দেখা যায়

  • সেন্ট্রাল ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সিসিটিভি’র ভিডিও ফুটেজ, ছবি: সংগৃহীত

সিসিটিভি’র ভিডিও ফুটেজ, ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ মুজাহিদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার একটি ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে।

রোববার (৭ অক্টোবর) রাতে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-এর হাতে আসা ফুটেজে দেখা যায়, আবরারকে মারধরের পর কক্ষ থেকে বের করা হয়। প্রথমে একজনকে নিচতলার করিডোর দিয়ে কিছুটা দৌড়ে এসে দাঁড়াতে দেখা যায়। এরপর তিনি একই পথে ফিরে যান। পরে করিডোর ধরে গুরুতর আহতাবস্থায় আবরারকে ‘চ্যাংদোলা’ করে তিনজন শিক্ষার্থী নিয়ে আসছেন। এদের একজন তাকে পেছন থেকে ধরে রেখেছেন, আর অন্য দুজন তার দুই পা ধরে করিডোর অতিক্রম করছেন।

বিজ্ঞাপন

তাদের পেছনে একজনকে হেঁটে আসতে দেখা যায়, তার পেছনে আরেকজন হেঁটে আসেন। এর পরপরই আরও পাঁচজন ওই বারান্দা দিয়ে হেঁটে আসেন। সবমিলে ভিডিওতে মোট ১০ জনকে দেখা গেছে। সবার মুখে ভয়। তবে তারা স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করছিলেন তারপরও। তারা শেরে-বাংলা হলের ওই করিডোরে এসে বাঁক নিচ্ছেন। তবে ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: আবরার হত্যায় ১৯ জনকে আসামি করে মামলা

                  আবরার হত্যা: ছাত্রলীগের ২ সদস্যের তদন্ত কমিটি

গত রোববার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে বুয়েটের শের-ই–বাংলা হলের নিচতলা থেকে আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোসণা করেন। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে, এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এ পর্যন্ত নয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে চারজন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের পদধারী নেতা।

আরও পড়ুন: আবরার হত্যা: সিসিটিভি ফুটেজে ১৮ জন শনাক্ত

আটকরা হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের তথ্য-গবেষণা সম্পাদক ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক সরকার এবং ক্রীড়া সম্পাদক ও নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন। এছাড়া আটক বাকি পাঁচজনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানায়নি পুলিশ।