বঙ্গোপসাগরে ৩৫ জেলে অপহৃত
খুলনা: বঙ্গোপসাগরে ফিশিং ট্রলারে ডাকাতি শেষে মুক্তিপণের দাবিতে ৩৫ জেলে অপহরণ করেছে বনদস্যুরা।
শনিবার রাত ১০ থেকে রোববার (৫ আগস্ট) পর্যন্ত সাগরের দুবলার চরের কাছাকাছি অফিস কিল্লা ও ডুবোজাহাজ এলাকায় ডাকাতি শেষে অপহরণের ঘটনা ঘটে।
বনদস্যু ছত্তার ভাই বাহিনীর সশস্ত্র সদস্যরা ফিশিং ট্রলারে ডাকাতি শেষে মুক্তিপণের দাবিতে এই জেলেদের অপহরণ করেছে বলে কোস্টগার্ড, সুন্দরবন বিভাগ ও মৎস্য ব্যবসায়ী নেতারা নিশ্চিত করেছেন।
দুবলা ফিশারমেন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল আহমেদ জানান, অপহৃত জেলেদের মধ্যে পিরোজপুর সদরের বালিপাড়ার কংসা ও মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালী এলাকার ১৫ জেলে রয়েছেন। অপহৃত জেলেদের নাম তাৎক্ষণিক ভাবে জানাতে পারেনি ওই মৎস্যজীবী নেতা।
শরণখোলা উপজেলার মৎস্য ব্যবসায়ীরা বঙ্গোপসাগরে মাছ আহরণ করতে থাকা জেলেদের বরাত দিয়ে জানান, শনিবার রাত ১০ থেকে রোববার পর্যন্ত বনদস্যু ‘ছত্তার ভাই’ বাহিনীর সশস্ত্র সদস্যরা মাছ ধরতে থাকা জেলেদের ট্রলারগুলোতে হামলা চালিয়ে অপহরণ ও লুটপাট চালায়। বনদস্যুরা দুটি ফিশিং ট্রলারে করে এসে জেলেদের ট্রলারে হানা দিয়ে ট্রলারে থাকা মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও অন্যান্য মালামাল লুট করে। এরপর বনদস্যুরা মুক্তিপণের দাবিতে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বগা, শরণখোলা উপজেলার রাজৈর, বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা ও পিরোজপুর সদর ও মঠবাড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৩৫ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা জেলে পল্লীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সাদিক মাহমুদ জানান, গভীর সাগর থেকে জেলেরা দুবলায় ফিরে না আসা পর্যন্ত অপহৃত জেলেদের নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হচ্ছে না।
মংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট আব্দুল্যাহ আল মাহমুদ জানান, বিভিন্ন মাধ্যমে তারা অপহরণের খবর পেয়েছেন।
কোস্টগার্ডের দুবলা, কচিখালী ও কোকিলমনি কন্টিনজেন্টের সদস্যদের সমন্বয়ে রোববার দুপুর থেকে অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।