৯৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ: সোনালী ব্যাংকের তিন কর্মকর্তা গ্রেফতার
খুলনা: খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর সোনালী ব্যাংকের প্রায় ৯৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকের তিন কর্মকর্তাকে ঢাকায় গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (৬ আগস্ট) বিকেলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের ডিএডি মো. মোশাররফ হোসেন তাদের গ্রেফতার করেন। পরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাদের তিনজনকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সোনালী ব্যাংক খুলনার দৌলতপুর শাখার সাবেক এজিএম মানিক চন্দ্র মন্ডল, বর্তমান এজিএম সিরাজুল ইসলাম ও সাবেক কর্মকর্তা অজিত কুমার সরকার। ৯৩ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলার তদন্তে এ তিনজনের জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে দুদক।
এ মামলার এজাহারভূক্ত অপর আসামীরা হলেন, খুলনার মেসার্স ইস্টান ট্রেডার্স’র স্বত্ত্বাধিকারী পাট ব্যবসায়ী সনজিত কুমার দাস, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড’র জিএম অফিস খুলনার এ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার মোঃ নজরুল ইসলাম ও সোনালী ব্যাংক লিমিটেড মহেশপুর শাখা ঝিনাইদহের গোডাউন কিপার মো.মতিয়ার রহমান।
মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)’র ডিএডি মো. মোশাররফ হোসেন জানান, সোমবার ঢাকার সেকুনবাগিচা এলাকা থেকে তাদের তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ মামলার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৮ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সোনালী ব্যাংক লিমিটেড দৌলতপুর কর্পোরেট শাখা থেকে মেসার্স ইস্টান ট্রেডার্স’র সত্ত্বাধিকারী পাট ব্যবসায়ী সনজিত কুমার দাস ৪৯ কোটি ৬২ লাখ ১৪ হাজার ২৩৭টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। কিন্তু সময়মত ঋণ পরিশোধ না করায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৯২ কোটি ৬৩ লাখ ৩১ হাজার ৭৫২টাকা টাকা। ব্যাংকের তদন্তে ঋণ নেয়ার পর গুদামে ১৪ কোটি ৫৫ লাখ ৯৯ হাজার ৬৮২টাকার পাট ঘাটতি ধরা পড়ে। এঘটনায় ২০১৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করে দুদক (যার নং- ৩২)।