নির্বাচনে অনিয়ম হবে না সে নিশ্চয়তা দেয়া যায় না: সিইসি
পাবলিক নির্বাচনগুলোতে অনিয়ম হবে না সে নিশ্চয়তা দেয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা।
তিনি বলেছেন, বড় বড় পাবলিক নির্বাচনে কিছু কিছু অনিয়ম হয়ে থাকে আমরা সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়ে থাকি। বরিশালে বেশি অনিয়ম হয়েছে সেখানে আমরা বাড়তি ব্যবস্থা নিয়েছি।
নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে "প্রতিবন্ধী ভোটারদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা" বিষয়ক ওয়ার্কশপ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সম্প্রতি পাঁচ সিটির নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ধরনের নির্বাচনে অনিয়ম হয়েই থাকে। কিন্তু সিটি নির্বাচন খুব বেশি সুখকর ছিলনা এমনটা মানতে রাজি নই। বড় বড় পাবলিক নির্বাচনে কিছু কিছু অনিয়ম হয়ে থাকে আমরা সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়ে থাকি। বরিশালে বেশি অনিয়ম হয়েছে সেখানে আমরা বাড়তি ব্যবস্থা নিয়েছি। নির্বাচনে অনিয়ম হলে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার সেভাবে আমরা নিয়ন্ত্রণ করব।
বর্তমানে নির্বাচনী পরিবেশ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসুবিধা কোথায়? আমি তো কোন অসুবিধা দেখি না। সংবিধানের বিধান অনুসারে নির্বাচন হবে।
ইসির উপর জাতির আস্থা নেই ড. কামাল হোসেনের এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেন কিভাবে দেখেন তা আমি জানি না। কোন জাতির কি পরিসংখ্যান তার কাছে আছে আমার জানা নেই। একটা কথা বলতে হলে জাতির পরিসংখ্যান নিতে হবে। জাতি কি তাকে বলেছে নাকি, আমরা জাতি নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা রাখতে পারছি না।
সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদের প্রস্তুতি আগে থেকেই ছিল। অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা হবে। ডিসেম্বরের শেষের দিকে অথবা জানুয়ারির প্রথম দিকে সংসদ নির্বাচন হবে। নিয়ম অনুযায়ী জানুয়ারির ২৮ তারিখের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি, কমিশন বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
নির্বাচনের পরিবেশ পক্ষে আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এখন যে পরিস্থিতি রয়েছে এর সঙ্গে নির্বাচনের কোন সম্পর্ক নেই। এটি ভিন্ন ইস্যু। আন্দোলনকারীরা নির্বাচন নিয়ে কোন কথা বলেনি।