জাবালে নূরের বাস মালিকের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

  • কোর্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: রাজধানীর শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার মামলার জাবালে নূরের মালিক মো. শাহাদত হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবী তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

বিজ্ঞাপন

এদিন সাত দিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার শাহাদত হোসেনকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম। শাহাদত হোসেন স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন আদালত তা রেকর্ড করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, শাহাদত হোসেন জাবালে নূর পরিবহনের ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৯২৯৭ নম্বর বাসের মালিক। তার ওই বাসের ড্রাইভার ছিলেন মাসুম বিল্লাহ। তিনি জাবালে নূর কোম্পানীর সভাপতি মো. জাকির হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নোমান ও ডিএমডি অলি আহমেদের পূর্ব পরিচিত এবং তাদের অনুরোধেই চালক মাসুম বিল্লাহর ড্রাইভিং লাইসেন্স যাচাই বাছাই ছাড়াই নিয়োগ প্রদান করেন। তিনি ড্রাইভিং লাইসেন্স যাচাই বাছাই না করে অনুপযুক্ত চালক নিয়োগ করার কারণে গত ২৯ জুলাই শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজীব নিহত হয়।

বিজ্ঞাপন

এর আগে গত ২ আগস্ট শাহাদত হোসেনের সাত দিনের রিমান্ড আবেদলন মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।

গত বুধবার ওই বাস চালক মাসুম বিল্লাহ  একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই দুপুরে কালশী ফ্লাইওভার বাস স্ট্যান্ডে ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিলেন। জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় মুখেই দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে আরেকটি দ্রুতগতি সম্পন্ন জাবালে নূরের বাস ওভারটেক করে সামনে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। নিমিষেই ওঠে পড়ে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের উপর। চাকার নীচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজীব মারা যায়।এছাড়া আহত হয় আরও ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী।

ওই ঘটনায় ২৯ জুলাই দিবাগত রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম এ মামলা দায়ের করেন।