কক্সবাজার বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৃহৎ ভূমিকা রাখার সম্ভাবনা রয়েছে, যা জিডিপিতে ২৫% পর্যন্ত অবদান রাখতে পারে বলে অভিমত দিয়েছেন বক্তারা।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তারুণ্য ভিত্তিক ম্যাপের আয়োজনে জলবায়ু সংকট এবং রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে তরুণ নেতৃত্বের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে প্যানেল ডিসকাশনে অংশ নেয় সম্প্রতি আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা জিমরান মোহাম্মদ সায়েক এবং সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী এএসএম সুজা উদ্দিন। আলোচনা সঞ্চালনা করেন তরুণ সাংবাদিক এবং সংগঠক তানভীরুল মিরাজ রিপন।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারী অতিথিরা কক্সবাজারের জলবায়ু পরিস্থিতি এবং রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
এএসএম সুজা উদ্দিন কক্সবাজারে রোহিঙ্গা সংকটসহ অন্যান্য সামাজিক সমস্যা সমাধানে দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রতিষ্ঠানের অভাবের কথা তুলে ধরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কক্সবাজারের গুরুত্বের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, কক্সবাজার বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৃহৎ ভূমিকা রাখার সম্ভাবনা রয়েছে, যা জিডিপিতে ২৫% পর্যন্ত অবদান রাখতে পারে।
জিমরান মোহাম্মদ সায়েক বলেন, কক্সবাজারের পরিবেশ বিবেচনায় জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় তরুণদের আরো সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বাকু সম্মেলনের তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, জলবায়ু সংকটের প্রভাব মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ।
আলোচনা শেষে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে কক্সবাজার মিউজিক স্কুলের শিল্পী আবছার হাব বিভিন্ন গান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে রোহিঙ্গাদের গান, আমানউল্লাহ গায়েনের গান এবং জুলাই মাসে শহীদদের স্মরণে ‘মুক্তির মন্দির সোপান তলে’ গানটি পরিবেশন করা হয়।
এই আয়োজনটি কক্সবাজারের পরিবেশ, জলবায়ু সংকট এবং রোহিঙ্গা পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে তরুণদের উদ্যোগ এবং ভূমিকা আরও সুদৃঢ় করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আয়োজক তানভীরুল মিরাজ রিপন বলেন, 'কক্সবাজারের তরুণেরা এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন সেক্টরে অবদান রাখছে। কিন্তু আমরা সবাই বিচ্ছিন্ন হয়ে আছি যার ফলে কক্সবাজার নিয়ে যে পরিকল্পনা হচ্ছে সেগুলোতে আমরা এক্সক্লুডেড। তাই আমরা আমাদের এখানকার বিষয়গুলোতে স্টেকহোল্ডার তৈরি করছি, ন্যারেটিভ তৈরি করছি। ম্যাপ এই অঞ্চলের কনফ্লিক্ট ট্রেক করে, থিংক ট্যাংকদের নিয়ে কাজ করে। এই সংলাপ আরো হবে, চলমান থাকবে৷