মহাসড়কে যানজটের শঙ্কা নিয়েই ঈদযাত্রা
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে বাড়ি ফিরছে রাজধানী বাসী। রাস্তার যানজট আর বাড়তি দূর্ভোগ এড়াতে আগেভাগেই গ্রামের পথ ধরেছেন অনেকেই। শনিবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর সায়েদাবাদ, মহাখালি আর গাবতলী বাস টার্মিনালে ঘরে ফেরা মানুষের বেশ উপস্থিতি দেখা যায়। তবে মহাসড়কগুলো যানজটের খবরে সেই ঈদ যাত্রার আনন্দে অনেকটাই ভাটা পড়ছে। এরপরও আশঙ্কা নিয়েই রওনা হয়েছে মানুষ।
পরিবহন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাট, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জসহ বেশ কিছু জায়গায় যানবাহনগুলোকে তীব্র যানজটে পড়তে হচ্ছে। আগামীকাল থেকে যাত্রীদের বাড়তি ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
গাবতলীতে শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার শওকত আলী বাবু বার্তা২৪.কমকে বলেন, পরিবহনগুলোকে টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজটে পড়তে হচ্ছে। আগামীকালের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান না হলে শিডিউল বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি জানান, আজ যাত্রী কিছুটা কম। সকালে কিছু যাত্রী ছিল, আবার বিকেলে কিছুটা চাপ পড়তে পারে। তবে ২০ আগস্ট সোমবার থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়বে।
হানিফ পরিবহনের ফোরম্যান লিটন মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, সড়কে তীব্র যানজটের শিকার হচ্ছে গাড়িগুলো। সিরাজগঞ্জে দীর্ঘ যাননজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হচ্ছে। এছাড়াও টাঙ্গাইলে যানজটের আতঙ্ক রয়েছে। আগামীকাল অফিস শেষে যাত্রীদের চাপ বাড়বে, আমাদের পর্যাপ্ত যানবাহন রয়েছে। শিডিউল বিপর্যয় হবে না বলে আশা করছি।
তবে কাউন্টারে অপেক্ষমান তানজিনা বেগম নামের এক যাত্রী জানালেন, জয়পুরহাট যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন তিনি। সকাল ১০ টায় গাড়ি ছাড়ার কথা থাকলে ১১টায়ও গাড়ি কাউন্টারে আসেনি। আর কখন গাড়ি ছাড়বে তাও জানানো হচ্ছে না।
জানা গেছে, পদ্মায় তীব্র স্রোতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ঘাটে রয়েছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়িতে ২০টির মধ্যে আটটি ছোট ফেরি দিয়ে হালকা যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে কালিয়াকৈর থেকে জিরানি বাজার প্রায় যানজটে পড়তে হচ্ছে। এছাড়া ঢাকা-ময়নমনসিংহ মহাসড়কে রয়েছে যানবাহনের ধীর গতি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। সিরাজগঞ্জে সড়ক সংস্কার ও রাজধানীমূখী পশুবাহী ট্রাকের জন্য সকাল থেকেই অতিরিক্ত গাড়ির চাপে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড়ের চারটি মহাসড়কেই ধীর গতিতে চলছে যানবাহন ।
তবে তীব্র যানজটের খবরেও থেমে নেই মানুষের ঈদ যাত্রা। তারা বলছেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে শত কষ্ট সহ্য করা যায়। আর এমন কষ্ট আগের উৎসবগুলোতেও হয়েছে। তবে যানজটের এই সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি তাদের।
শহিদুল ইসলাম নামের বেসকারি এক কর্মকর্তা জানান, বাচ্চাদের স্কুল ছুটি হয়ে যাওয়ায় পরিবারের সদস্যদের আগেই বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছি। কাল অফিস করে আমিও রওনা দেবো। তবে শুনলাম রাস্তায় যানজট আছে, এজন্য কিছুটা দুশ্চিন্তা কাজ করছে।
গ্রীন লাইন পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার মোহাম্মদ হোসেন জানান, ২০ তারিখে থেকে যাত্রীদের অনেক চাপ থাকবে। কাল অফিস শেষেও চাপ বাড়বে। এদিকে মহাসড়কগুলোতে যানজট আছে বলে খবর পেয়েছি।