ফেরিঘাটের চেয়ে ভোগান্তি বেশি মহাসড়কে

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

পাটুরিয়া ফেরিঘাট থেকে: আমিনুল ইসলাম (৩২) বেসরকারি চাকরি করেন। ভাড়া বাসায় থাকেন রাজধানীর মিরপুরে। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে সাতক্ষীরা জেলার নিজ বাড়িতে যাচ্ছেন। দিনে রওনা হলে মহাসড়ক ও পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ভোগান্তির কবলে পড়তে হবে বলে সোমবার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যার টিকিট (বাস) নিয়েছেন।

শ্যামলী থেকে সন্ধ্যা ৭টায় সুন্দরবন এক্সপ্রেস নামের বাসটির সাতক্ষীরার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু সেই গাড়ি আসে রাত দেড়টায়। দুইটার দিকে গাড়ি যাত্রা শুরু করলো নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে। যাত্রা শুরুতেই গাবতলী এলাকায় মধ্যরাতেই পড়তে হল দীর্ঘ যানজটে। এরপর পুরো মহাসড়ক জুড়ে যানজট।

বিজ্ঞাপন

অবশেষে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় তাদের বহনকারী গাড়িটি এসে পৌঁছাল সকাল ১০টায়। ফেরিঘাট এলাকায় তিন ঘণ্টার অপেক্ষা শেষে দুপুর ১টায় ঘাটের জিরো পয়েন্ট এলাকায় আলাপ হয় তার সঙ্গে। এবার তাদের গাড়িটির ফেরিতে ওঠার পালা।

ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, দুই ঘণ্টার মহাসড়কে সময় লাগল আট ঘণ্টা। সেখানে ফেরির জন্য তিন ঘণ্টা অপেক্ষা আর তেমন কী? ফেরির চেয়ে অনেক বেশি ভোগান্তি মহাসড়কে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

সিলেট থেকে রাত ৮টায় মামুন পরিবহনে রওনা হয়ে সকাল সাড়ে ১১টায় পাটুরিয়া ফেরিঘাটে যাত্রীবাহী বাসের লাইনে আটকে যান ফরিদপুরের যাত্রী উজ্জ্বল হোসেন। ঈদে বাড়ি যাওয়া মানে যুদ্ধ বলে অভিহিত করেন তিনি। মহাসড়কে পরিবার পরিজন নিয়ে ভোগান্তি সীমাহীন বলে উল্লেখ করেন তিনি। কখন বাড়ি পৌঁছাবেন তাও বলতে পারছে না বলে জানান তিনি।

নৌরুট পারের অপেক্ষায় পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় হানিফ পরিবহনের এক চালক জানান, মহাসড়কের প্রচণ্ড যানজট ও ধীরগতির কারণে সিডিউল অনুযায়ী গাড়ি নিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়া যাচ্ছে না। দুইঘণ্টার মহাসড়কে সময় লাগছে আট থেকে নয় ঘণ্টা। এতে করে যাত্রীদের পাশাপাশি বাসচালকদেরও বেশ ভোগান্তি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মহাসড়কের বিষয়ে জানতে চাইলে গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ জেলার ৩৫ কিলোমিটার এলাকায় কোনো যানজট নেই। তবে যাত্রী ওঠানামা বা অন্যান্য কারণে বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ধীরগতিতে যান চলাচল করছে। তবে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হাইওয়ে ও জেলা পুলিশের সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।