চোরে শোনে না ধর্মের কাহিনী!

  • ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

নড়াইল: চোরে শোনে না ধর্মের কাহিনী বলে একটা প্রবাদ প্রচলিত রয়েছে। সুযোগ পেলে সে চুরি করবেই। ঠিক তেমনি নড়াইল জেলাকে ভিক্ষুক মুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হলেও জেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতেও থেমে নেই ভিক্ষাবৃত্তি। তবে এখন আগের মতো নয়, বিশেষ দিনগুলোতে তাদের দেখা যায়। বিশেষ করে ঈদের সময় এদের বেশি দেখা যায় বিভিন্ন ঈদগাহ ময়দানগুলোতে।

জানা গেছে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের জন্য ২০১৫ সাল থেকে কাজ শুরু করা হয়। জেলায় ৭৯৮ জন ভিক্ষুককে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২৯৮ জন, লোহাগড়ায় ২২৭ জন এবং কালিয়া উপজেলায় ২৭৩ জন রয়েছে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ জন প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এসব ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন করা হয়। কাউকে ভ্যান, হাস-মুরগি, গরু-ছাগল, ক্ষুদ্র ব্যবসা করার জন্য নগদ অর্থও প্রদান করা হয়।

বিজ্ঞাপন

দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী হাফিজুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তবে এদের পেশা হল ভিক্ষাবৃত্তি, তাই সুযোগ পেলেই রাস্তায় নেমে পড়েন।

জেলা প্রশাসক মো. এমদাদুল হক চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, কিছু ভিক্ষুক আছে তাদের ভিক্ষা করা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। সুযোগ পেলেই ভিক্ষা করে। তবে আজকে ঈদের দিনের কারণে তাদের কিছু বলা হয়নি। ঈদের আগেই পুনর্বাসিত জেলার তালিকাভুক্ত সকল ভিক্ষুকদের এক কেজি তেল, এক কেজি পোলাও এর চাল, এক কেজি সেমাই, এক কেজি চিনি, এক প্যাকেট দুধ ও ৩০ কেজি করে চাউল বিতরণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন