বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ছোট ছবির উৎসবগুলোর মধ্যে অন্যতম ফিনল্যান্ডের টেম্পেয়ার ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। পাঁচ দিনের এই আয়োজনে ১০টি ভেন্যুতে দেখানো হয় ৪০০ ছবি। এতে থাকে ৩০ হাজার দর্শক।
টেম্পেয়ার উৎসবের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগে জমা পড়ে সারাবিশ্ব থেকে চার হাজারের বেশি ছবি। এর ৪৯তম আসরে ৪৭টি দেশের ৫৯টি ছবি প্রতিযোগিতার বাইরে অংশ নিচ্ছে। এ তালিকায় রয়েছে অং রাখাইন নির্মিত বাংলাদেশের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘দ্য লাস্ট পোস্ট অফিস’। উৎসবটি চলবে ৬ থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত।
বিজ্ঞাপন
এর আগে সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবের ওপেন ডোরস বিভাগে ‘দ্য লাস্ট পোস্ট অফিস’-এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়। এছাড়া ফ্রান্সের বাণিজ্যিক নগরী হিসেবে পরিচিত ক্লেহমো ফেঁরোতে অনুষ্ঠিত উৎসবের ৪১তম আসরে প্রদর্শিত হয় এটি।
বাংলা ভাষায় নির্মিত ‘দ্য লাস্ট পোস্ট অফিস’ ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন আশীষ খন্দকার, শাহরিয়ার ফেরদৌস সজীব ও অশোক ব্যাপারী। এর গল্প লিখেছেন রাজীব রাফি। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান খনা টকিজের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে এটি। প্রযোজনায় রুবাইয়াত হোসেন ও আদনান ইমতিয়াজ আহমেদ।
বিজ্ঞাপন
‘দ্য লাস্ট পোস্ট অফিস’ হলো অং রাখাইন নির্মিত দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। তার প্রথম ছবি ‘মর থেংগারি’ (মাই বাইসাইকেল) বাংলাদেশে চাকমা ভাষায় নির্মিত প্রথম ছবি।
কেউ প্রথমবার পরিচালনা করেছেন, কেউ আবার অভিনয়শিল্পী হিসেবে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেছেন। এমন অনেক ‘প্রথম’-এর মিলনমেলা দেখা যাবে ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে। এই বিভাগে ১০টি সিনেমা চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছে। দর্শকদের আগ্রহের এসব সিনেমা একসঙ্গে দেখা যাবে উৎসবে। যে সিনেমাগুলো দিয়ে বছরের বিভিন্ন সময় আলোচনায় ছিলেন তারকা ও কলাকুশলীরা।
মেহজাবীন চৌধুরী দীর্ঘ ক্যারিয়ারে প্রথম বড় পর্দায় আসেন ‘প্রিয় মালতী’ সিনেমা দিয়ে। কায়রো উৎসবে মনোনয়নের পর সিনেমার মুক্তির ঘোষণা আসে। এটি গত সপ্তাহে মুক্তি পেয়েছে। এর মধ্যে ছোট পর্দার মেহজাবীনকে বড় পর্দায় দেখার অপেক্ষা ফুরোয়। শঙ্খ দাশগুপ্ত পরিচালিত সিনেমাটি দর্শক পছন্দ করছেন। কেউ কেউ তার ক্যারিয়ারের সেরা কাজ, এমনটাও বলছেন। সে সিনেমাটি এবার হলের পরে দর্শকেরা ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দায় দেখতে পারবেন। তবে তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘সাবা’, যা এখনো মুক্তি পায়নি।
দুই মাস আগেই আলোচনায় আসেন কুসুম সিকদার। ‘শরতের জবা’ সিনেমা দিয়ে তার নামের আগে যোগ হয় নতুন পরিচয়। তিনি পরিচালক হিসেবে দর্শকদের সামনে এসেছেন। এই সিনেমা দিয়ে অভিনেত্রীর দীর্ঘদিন পরে ফেরা। তার সিনেমাটিও ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হবে। কুসুম বলেন, ‘দর্শক হলে দেখেছেন, এখন ওটিটিতেও দেখা যাচ্ছে। আবার দেশের বড় উৎসবে সিনেমাটি নির্বাচিত হয়েছে। সব মিলিয়ে ভালো লাগছে। প্রথম সিনেমা দিয়ে প্রাপ্তি অনেক।’
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে; প্রায় ছয় বছর আগে তাসনিয়া ফারিণ প্রথম নাম লিখিয়েছিলেন ‘ফাতিমা’ সিনেমায়। নানা কারণে শুটিং আটকে থাকা সেই সিনেমা দিয়ে এ বছর বড় পর্দায় এসেছেন এই অভিনেত্রী। ধ্রুব হাসান পরিচালিত সিনেমাটিও নির্বাচিত হয়েছে ঢাকা উৎসবে। তবে বাংলাদেশের আগে কলকাতার প্রেক্ষাগৃহে প্রথম দেখা গেছে ফারিণকে।
চলচ্চিত্র অভিনেতা আদর আজাদ ও অর্চিতা স্পর্শিয়া অভিনীত ওয়েব ফিল্ম ‘এখানে নোঙর’ও জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ প্যানোরমা বিভাগে। এটি পরিচালনা করেছেন মেহেদী রনি। এই ছবির মাধ্যমে অর্চিতা স্পর্শিয়া এবং আদর আজাদকেও প্রথমবার ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে দেখা যাবে। ছবিটির গল্প গড়ে উঠেছে দেশের সমূদ্র তীরবর্তী এলাকার জাহাজ চালকদের জীবন নিয়ে। তাদের জীবনের সংগ্রাম ও ক্ষমতা দখলের খেলার পাশাপাশি ছবিটিতে উঠে এসেছে দারুণ এক প্রেমের গল্প।
এ ছাড়া দৌলতদিয়ার যৌনকর্মীদের জীবন, সামাজিক পরিচয় ও অধিকারের গল্প নিয়েই সিনেমা ‘নীলপদ্ম’ নির্বাচিত হয়েছে এ আয়োজনে। এটি পরিচালনা করেছেন স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা তৌফিক এলাহী। এতে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী রুনা খান, রোকেয়া প্রাচী, শাহেদ আলী, সুজাত শিমুলসহ আরও অনেকে। মেহজাবীন, ফারিণদের সিনেমা প্রথমবার জায়গা করে নিলেও রুনা খান, রোকেয়া প্রাচীর বেশকিছু ছবি এই উৎসবে প্রশংসিত হয়েছে।
এ ছাড়া নিয়ামুল মুক্তা পরিচালিত ওয়েব সিনেমা ‘রক্তজবা’য় প্রথমবার একসঙ্গে অভিনয় করেছেন শরীফুল রাজ ও নুসরাত ইমরোজ তিশা। পরিচালকের সঙ্গে দুই অভিনয়শিল্পীর প্রথম সিনেমা এটি। পরিচালকের দ্বিতীয় সিনেমা।
এর আগে বুসান চলচ্চিত্র উৎসবের নিউ কারেন্টস বিভাগে একসঙ্গে প্রথমবার বাংলাদেশের দুই সিনেমা মনোনয়ন পেয়ে আলোচনায় আসে। ইকবাল হোসাইন চৌধুরীর ‘বলী’ ও বিপ্লব সরকারের ‘আগন্তুক’। দুটি সিনেমাই ছিল দুই পরিচালকের ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমা। শুধু তাই নয়, সেই উৎসবে প্রথমবারের মতো নিউ কারেন্টস পুরস্কার জয় করে ‘বলী’, যা ছিল বাংলাদেশের সিনেমার উল্লেখযোগ্য অর্জনের একটি। দুটি সিনেমা ঢাকার উৎসবে একসঙ্গে দেখতে পারবেন দর্শক। উৎসবের সমাপনী সিনেমা ‘বলী’।
আগামী ১১ থেকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই আয়োজন। এবারের আয়োজনে ৭৫টি দেশের ২২০টির বেশি সিনেমা প্রদর্শিত হবে। উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল বলেন, ‘আমরা আগে আটটি সিনেমার নাম ঘোষণা করেছিলাম। এবার আরও দুটিসহ সর্বমোট ১০টি সিনেমার নাম ঘোষণা করেছি। দর্শকদের জন্য শৈল্পিক বিচারে কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে সিনেমাগুলোতে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করেছি।’ বরাবরের মতো ঢাকা উৎসব আয়োজন করেছে রেইনবো ফিল্ম সোসাইটি।
দিনে দিনে বাড়ছে দেশের বাইরে বাংলা নাটকের শুটিং। বিশেষ করে শুটিংয়ের নিরাপদ স্পট ও ঝামেলা এড়াতে নাটকের অভিনয়শিল্পীরা ঝুঁকেছেন বিদেশ বিভূঁইয়ে। ব্যাংকক, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, আমেরিকাসহ নানা দেশে শুটিংয়ের জন্য পাড়ি জমিয়েছেন দেশের পরিচালক, প্রযোজক ও তারকারা। বিশেষ করে নিলয় আলমগীর হলে তো কথাই নেই!
এর আগে নিলয় ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, নেপালসহ নানা দেশে শুটিং করেছেন একাধিক নাটকে। এবার মালয়েশিয়া শুটিং করছেন ১০টি নাটকের। এগুলো পরিচালনা করছেন হাসিব হোসেন রাখি, শহীদ উন নবী ও মহিম খান। নিলয়ের সঙ্গে নাটকগুলোতে অভিনয় করছেন তানিয়া বৃষ্টি ও সামিরা খান মাহি।
গতকাল মালয়েশিয়া থেকে মুঠোফোনে নির্মাতা রাখি বলেন, “আমরা ২০ ডিসেম্বর এসেছি। আমি তিনটি নাটক নির্মাণ করব। এর মধ্যে ‘ফানিমুন ২’ নামের নাটকটির শুটিং শেষ করেছি। আরো দুটির শুটিং চলছে। নবী ভাই ও মহিম ভাই শুটিং শুরু করবেন আমার পর পরই। আমরা এক লটেই ১০টি নাটক শেষ করতে চাই। ফিরতি টিকিট কাটা আছে ৫ জানুয়ারি। তার মানে থার্টি ফার্স্ট নাইট আমরা মালয়েশিয়াতেই উদযাপন করব। সেই প্রস্তুতিও শুটিংয়ের পাশাপাশি নিচ্ছি। আশা করছি, নাটকগুলো দর্শকদের ভালো লাগবে।’
অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি বলেন, ‘দেশের বাইরে শুটিং করতে বেশ মজা লাগে। মনে হয় পিকনিক করছি। তবে কষ্টও আছে। লোকবল কম থাকায় মেকআপ থেকে শুরু করে লাইটিংয়ের বিষয়টাও নিজেদের দেখতে হয়। তবে দিন শেষে রথ দেখা হয় আবার কলা বেচাও হয়। যার কারণে বিদেশে শুটিংয়ের জন্য শিডিউল চাইলে আমি না করতে পারি না (হা হা হা)।’
নিয়ল, তানিয়া বৃষ্টি, সামিরা খান মাহির পাশাপাশি মালয়েশিয়াতে আরো শুটিং করছেন শামীম হাসান সরকার, সামন্তা পারভেজ, মাসুম বাশারসহ আরো অনেকে।
বাংলাদেশের ফ্যাশন অঙ্গনের সুপরিচিত মুখ এ বি ওয়ালিউদ্দিন চৌধুরী। ২০০২ থেকে ফ্যাশন অঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত দীর্ঘ ক্যরিয়ারে নানা ধরনের কাজের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রেখেছেন তিনি।
ওয়ালি একাধারে একজন ফ্যাশন ডিজাইনার, ফ্যাশন কোরিওগ্রাফার, ইভেন্ট অর্গানাইজার এবং মডেল গ্রুমিং স্কুলের পরিচালক।
তবে বিগত কয়েক বছর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। কিন্তু দেশের বাইরে থেকেও নিজের প্যাশনকে ভুলে যাননি। তাইতো সেখানেই গড়ে তুলেছেন নিজের কোম্পানি। ‘অ্যাবাউট টাইম ইভেন্ট আইএনসি’ নামের এই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি থেকে আগামী ২০২৫ সালে একটি শো করার পরিকল্পনা করছেন।
আর এবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত প্রবাসী বাঙালিদের বড় আয়োজন ‘আইকনিক স্টার অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ পেয়েছেন’ তিনি। সেরা ফ্যাশন ডিজাইনার ও কোরিওগ্রাফার ক্যাটাগরিতে তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
এই অনুষ্ঠানে বিদ্যা সিনহা মিম, তানজিন তিশা, সজল, ইমন, নিরব, প্রভা, সামিনা চৌধুরী, স্বপ্নিল সজীবসহ বাংলাদেশের অনেক জনপ্রিয় তারকারা পুরস্কার গ্রহণ করতে অংশ নিয়েছেন।
পুরস্কার পেয়ে ওয়ালি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘দেশের বাইরে থেকে এমন পুরস্কার যে কোন শিল্পীকে অনুপ্রাণীত ও গর্বিত করে। আমি আমার দেশের জন্য আরও ভালো ভালো কাজ করে যেতে চাই। যাতে বাংলাদেশের মুখ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উজ্জ্বল হয়।’
নিউইয়র্কে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি গড়ে তোলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কালচারকে যুক্তরাষ্ট্রে তুলে ধরার জন্যই এটি গড়ে তুলেছি। গান, নাচ, ফ্যাশন- এসব কিছু নিয়েই আমি কাজ করবো।’
নিজের জার্নি নিয়ে ওয়ালি বলেন, ‘অনেকটা শখের বসে ২০০২-৩ সালের দিকে ফ্যাশন অঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত হই। কাজটি এতোটাই ভালোলেগে যায় যে, নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য ২০০৫-এ আইএনআইএফডি থেকে ২ বছরের অ্যাডভান্স ডিপ্লোমা কোর্স করি ফ্যাশন ডিজাইনের ওপর। তারপর থেকে দেশে-বিদেশে বড় বড় অনেক শো করেছি। এরমধ্যে রয়েছে লণ্ডনে পারা ফ্যাশন উইক, যেখানে বিবি রাসেল, কুহু প্লামন্দন, টুটলি রহমানের মতো প্রখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনারদের সঙ্গে আমার পোশাকও এক্সিবিশন হয়। এছাড়া ২০১৬ ও ১৭ তে নেপাল ফ্যাশন উইক, ভারতের দিল্লীতে ২০১৫ ও ১৬ সালে দুই বার এশিয়ান ডিজাইনার উইক, দেরাদুন ফ্যাশন উইকসহ দেশের সব বড় ফ্যাশন উইকে অংশ নিয়েছি নিজের ডিজাইন করা পোশাক নিয়ে। ডিজাইনার পেশার বাইরে আমার ওয়ালিজ অ্যাসোসিয়েট নামে একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি চালিয়েছি ১০ বছর। সেখান থেকে অনেক ধরনের আয়োজন করেছি। যারমধ্যে উল্লেখযোগ্য- বিউটি পেজেন্ট ‘মিস্টার এন্ড মিসেস ফটোজেনিক’। এর চারটি সিজন করেছি।’
আগামীকাল ২৭ ডিসেম্বর সফলতার ২০ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে বৈশাখী টেলিভিশন। বাংলাদেশের সংস্কৃতি লালনের অঙ্গীকার নিয়ে ২০০৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু হয় বৈশাখী টেলিভিশনের। নতুন বছরে পা রাখার গৌরবময় সময়টাকে স্মরণীয় করে রাখতে ২৭ ডিসেম্বর বৈশাখীর পর্দা সাজানো হয়েছে গান, নাটকসহ নানা অনুষ্ঠান দিয়ে।
সকাল ১১টায় বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে রয়েছে কেক কাটার আনুষ্ঠানিকতা। যদিও সকাল ৮টা ৩০ মিনিটেই শুরু হবে ‘২০ বছরে বৈশাখী’ শিরোনামে সরাসরি সংগীতানুষ্ঠান, চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে থাকছে দেশের স্বনামখ্যাত রাজনীতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের গুণী ব্যক্তিত্বদের শুভেচ্ছা বক্তব্য।
ডেপুটি হেড অব প্রোগ্রাম লিটু সোলায়মানের প্রযোজনায় সরাসরি বৈশাখীর সংগীতানুষ্ঠান ‘২০ বছরে বৈশাখী’ প্রচার হবে ১০টি সেগমেন্টে। প্রথম সেগমেন্ট শুরু হবে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে। তাসনুভা মোহনার উপস্থাপনায় দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশন করবেন মনজুরুল ইসলাম খান ও চম্পা বনিক। সকাল ৯.১৫ মিনিটে শুরু হওয়া দ্বিতীয় সেগমেন্টে নজরুল সংগীত পরিবেশন দেবলিনা সুর ও ইউসুফ আহমেদ খান। সকাল ১০.৪০ মিনিটে আধুনিক গান গাইবেন খুরশিদ আলম ও শবনম প্রিয়াংকা, বেলা ১১.২০ মিনিটে গাইবেন নদী ও তাসনিম স্বর্ণা।
তাবাসসুম প্রিয়াংকার উপস্থাপনায় দুপুর ১২.১০ মিনিটে আধুনিক গান গাইবেন সাব্বির ও প্রিয়াংকা বিশ্বাস। দুপুর ১.১০ মিনিটে নাশিদ গান পরিবেশন করবেন গাজী আনাস ও তার দল। দুপুর ২.৩৫ মিনিটে ফোক গান পরিবেশন করবেন কামরুজ্জামান রাব্বী ও লিটা সরকার। বিকাল ৩.৪০ মিনিটে ফোক গান পরিবেশন করবেন সায়েরা রেজা ও সাগর বাউল।
তমা রসিদের উপস্থাপনায় সন্ধ্যা ৫.৩০ মিনিটে ফোক গান পরিবেশন করবেন আশিক ও অনন্যা আচার্য্য। রাত ৮.৩০ মিনিটে বৈশাখী ফোক লাইভে অংশ নেবেন সালমা ও তার দল। সংগীতানুষ্ঠান ছাড়াও সরাসরি ইসলাম ও সমাধান নিয়ে হাজির হবেন উপাস্থাপক এইচ এম বরকতউল্লাহ। অতিথি থাকবেন ইসলামী স্কলার আহমদ উল্লাহ।
রাত ১০.০০টায় প্রচার হবে মহিন খানের রচনা ও পরিচালনায় একক নাটক ‘টক্কর’। এতে অভিনয় করেছেন নিলয়, হিমি, রাশেদ সীমান্ত, ময়মুনা মম প্রমুখ। রাত ১২.০০টায় প্রচার হবে বাংলা সিনেমা ‘মিয়া বাড়ির চাকর’। এতে অভিনয় করেছেন শাকিব খান, অপু বিশ্বাস, রাজ্জাক, হুমায়ুন ফরীদি প্রমুখ।
২০ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে বৈশাখী টেলিভিশনের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলন বলেন, আমাদের জন্য এদিনটি বড়ই আনন্দের। ২০টি বছর একটি চ্যানেলের জন্য কম কথা নয়। এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় যারা বৈশাখী টেলিভিশনের সঙ্গে ছিলেন এখনও যারা আছেন তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং দর্শকদের অফুরন্ত ভালোবাসার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। বৈশাখী টেলিভিশন যাত্রা শুরুর পর থেকেই দর্শকদের কথা চিন্তা করে নানাবিধ অনুষ্ঠান প্রচার করে আসছে। কারণ দর্শকদের ভালোবাসা ছাড়া এত দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়া সম্ভব ছিল না। ভবিষ্যতেও বৈশাখী টেলিভিশন সবশ্রেনীর দর্শকের কথা মাথায় রেখে আরো নতুন নতুন অনুষ্ঠান এবং বরাবরের মতো বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করবে। ব্যাপক আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল আমাদের কিন্তু বিশেষ কারণে এবারও বৈশাখী টিভি কার্যালয়ে তেমন আয়োজন থাকছে না, তবে পর্দায় এ আয়োজনের কোনো কমতি নেই। ২০ বছরে বৈশাখী টিভির এ পর্দা আয়োজন দর্শকদের ভালো লাগবে বলে আমাদের বিশ্বাস। সবশেষে এমন আনন্দঘন মুহূর্তে বৈশাখী টেলিভিশনের সম্মানিীত সকল দর্শক, বিজ্ঞাপণদাতা, কেবল অপারেটরসহ সকল শুভানুধ্যায়ীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।