একবার হলেও ‘একা’ করা উচিৎ যে কাজগুলো
প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শেখার মাধ্যমেই নিজেকে পরিণত করে গড়ে তোলা সম্ভব হয়।
অবশ্যই শেখার কোন শেষ নেই। কিন্তু বই পড়ে, ক্লাস করে কিংবা ডকুমেন্টারি দেখেই যে শুধু শিক্ষা লাভ করা যায়, তা কিন্তু একেবারেই ভুল ধারণা। নিজের জন্য কিছু শিখতে চাইলে, নিজের ভালোর জন্য, নিজেকে চেনার জন্য, এই পৃথিবীটাকে নতুন দৃষ্টিতে নতুন আঙ্গিকে দেখতে চাইলেও একা কিছু কাজ করা প্রয়োজন প্রত্যেককের।
কেন একা? কারণ যখন আপনি একা থাকবেন, তখন নিজের ও চারপাশ সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি সচেতন থাকবেন। সকল ইন্দ্রিয় সবচেয়ে বেশি কার্যকর থাকবে একা কোন অভিজ্ঞতা কুড়ানোর সময়।
যে কারণে বলা হয়, নিজেকে সময় দেওয়া প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। নিজেকে চেনা প্রয়োজন সবার আগে। জীবনটা কিন্তু খুবই ছোট। এর মাঝেই যে কাজগুলো অন্ততপক্ষে একবারের জন্য হলেও প্রত্যেককের করা উচিৎ, তার কয়েকটি তুলে ধরা হলো।
একা ভ্রমণ করুন
পরিবার, বন্ধু কিংবা সহকর্মীদের সঙ্গে নয়। একেবারেই একা ঘুরে আসুন কোথাও থেকে। সেটা হতে পারে দেশ কিংবা দেশের বাইরে থেকে। ভিন্ন এলাকা, ভিন্ন স্থান, ভিন্ন সংস্কৃতি, ভিন্ন আচার-ব্যবস্থা সম্পর্কে জানা, মানুষের সঙ্গে মেশা- শুধু ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নয়, অনেককিছু শিখতে ও জানতে সাহায্য করবে।
পর্বত আরোহণ করুন
প্রকৃতির সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্যকে দেখতে চাইলে কোন পাহাড় কিংবা পর্বতের চূড়া থেকে দেখতে হবে। একইসঙ্গে প্রকৃতির সবচেয়ে কাছে খুঁজে পাওয়া যাবে নিজেকে। উচ্চতাভীতি থাকলেও সাহস সঞ্চয় করে একবারের জন্য হলেও হাইকিং করার সাহস করেই ফেলুন। এতে করে শারীরিক ও মানসিল শক্তি বৃদ্ধি পাবে অনেকখানি। তার চাইতেও বড় কথা হলো, পাহাড় চূড়ায় অবস্থানকালে বোঝা যায় বিশাল এই পৃথিবীতে কতটা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আমাদের সমস্যাগুলো।
এছাড়া হাইকিং এর সময় প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই সাথে রাখতে হয়। এতে করে ভ্রমণে কি কি সাথে রাখা প্রয়োজন তার একটা ভালো আইডিয়া হয়ে যায়।
মুভি থিয়েটারে সিনেমা দেখুন
একেবারে একা পছন্দের কোন সিনেমা দেখার আমেজটাই আলাদা। বন্ধুদের সঙ্গে হইহুল্লোড় করে নয়, নিজের মতো করে বিশাল মুভি থিয়েটারের বড় পর্দায় সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা হাতছাড়া করাটা হবে বোকামি।
নিজের ঘরকে নতুনভাবে সাজান
প্রতিদিন যে ঘরে ঘুমানো হয়, থাকা হয় সেই ঘরের আদল ও চেহারা পাল্টে ফেললে কেমন হয়? ঘরের আসবাব নতুনভাবে গোছানো, ঘরে নতুন রঙ করা, উইন্ডচাইম সেট করা কিংবা ফ্যান্সি লাইট সেট করে একেবারে নতুন করে গোছানো ঘরে একা কিছুক্ষণ বসে থাকলেও দারুণ আরামবোধ হবে। এরপর নিজেই নিজেকে বলতে পারবেন, ‘অবশেষে গোছানো শেষ করতে পেরেছি’। এতে করে নিজের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থাটাও বেড়ে যাবে বেশ খানিকটা।
রেস্টুরেন্টে খেতে যান
অনেকেই রেস্টুরেন্টে একা যেতে পছন্দ করেন না একেবারেই। অপরিচিত একগাদা মানুষের ভিড়ে একা খাওয়ার বিষয়টি অনেকের কাছেই বিরক্তিকর। কিন্তু বিরক্তিভাবকে পাশে ঠেলে একবারের জন্য হলেও পরিচিত ও জনবহুল কোন রেস্টুরেন্টে খেতে যান। অর্ডার করুন পছন্দের মজাদার খাবার। রেস্টুরেন্টে গানের তালে মজাদার খাবার খাওয়ার সময় আশেপাশের মানুষদের ছুটে চলা, ব্যস্ততা দেখুন। খুবই সাধারণ এই কাজটিও অন্যরকম এক অভিজ্ঞতার জন্ম দেবে।
রোলার কোস্টার রাইড নিন
রোলার কোস্টারের রাইড চড়ার চাইতে ভীতিকর কোন অভিজ্ঞতা আর হতেই পারে না। এমন চূড়ান্ত ধরণের একটি কাজ একা করার আগে অন্তত একশবার ভেবে নিবেন, আসলেও একা করতে পারবেন কিনা! বন্ধু কিংবা প্রিয়জন ব্যতীত সম্পূর্ণ একা রোলার কোস্টার রাইড নেওয়া আপনার ক্ষেত্রে হতে পারে একেবারেই ‘লাইফ চেইঞ্জিং’ বিষয়। তবে হৃদরোগের সমস্যা থাকলে রোলার কোস্টার রাইড এড়িয়ে যেতে হবে অবশ্যই।
আরও পড়ুন: নতুন বছরটি হোক ভালো থাকার!
আরও পড়ুন: ভ্রমণে কী রাখবেন সাথে?