নিজের সাথে নিজের কথা বলার অভ্যাসটি কি ভালো?

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নিজের সাথে নিজের কথা বলার বিষয়টি উপকারী, ছবি: সংগৃহীত

নিজের সাথে নিজের কথা বলার বিষয়টি উপকারী, ছবি: সংগৃহীত

কথা চালাচালি, আলোচনাটা বোধহয় নিজের সাথে নিজেরই সবচেয়ে বেশি হয়।

একান্তে একা একা কিংবা নিজের সাথে নিজের কথা বলা নিয়ে বেশ পুরনো এক ইংলিশ কৌতুক আছে। ‘আপনি যদি নিজের সাথে নিজে কথা বলেন তবে আপনি পাগল নয়, তবে নিজেকে উত্তর দিলেই আপনি পাগল’।

বিষয়টি বেশখানিকটা বিব্রতকর ও বিভ্রান্তিমূলকও বটে। নিজের সাথে কথা বলেন না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এ বিষয়টি নিয়েই সাম্প্রতিক সময়ের গবেষণাপ্রাপ্ত তথ্য, নিজের সাথে নিজের কথা বলার অভ্যাস সম্পর্কে ধারণা পাল্টে দিয়েছে। তথ্য জানাচ্ছে, যারা নিজেদের সাথে কথা বলেন, তারা তুলনামূলকভাবে কম মানসিক চাপে ভোগেন এবং উৎপাদনশীল হন।

বিজ্ঞাপন

এমন দারুণ তথ্য পাওয়া গেছে জেসন মসার পরিচালিত এক গবেষণা থেকে। এই গবেষণার কাজে অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবীদের গবেষক জেসন নিজেকে অতি নেতিবাচক কোন পরিস্থিতিতে কল্পনা করতে বলেন।

এমন ক্ষেত্রে এক দলকে দেখা গেছে উত্তম বাচক (First person as ‘I’) ব্যবহারে নিজের সাথে কথা বলতে। আরেকটি দলকে দেখা গেছে তৃতীয় ব্যক্তি (Third person) ব্যবহারে নিজের নাম উল্লেখ করে নিজের সাথে কথা বলতে। গবেষক এই উভয় দলের মস্তিষ্ক থেকে তাদের এমন অভিজ্ঞতার তথ্য সংগ্রহ করেন।

বিজ্ঞাপন

সকল তথ্য সাজানোর পর দেখা যায়, যারা তৃতীয় ব্যক্তি বাচক ব্যবহারে নিজের সাথে কথা বলেছিল, তারা নিজেদের আবেগ-অনুভূতি ও নিজের উপরে উপর নিজের নিয়ন্ত্রণে ভালো দখলদারিত্ব দেখাতে পেরেছে।

তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে নিজের সাথে কথা বলার ক্ষেত্রে এমন মনে হয় যে, আপনি সম্পূর্ণ  ভিন্ন একজন মানুষের সাথে কথা বলছেন। যা মানসিকভাবে চলমান ও সমসাময়িক ঘটনা ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে নিজের মাঝে কিছুটা দূরত্ব তৈরি করতে পারে।

তাই নিজের সাথে নিজের কথা বলার বিষয়ে একেবারেই আত্মগ্লানিতে ভোগার প্রয়োজন নেই। বিশেষত তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে যখন নিজের সাথে নিজে কথা বলবেন।

কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেকে নিজেই আশ্বস্ত করুন। বলুন যে, ‘তুমি অবশ্যই পারবে’, ‘তোমার জন্য এই কাজ করা কোন ব্যাপারই না’,। নিজেকে অনুপ্রাণিত করুন, নিজের পরিস্থিতি নিজের কাছেই ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করুন। এতে মানসিকভাবে অনেকটা প্রশান্তি ও সাহস পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন: মানসিক চাপের মাঝেও সুস্থ থাকা!

আরও পড়ুন: ক্লান্তিটা যখন শারীরিক নয়, মানসিক!