পোশাক থেকে রক্তের দাগ কীভাবে উঠবে?

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সঠিক পদ্ধতিতে সহজেই পোশাক থেকে রক্তের দাগ ওঠানো যাবে

সঠিক পদ্ধতিতে সহজেই পোশাক থেকে রক্তের দাগ ওঠানো যাবে

কোরবানি ঈদের সবচেয়ে বড় বিড়ম্বনা হলো, পরিধেয় পোশাকে মাংসের রক্ত লেগে যাওয়া।

কোরবানির পশু কাটাকাটি, মাংস ভাগ বাটোয়ারা, এক স্থান থেকে অন্যত্র সরিয়ে রাখার সময় অসাবধানতায় পছন্দের পোশাকে রক্ত লেগে যেতেই পারে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পোশাকে রক্ত লাগলে তাৎক্ষণিকভাবে বুঝতে পারলেও, কিছু সময় খেয়াল করা হয় না। সেক্ষেত্রে পোশাকে রক্তের দাগ শুকিয়ে যায় এবং এ দাগ পোশাক থেকে ওঠানো বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। এমনতর সমস্যায় পোশাক থেকে রক্তের বিদঘুটে দাগ ওঠানোর জন্য কিছু সহজ পদ্ধতি ও সহজলভ্য দ্রব্য ব্যবহারের শরণাপন্ন হতে হবে।

বিজ্ঞাপন

সাদা ভিনেগার

সাদা ভিনেগারের প্রবল অ্যাসিডিক ধর্ম কাপড় থেকে রক্তে জেদি দাগকে তুলে ফেলতে কাজ করে। পোশাকে রক্ত লাগার সাথে সাথে পানিতে ধুয়ে সাদা ভিনেগারে দাগযুক্ত স্থানটি ১৫ মিনিটের জন্য চুবিয়ে রাখতে হবে। যদি রক্ত শুকিয়ে যায় এবং এক-দুই দিন পর তোলার চেষ্টা করা হয়, তাহলে অন্তত আধা ঘন্টা সাদা ভিনেগারে চুবিয়ে রাখতে হবে।

কর্নস্টার্চ

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/14/1565779345194.jpg

বিজ্ঞাপন

ঠাণ্ডা পানি ও কর্নস্টার্চ মিলিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করতে হবে। তৈরিকৃত এই পেস্টটি পোশাকের রক্তযুক্ত স্থানে লাগিয়ে ঘন্টাখানেক সময়ের জন্য রেখে দিতে হবে। এরপর ব্রাশের সাহায্যে উক্ত স্থানে ধীরে ঘষতে হবে কিছুক্ষণ। এরপর কলের পানিতে কাপড় ধুয়ে নিতে হবে।

ট্যালকম পাউডার

পোশাক বা ফার্নিচার- যেটাতেই রক্ত লাগুক না কেন, ট্যালকম পাউডার রক্তের দাগ দূর করতে কাজ করবে। রক্তযুক্ত স্থানে ট্যালকম পাউডার বেশি করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। ঘণ্টাখানেক সময় পর ব্রাশের সাহায্যে হালকাভাবে ঘষে ট্যালকম পাউডার সরিয়ে দিতে হবে।

লেবু ও লবণ

কাপড়ের রক্তযুক্ত স্থানে একটি লেবুর রস ঢেলে তার উপরে লবণের আস্তরণ দিয়ে ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করতে হবে। লবণ শুকিয়ে এলে ব্রাশের সাহায্যে ধীরে ঘষতে হবে হবে ১০-১৫ মিনিটের জন্য। এরপর গরম পানিতে কাপড় ধুয়ে নিতে হবে।

আরও পড়ুন: কোরবানির মাংস সংরক্ষণে সহজ সচেতনতা

আরও পড়ুন: কর্নস্টার্চ ও কর্নফ্লাওয়ারের মাঝে পার্থক্য কী?