পাঁচ উপকারিতার টক ফল তেঁতুল
শতেক ফলের স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে কথা বলা হলেও তেঁতুলের স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে খুব একটা কথা হয় না বললেই চলে।
অথচ ভীষণ টক এই ফলটিতেও রয়েছে নানামুখী স্বাস্থ্য উপকারিতা। ভিটামিন- বি, ই ও সি, ফলেট, পটাসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, দ্রবণীয় আঁশ ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধি তেঁতুল শরীরের প্রদাহ কমানো থেকে শুরু করে মুখের ভেতরের স্বাস্থ্য ভালো রাখা, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো কিংবা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও খুব চমৎকার কার্যকরি একটি ফল।
বেশ কিছু চমৎকার স্বাস্থ্য উপকারিতার মাঝে তেঁতুলের প্রধান কয়েকটি স্বাস্থ্য উপকারিতা জানানো হলো।
হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে
বেশ কয়েকভাবেই হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে কাজ করে তেঁতুল। পরীক্ষা থেকে দেখা গেছে, তেঁতুল রক্তের ভালো কোলেস্টেরল (HDL) মাত্রা বৃদ্ধিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের এর মাত্রা কমাতে কাজ করে। এছাড়াও তেঁতুলে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট খারাপ কোলেস্টেরলের দরুন অক্সিডেটিভ ক্ষতির মাত্রা কমায়, যা হৃদরোগের অনেক বড় একটি কারণ।
বৃদ্ধি করে হজম শক্তি
তেঁতুলে পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশ থাকায় এই ফলটি অনেকটা প্রাকৃতিক ল্যাক্সেটিভ হিসেবে কাজ করে। বলা হয়ে থাকে, তেঁতুলের আঁশ খাদ্য দ্রুত ও ভালোভাবে পরিপাক হতে সাহায্য করে। বাওয়েল মুভমেন্টকে ত্বরান্বিত করতে যা উপকারী। মূলত গ্রহণকৃত খাদ্য উপাদানকে দ্রুত ভাঙতে ও গ্যাস্ট্রিক রসের নিঃসরণ বৃদ্ধিতে অবদান রাখে তেঁতুল।
নিয়ন্ত্রণে রাখে ডায়বেটিস
ডায়বেটিস আক্রান্ত ইঁদুরের উপর পরীক্ষা করে দেখা গেছে, তেঁতুল তাদের রক্তে চিনির মাত্রা কমিয়ে আনে। এমনকি এই ফলটি হাইপারগ্ল্যাসেমিয়াকে নিউট্রিলায়েজ করতেও কাজ করে।
লিভারের সমস্যা কমায়
শরীরের ক্রনিক ইনফ্ল্যামেশন (প্রদাহ) লিভার বা যকৃতের উপর ক্ষতিকর প্রভাব তৈরি করে। যা ইঁদুরদের উপরে করা বেশ কয়েকটি পরীক্ষায় প্রমানিত হয়েছে। দেখা গেছে তেঁতুলের রস দেওয়ার পর ইঁদুরদের শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস অনেকখানি কমে গেছে।
তেঁতুলের রসে থাকা কার্যকর প্রোসায়ানাইডেনস (Procyanidins) লিভারের ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজকে কমায়। পাশাপাশি তেঁতুলে থাকা কপার, ম্যাংগানিজ, সেলেনিয়াম ও আয়রন শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলে।
ওজন কমাতে ও নিয়ন্ত্রণে কাজ করে
তেঁতুলের রস থেকে নিঃসৃত হয় হাইড্রক্সিসিট্রিক (Hydroxycitric) অ্যাসিড পাওয়া যায়। মূলত এই উপাদানটিই ওজন কমাতে কাজ করে। এছাড়া তেঁতুল গ্রহণে সেরোটোনিন এনজাইমের নিঃসরণ বৃদ্ধি পায়। এতে করে ক্ষুধাভাব কমে যায়।
আরও পড়ুন: আট উপকারিতার আতা ফল
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে উপকারী ড্রাগন ফ্রুট