লক্ষণ জানুন, আত্মহত্যা প্রতিরোধ করুন



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
আত্মহত্যা প্রতিরোধে সচেতন হওয়া প্রয়োজন

আত্মহত্যা প্রতিরোধে সচেতন হওয়া প্রয়োজন

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যা প্রতিরোধে ২০০৩ সাল থেকে প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের ১০ তারিখ ‘ওয়ার্ল্ড সুইসাইড প্রিভেনশন ডে’ তথা বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস পালন করা হয়। দ্য ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর সুইসাইড প্রিভেনশনের সাথে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (WHO) ও ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফোর মেন্টাল হেলথ একসাথে এই দিনটি পালন করে।

বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে আত্মহত্যার হার ও আত্মহত্যা প্রবণতা উভয়ই বৃদ্ধি পাচ্ছে আশঙ্কাজনক হারে। সাম্প্রতিক সময়ের গবেষণায় দেখা গেছে গত এক দশকে অস্ট্রেলিয়াতে আত্মহত্যার হার বেড়েছে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। গবেষকেরা এই সংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে দুষছে ঋণ, একাকীত্ব ও বন্দী জীবনযাপনকে।

বাইরের দেশের কথা রেখে এবারে নিজ দেশের দিকে তাকানো যাক। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রতি এক লাখ মানুষের মাঝে ১২৮ জন আত্মহত্যা করছে। দ্য ডেইলি স্টারের তথ্যানুযায়ী ২০০২-২০০৯ সাল পর্যন্ত আত্মহত্যা করেছে ৭৩,৩৮৯ জন।

সঠিক পদক্ষেপ সঠিক সময়ে গ্রহণ করতে পারলে খুব সহজেই আত্মহত্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব। একজন আত্মহত্যা প্রবণ ব্যক্তিকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তবে তার জন্য আত্মহত্যার লক্ষণ, কারণ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সম্পর্কে জেনে রাখা জরুরি।

আত্মহত্যা প্রবণতার লক্ষণ

একজন আত্মহত্যা প্রবণ মানুষ অথবা বিষণ্ণতার দরুন নিজের ক্ষতি করার মতো চিন্তা করতে পারে, এমন মানুষের মাঝে কিছু বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ও কমন লক্ষণ দেখা দেয়। লক্ষণগুলো হলো-

১. নিজেকে ট্র্যাপট বা কোন অবস্থায় ও অবস্থানে বন্দী মনে করা।

২. প্রচণ্ড মানসিক কষ্টে থাকা।

৩. মৃত্যু বা সহিংসতা নিয়ে অধিক চিন্তায় সময় কাটানো।

৪. ঘনঘন মেজাজের পরিবর্তন হওয়া। কখনো ভালো আবার পরক্ষণেই খারাপ।

৫. অপরাধবোধ, লজ্জা বা প্রতিশোধ নেওয়া মূলক কথা বলা।

৬. অতিরিক্ত দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়া।

৭. নিত্যদিনের রুটিনসহ ঘুমের রুটিনে পরিবর্তন দেখা দেওয়া।

৮. মদ্যপান বা মাদকে আসক্তি তৈরি হওয়া।

৯. চারপাশের সবকিছুতে নির্লিপ্ততা চলে আসা।

১০. নিজের পছন্দের জিনিসপত্র অন্যকে দিয়ে দেওয়া।

১১. বিষণ্ণতা, প্যানিক অ্যাটাকের মতো সমস্যাগুলো বেশি দেখা দেওয়া।

১২. নিজেকে অনেকটা গৃহবন্দী করে ফেলা।

১৩. নিজেকে অন্যের বোঝা মনে করা।

১৪. নিজের সম্পর্কে অতিরিক্ত বিরূপ ধারণ পোষণ করা।

১৫. বেঁচে থাকা কতটা যন্ত্রণাদায়ক ও এই বিষয়ক কথা বলা।

আত্মহত্যা প্রবণতা দেখা দেওয়ার কারণ

নানান কারণ ও ঘটনা প্রবাহের দরুন একজনের মাঝে আত্মহত্যা প্রবণতা দেখা দিতে পারে। সেটা হতে পারে আর্থিক সমস্যা, মানসিক সমস্যা, পারিবারিক সমস্যা, শারীরিক অসুস্থতা, সম্পর্কজনিত সমস্যা কিংবা কোন দুর্ঘটনার প্রভাব। মূলত অপ্রতিরোধ্য ও অনিয়ন্ত্রিত দুঃখ ও কষ্ট থেকেই আত্মহত্যার মতো চিন্তা কাজ করে। প্রধান যে সকল কারণে এমন চূড়ান্ত বিষয়টি কারোর মাঝে কাজ করতে পারে তার কয়েকটি এখানে জানানো হলো।

১. পরিবারের কারোর মানসিক সমস্যা থাকা

২. পরিবারের কোন সদস্যের নির্যাতনের ঘটনা ঘটা।

৩. সমস্যাযুক্ত পরিবারের গঠন।

৪. পরিবারের কারোর আত্মহত্যার ঘটনা।

৫. সবসময় আশাহীন বোধ হওয়া।

৬. অনেক মানুষের মাঝে থেকেও নিজেকে একা লাগা।

৭. লিঙ্গ ও যৌনতা নিয়ে সমস্যা থাকা।

৮. মাদকসেবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়া।

৯. মানসিক অসুস্থতা দেখা দেওয়া।

১০. ইতোপূর্বে কোন কারণে আত্মহত্যার চেষ্টা করা।

১১. অপরিশোধযোগ্য ঋণের বোঝ থাকা।

১২. ঘুমের অভাব ও ঘুমের সময় ঠিক না থাকা।

১৩. বায়পোলার ডিসঅর্ডারে ভোগা।

১৪. সোশ্যাল অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডারে ভোগা।

১৫. অপমানসূচক আচরণের মুখোমুখি হওয়া।

কীভাবে রোধ করা যায় আত্মহত্যা প্রবণতা?

একজন আত্মহত্যা প্রবণ ব্যক্তিকে এই বিপদজনক স্থান থেকে সরিয়ে আনতে তার পরিবারের মানুষ ও বন্ধুদের সাহায্য প্রয়োজন সবার আগে ও সবচেয়ে বেশি। আত্মহত্যা প্রবণতার লক্ষণগুলো বেশিরভাগ সময়ে খুব স্পষ্ট হয়। এমনটা কারোর মাঝে ধরা পড়লে যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

ভারতের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফোর মেন্টাল হেলথ এক্ষেত্রে পরামর্শ দেয় তিনটি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।

১. আত্মহত্যা প্রবণ ব্যক্তির সাথে কথা বলা, জিজ্ঞাসা করা যে সে কোন কারণে বিষণ্ণ হয়ে আছে। কী কারণে সমস্যা বোধ করছে।

২. অবস্থা বুঝে দ্রুত তাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া। বিশেষত ধারালো কোন জিনিস ও তরল কেমিক্যাল জাতীয় জিনিস তার নাগালের বাইরে নিয়ে যাওয়া।

৩. তার সাথে কথাবার্তা বলার সময় বারবার আশ্বস্ত করা, উৎসাহ দেওয়া ও তার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনার চেষ্টা করা। এতে সে মনের ভেতর চাপা কষ্ট বা ক্ষোভ উগড়ে দিতে পারবে।

আরও পড়ুন: দুশ্চিন্তা দূরে রাখুন!

আরও পড়ুন: নিজের সাথে নিজের কথা বলার অভ্যাসটি কি ভালো?

   

রমজানে যেসব কাজ এড়িয়ে যাবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রমজান মাসে করা ভুল / ছবি: সংগৃহীত

রমজান মাসে করা ভুল / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজান সবচেয়ে পবিত্র মাস। ইবাদতের এই মাসে কেবল ভালো কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা জানেন রমজান মাসে কি করা উচিত। তবে অনেকেই জানেন না, এই এক মাস কোন কাজগুলো একেবারেই এড়িয়ে যাওয়া উচিত। জেনে নেওয়া যাক সেগুলো-     

অকারণে রোজা ভাঙা: রমজানে রোজা রাখা বাধ্যতামূলক এবং প্রধান নির্দেশনা। সংযমের মাসে রোজা রেখে সংযম চর্চা করা হয়। রমজান মাসে শেহরির পর এবং ইফতারের আগে কিছুই খাওয়া যাবেনা। রোজা রেখে ভেঙে ফেলা একদমই উচিত নয়। তাই খুব বিশেষ কারণ ছাড়া রোজা ভাঙবেন না।     

ঝগড়া-বিবাদ: সকল খারাপ অভ্যাস কমিয়ে ফেলা বা নিয়ন্ত্রণে রাখা রমজানের একটি বিশেষ উদ্দেশ্য। যেকোনো ধরনের খারাপ আচরণ, ঝগড়া, তর্ক এড়িয়ে চলা উচিত। বিশেষ করে রমজান মাসেস একদমই এসব করা যাবে না। এমনকি অহংকারও অত্যন্ত খারাপ একটি অভ্যাস। কোনো বিষয় নিয়েই অহংকার করে অথবা কাউকে ছোট করে কথা বলা উচিত না।   

দানশীলতার অভাব: দান দক্ষিণা প্রদান খুবই ভালো কাজ। নিজেদের কাছে থাকা অতিরিক্ত জিনিসগুলো, যাদের অত্যন্ত প্রয়োজন তাদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া উচিত। সকলেরই সাধ্য অনুযায়ী টাকা, খাবার, পোশাক- এসব গরীবদের দেওয়া উচিত।   

ইফতারের পর অপকর্মে লিপ্ত: অনেকে মনে করেন, রমজান মাসে শুধু দিনের বেলা ইবাদত আর ভালো করতে হয়। ইফতারের পরই পরই অনেকে মদ, সিগারেটের মতো নেশাজাত দ্রব্য সেবন শুরু করে। এসব কাজ রমজানের শিক্ষাকে ব্যর্থ করে দেয়।   

অলস সময় পার করা: সারাদির না খেয়ে রোজা থাকার ফলে শরীর স্বাভাবিকভাবেই ক্লান্ত থাক। অনেকে এই বাহানায় কাজ করতে চান না। তারা মনে করেন রোজা রেখে সারাদিন শুয়ে, বসে, ঘুমিয়ে কাটালে কোনো অসুবিধা নেই। আদতে এমন নয়। নিতান্ত নড়াচড়া করতে পারেনা অথবা খুব অসুস্থ মানুষ ছাড়া সকলেরই প্রতিদিনেরই রুটিন অনুসারেই কাজ করে যেতে হবে।  

নামাজ না পড়া: মুসল্লীদের মধ্যে অনেকেই রোজা রাখলেও নামাজ পড়েন না। নামাজ না পড়লে রোজা রাখার মাহাত্ম্য নেই। রমজান মাসে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে সওয়াব বেশি হয়। তাই একবেলাও নামাজ বাদ দেওয়া ঠিক না।  

তথ্যসূত্র: গ্রিণটেক

;

রমজানে অপচয় করার অভ্যাস ত্যাগ করুন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
টাকার অপচয়

টাকার অপচয়

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজান মাস ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র মাস। হযরত মোহম্মদ (সা.) এর নির্দেশনায় মুসল্লীগণ রোজা রাখার মাধ্যমে সংযম করেন। এই এক মাস সর্বাঙ্গে আরও ভালো একজন মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার চর্চা করে তারা। অনেকে মনে করেন, রোজার অর্থ শুধু না খেয়ে থাকা। তবে রোজা মূলত সংযম শেখানোর উদ্দেশ্যে রাখা হয়। এই সংযম শুধু খাদ্যের নয়, মনুষ্যের সকল ধরনের নেতিবাচক দিকের।   

অনেকে না জেনেই এমন কিছু কাজ করেন যা রমজান মাসে একদমই করা উচিত নয়। তার মধ্যে অন্যতম হলো অকারণে টাকা নষ্ট করা। রমজান মাসে পরিপূর্ণভাবে ঈমান রক্ষাকারী কাজই করা উচিত। অপচয় করার অভ্যাস একদমই ভালো নয়। রমজান মাসে অপচয় করা একেবারে কমিয়ে ফেলতে হবে।  

অনেককেই দেখা যায় ইফতারে অনেক বেশি পদের খাবার আয়োজন করার চেষ্টা করেন। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে এখন অনেকেই ইফতারে দামি খাবারের ব্যবস্থা করেন। রমজান মাসে নিজের প্রয়োজনকে সংযত করা আবশ্যক। অপ্রয়োজনে খাবারের পেছনে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করা এবং অতিরিক্ত খাবারের আয়োজন করে তা না খেয়ে নষ্ট করা- দুটোই অপচয় ঘটায়। তাছাড়া, বেশি খাবারের চাহিদার কারণে রান্নার কাজে যা ব্যয় থাকেন তাদের অতিরিক্ত পরিশ্রম হয়। এতে তাদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

এছাড়া সবাই ঈদে সকলেই নতুন পোশাক কেনে। তবে কারো মধ্যে সাধ্যের বাইরে গিয়ে পোশাক কেনা প্রবণতাও দেখা যায়। অনেকে কেনাকাটা করার জন্য শপিংমলে অতিরিক্ত সময় কাটান। রমজান মাস ইবাদত করার মাস। এই সময় যত বেশি সম্ভব ধর্মীয় কাজে এবং মসজিদে সময় কাটানো উচিত।

অনেক মানুষ আছে যারা প্রয়োজনীয় জিনিসও কিনতে পারে না। সম্ভব হলে তাদের সাহায্য করুন। এতে তাদের জীবনও ‍কিছুটা সহজ হবে, আপনারও মানসিক শান্তি মিলবে। 

তথ্যসূত্র: গ্রিণটেক

;

ঈদের ফ্যাশনে দেশীয় পোশাকের সমাহার নিয়ে এলো 'মিরা'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলছে মুসলিম ধর্মাবলম্বী অন্যতম ইবাদতের মাস পবিত্র রমজান। এরই মধ্যে চলে এসেছে ঈদ উৎসবের আমেজ। প্রস্তুত হচ্ছে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজগুলো হাল ফ্যাশনের পণ্য সম্ভার নিয়ে। প্রতি বছর ঈদকে কেন্দ্র করে বাজার ছেয়ে যায় নানারকম বিদেশী পোশাকে। এর ভিড়েও দেশীয় পোশাককে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ও জনপ্রিয় করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠান। তেমনি একটি দেশীয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড 'মিরা'।

দেশজ ও পরিবেশবান্ধব সব পণ্য নিয়ে ফ্যাশন হাউজ মিরা ইতোমধ্যেই নজরকাড়তে শুরু করেছে রুচিশীল ও ফ্যাশন সচেতন মানুষের। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে পান্থপথের মোড় কিংবা সাইন্স ল্যাবরেটরির মোড় যে কোন একদিক থেকে গেলেই গ্রিন রোডে কমফোর্ট হাসপাতালের পাশেই ১৬৭/এ নম্বর ভবনের তৃতীয় ফ্লোরে কাজ চলছে মিরা-র প্রথম নিজস্ব আউটলেট এর। সেখানেই কথা হয় মিরা ব্র্যান্ড এর কর্ণধারদের অন্যতম শুভ্রা কর এর সাথে।



শুভ্রা কর বলেন, এবার ঈদ এবং বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ প্রায় একই সময়ে। ঈদ এবং বর্ষবরণ দুটোই খুব বড় উৎসব। তাই এই উৎসবের সময়কে সামনে রেখে মিরা তার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে। কিন্তু এই উৎসবে আয়োজনে দেখা যায় আমাদের বাজার ছেয়ে যায় সব ভিনদেশী পণ্যে। নিজের দেশের তৈরি সুন্দর সব পোশাক, গহনা বা অন্যান্য পণ্য ছেড়ে আমরা বিদেশি পণ্য খুঁজি। অথচ তার চেয়ে মানসম্মত ও সুন্দর কিছু দেশেই পাওয়া যায়, আমরা জানিই না! বিদেশী পণ্যের ভিড়ে মিরা তাই নিয়ে এসেছে দেশীয় সব পণ্য ও ডিজাইনের সমাহার। আমাদের কাছে পাচ্ছেন সঠিক কাউন্টের অথেটিক জামদানি শাড়ি, আমাদের নিজস্ব হ্যান্ডব্লক ডিজাইনে করা কাপল সেট বা ফ্যামিলি কম্বো। থাকছে হ্যান্ডপেইন্ট এর পাঞ্জাবি, পরিবেশ বান্ধব বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরী নিজস্ব ডিজাইনের গহনা, অলঙ্কার। এছাড়া ছোট বড় সবার জন্য টিশার্টও পাচ্ছেন।

'মিরা'র নিজস্ব হ্যান্ডব্লক ডিজাইনের দেশীয় শাড়ি

তিনি বলেন, আমাদের অনেক পণ্য দেখে অনেকে অবাক হন এবং প্রশ্ন করেন যে এগুলো দেশে তৈরি কিনা, কারণ দেশে এত সুন্দর বা ভালো পণ্য তৈরি হয় তাদের ধারণা ছিল না। মিরা-র মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের এই নিজস্ব ঐতিহ্য ও শিল্পকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া ও জনপ্রিয় করে তোলা। একইসাথে ফ্যাশনকে যথাসম্ভব পরিবেশবান্ধব রাখা। আমাদের সব পণ্য আমাদের নিজস্ব তত্ত্বাবধায়নে কারিগর দ্বারা প্রস্তুত করা এবং সেখান থেকেই সংগ্রহ করা এবং মানের দিক থেকে আমরা কোন আপোষ করি না। আমি আশা করবো এদেশের মানুষ আরো বেশি দেশীয় পণ্য ক্রয়ে আগ্রহী হবে এবং উৎসবে আয়োজনে আমাদের নিজস্ব শিল্পকে গর্ব করে সবার কাছে তুলে ধরবে।

মিরা-র যেকোনো পোশাক কিনতে ভিজিট করতে পারেন তাদের ফেসবুক পেজ www.facebook.com/mirabrandbd অথবা ইন্সটাগ্রাম আইডি www.instagram.com/mirabrandbd/-এ। অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনে শীঘ্রই মিরা-র প্রথম আউটলেট শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকার গ্রিন রোডে।

;

ইস্টার উৎসব ডিম দিয়ে কেন পালিত হয়?



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খ্রিস্টানদের গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ইস্টার। এই উৎসব মৃত্যুপুরীর মধ্য থেকে যিশু খ্রিস্টের পুনরুত্থান উদযাপন করে। গুড ফ্রাইডের পরে তৃতীয় রোববার পালিত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে যিশু খ্রিস্টের পুনর্জন্ম হয়েছিল এবং তিনি আবার তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে বসবাস শুরু করেছিলেন, কিন্তু মাত্র ৪০ দিনের জন্য, তারপরে তিনি চিরতরে স্বর্গে চলে গিয়েছিলেন। এ কারণেই ইস্টারকে পুনরুত্থান দিবস বা পুনরুত্থান রোববারও বলা হয়।

ইস্টার উদযাপন

খ্রিস্টান সম্প্রদায় জুড়ে ইস্টারের ঐতিহ্য ব্যাপক। কেউ কেউ এই দিনে যিশুকে অভিনন্দন জানাতে ইস্টারের দিনে ডিম সাজিয়ে থাকেন। কেউ কেউ আবার ইস্টার প্যারেডগুলিতেও অংশগ্রহণ করে থাকেন। আসলে ইস্টারের বেশিরভাগই ছুটি থাকে। কিন্তু যেখানে ছুটি নেই সেখানে তিন ঘণ্টা কাজ বন্ধ থাকে কারণ যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল ৩টার সময়। এছাড়াও ইস্টার সানডে উদযাপনের জন্য খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের রাতে গির্জায় জড়ো হয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাতভর যিশু খ্রিস্টের নাম এবং তাঁর দেওয়া বাণীকে স্মরণ করেন।

ইস্টারে ডিমের ব্যাপক ভূমিকা

ইস্টার উদযাপনের প্রধান প্রতীক হল ডিম। ইস্টার নবায়ন, উদযাপন, পুনরুজ্জীবন, পৃথিবীতে বসবাসকারী প্রতিটি মানুষের জন্য অগ্রগতির প্রতীক। এই দিনে ডিম সজ্জিত করে একে অপরকে উপহার দেওয়া হয় যা একটি শুভ চিহ্নর ইঙ্গিত দেয়। তাই রঙিন ডিম ছাড়া ইস্টারের মজা নেই। ঐতিহ্যগতভাবে এই ডিম বাবা-মায়েরা লুকিয়ে রাখেন এবং বাচ্চাদের খুঁজে বের করতে হয়। খ্রিস্টধর্মে, ডিম পুনরুত্থানের প্রতীক। এটি বসন্তের সঙ্গে জড়িত।

ইস্টারে ডিমের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে কারণ পাখি প্রথম যেভাবে তার নীড়ে ডিম দেয়। এর পরে, এটি থেকে ছানা বেরিয়ে আসে। এই কারণেই, ডিমকে একটি শুভ স্মৃতিস্তম্ভ হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং ইস্টারের সময় এটি বিশেষ সম্মানের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়। কোথাও পেইন্টিং করে, কোথাও অন্যভাবে সাজিয়ে একে অপরকে উপহার হিসেবেও তাই ডিম দেওয়া হয়। রাশিয়া এবং পোল্যান্ডের মতো দেশে, ইস্টার ডিম একটি নতুন জীবনের প্রতীক।

ইস্টারের তারিখ প্রতি বছর পরিবর্তিত হয়। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ৩১ মার্চ পালিত হবে ইস্টার।

;