‘স্বাক্ষরতার হার এক শতাংশ বাড়ায় সন্তুষ্ট নই’
দেশে বর্তমানে স্বাক্ষরতার হার শতকরা ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০১৮ সালে যা ছিল ৭২ দশমিক ৯ শতাংশ। এক বছরে স্বাক্ষরতার হার বেড়েছে মাত্র এক শতাংশ। ফলে এতে সন্তুষ্ট নন বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিজের অসন্তুষ্টির কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আগামী ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস পালন করা হবে। এবারের প্রতিপাদ্য করা হয়েছে 'বহুভাষায় স্বাক্ষরতা, উন্নত জীবনের নিশ্চয়তা'। তবে এবার যে এক শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে, আমরা তাতে সন্তুষ্ট নই। এ বছর আমরা আরো এগিয়ে যাব বলে আশা করছি।’
দেশের ৬৪ জেলায় নির্বাচিত ২৫০টি উপজেলার ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ৪৫ লাখ নিরক্ষর ব্যক্তিকে স্বাক্ষর জ্ঞান দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে ১৩৪ উপজেলায় শিখন কেন্দ্রের মাধ্যমে ২৩ লাখ ৫৯ হাজার ৪৪১ জনকে স্বাক্ষর করতে শেখানো হয় বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরো জানান, দারিদ্র্য, অনগ্রসরতা, শিশুশ্রম, ভৌগলিক প্রতিবন্ধকতার কারণে এখনও অনেক শিশু বিদ্যালয়ে যায় না। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থায় এসব শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য পিইডিপি-চারের সাব-কম্পোনেন্টের আওতায় আট থেকে ১৪ বছর বয়সী বিদ্যালয়ের বাইরে থাকা ১০ লাখ শিশুকে উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা না থাকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. আকরাম আল হোসেন বলেন, ‘২০২১ সাল থেকে আমরা নতুন কারিক্যুলামে কার্যক্রম শুরু করব। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা রাখব না, সে ক্ষেত্রে রাউন্ড দ্যা ইয়ার পরীক্ষা হবে। আমরা আগামী বছর একশ' স্কুলে এ বিষয়ে পরীক্ষামূলক মূল্যায়ন করব। সে ক্ষেত্রে শ্রেণিকক্ষে ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে।’