সুলতান এদেশের খেঁটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের শিল্পী
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া বলেছেন, এস এম সুলতান ছিলেন এদেশের খেঁটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের শিল্পী। তার চিত্রকর্মে রং তুলির আঁচড়ে শ্রমজীবী কর্মঠ সুঠাম দেহের অধিকারী মানুষের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। সুলতান স্বপ্ন দেখতেন এদেশ একদিন ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত হবে। বর্তমান সরকার দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে আসতে হবে।
নড়াইলে বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৯৪তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে দশদিনব্যাপী সুলতান মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রোববার (৩ মার্চ) বিকালে জেলা প্রশাসন ও এস, এম,সুলতান ফাউন্ডেশনের আয়োজনে শহরের সুলতান মঞ্চ চত্বরে জেলা প্রশাসক আনজুমান আরার সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ হাবিবুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস প্রমুখ।
দশদিনব্যাপি সুলতান মেলায় বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে রয়েছে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, চিত্র প্রদর্শনী, গ্রামীণ খেলাধুলা (লাঠিখেলা, হা-ডু-ডু, ভলিবল, ঘোড়ার গাড়ি দৌঁড় প্রতিযোগিতা, সাইকেল রেস, দড়ি টানাটানি, ভ্যান গাড়ি দৌঁড়, গরু দৌঁড়, ) স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়া নড়াইলের বিভিন্ন বরেণ্য ব্যক্তিত্বের জীবন ও কর্মের ওপর প্রতিদিন সেমিনার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এবারের সুলতান মেলায় স্থানীয় ৩৭টি সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবে।
উল্লেখ্য, ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট এই গুণী শিল্পী শহরতলি মাছিমদিয়া গ্রামে রাজমিস্ত্রি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। চিরকুমার বরেণ্য এই শিল্পী স্বাধীনতা, একুশে পদকসহ দেশী-বিদেশি অসংখ্য সম্মাননা এবং পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর বরেণ্য এই শিল্পী মৃত্যুবরণ করেন।