‘জলকেলি’ দিয়ে শেষ হলো বৈসাবি উৎসব

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, রাঙামাটি, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মারমা সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব বৈসাবীতে জলকেলি, বার্তা২৪.কম

মারমা সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব বৈসাবীতে জলকেলি, বার্তা২৪.কম

‘জলকেলি’ আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো মারমা সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব বৈসাবী। এ উৎসবের মাধ্যমে পুরনো বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে স্বাগত জানান রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জাতি গোষ্ঠী।

সোমবার কেন্দ্রীয়ভাবে আয়োজিত এই সাংগ্রাই উৎসবে মঙ্গল ঘণ্টা বাঁজিয়ে জলকেলির উদ্বোধন করেন রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। এই জলকেলির (পানি খেলা) মধ্যে দিয়ে শেষ হয় পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জাতি গোষ্ঠীর বর্ষ বিদায় ও বরণের বৈসাবি উৎসব।

বিজ্ঞাপন

 

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/15/1555322120411.jpg

বিজ্ঞাপন

রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার নারানগিরি হাই স্কুল মাঠে মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস) রাঙ্গামাটির কেন্দ্রীয়ভাবে এই জলোৎসবের আয়োজন করে। ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ রিয়াদ মেহমুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস এম শফি কামালসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

জলকেলিতে মারমা তরুণ-তরুণীরা একে অপরকে পানি ছিটিয়ে শুরু করে পানি খেলা। জল উৎসবের পাশাপশি চলে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। কয়েক হাজার মারমা নারী পুরুষ এ উৎসবে যোগ দেয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/15/1555322172780.jpg

পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান তিনটি পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব বৈসাবি। প্রতিবছর চৈত্রসংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষবরণ উপলক্ষে ত্রিপুরারা ‘বৈসুক’ মারমারা ‘সাংগ্রাই’ এবং চাকমারা ‘বিজু’ নামে এ উৎসব পালন করে। এ তিন ভাষার আদ্যাক্ষর নিয়ে এ উৎসবকে বলা হয় বৈসাবি। বাংলা বর্ষবরণ ও বর্ষবিদায় উৎসবকে পাহাড়ের সম্প্রদায়েরা ভিন্ন নামে পালন করে আসছে বহুকাল ধরে।

মারমা ভাষায় সাংগ্রাইং, ত্রিপুরা ভাষায় বৈসু, তঞ্চঙ্গ্যা ভাষায় বিষু এবং চাকমা ভাষায় বিজু’র সংক্ষেপিত রূপ হচ্ছে বৈসাবি।