রাঙামাটিতে নির্মাণাধীন ভবনে মাটি চাপায় নিহত ৩
পূর্বপ্রস্তুতি না নিয়ে নির্মাণাধীন বাড়ির বেইজ কাটতে গিয়ে পাহাড় ধ্বসে মাটি চাপায় রাঙামাটিতে তিন শ্রমিক নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছেন।
রোববার (২ জুন) দুপুর পৌনে ১টার সময় শহরের মহিলা কলেজ এলাকায় এই দূর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- তানভীর (১৭) পিতা শুক্কুর আলী, সেন্টু মিয়া (৫৫) পিতা মৃত সুলতান মিয়া, আনফর আলী (৮০) পিতা মহব্বত আলী। আহত দুই শ্রমিক বর্তমানে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহতরা সকলেই রিজার্ভ বাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং তাদের বাড়ি সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা এলাকায় বলে জানা গেছে। ঘটনার পরপরই দমকল বাহিনী, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, 'সম্পূর্ন অবৈধভাবে কোনো ধরনের সেফটি না নিয়েই এই ভবনটি নির্মান করা হচ্ছিল বলে প্রশাসন নিশ্চিত হয়েছে। ইতোমধ্যেই আমরা পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছি এই ভবনের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য। এছাড়াও ঘটনাটি খতিয়ে দেখার জন্য রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।'
রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর স্টেশন অফিসার উদয়ন চাকমা বলেন, 'দূর্ঘটনা প্রতিরোধে কোনো প্রকার আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ না করেই বহুতল ভবন তৈরিতে মাটি কাটছিল উক্ত শ্রমিকরা। এ সময় পাহাড়ের নিচে বেইজ তৈরিকালে উপর থেকে মাটি চাপা পড়ে তিন শ্রমিক। আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে এসে অন্যান্য সকলের সহযোগিতায় ঘণ্টাখানেক চেষ্ঠা চালিয়ে তাদের নিথর দেহ উদ্ধার করে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করি।'
এদিকে রাঙামাটি কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মীর জাহেদুল ইসলাম রনি বলেন, 'খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে নিহতদের লাশ উদ্ধার করেছি, ঘটনাস্থল সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। জনৈক প্রাথমিক শিক্ষিকা পারভীন আক্তার এই ভবনটি বানাচ্ছিলেন বলে আমি জেনেছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।'
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মহিলা কলেজ এলাকার ঠিকাদার সেলিম এর বোন প্রাথমিক শিক্ষিকা পারভীন আক্তার উক্ত নির্মানাধীন ভবনের মালিক। তার স্বামী বিদেশে অবস্থান করছেন।