আরিচায় যমুনার পানি বিপদসীমার ওপরে, শুরু হয়েছে ভাঙন
বিপদসীমার দুই সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনা নদীর মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আরিচা পয়েন্টের পানি। এরই মধ্যে বিভিন্ন শাখা নদী নালা হয়ে সেই পানি প্রবেশ করেছে জেলার বিভিন্ন এলাকায়। যমুনায় পানি বাড়ার প্রভাবে পানি বাড়ছে পদ্মায়ও।
পদ্মা-যমুনায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে ভাঙন। এরই মধ্যে মানিকগঞ্জের তিনটি উপজেলার চার শতাধিক ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। এতে করে চরম হতাশায় দিন কাটছে নদীর আশাপাশের এলাকার বাসিন্দাদের।
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর ও শিবালয় উপজেলার পাশ দিয়ে প্রবাহিত যমুনা নদী। বর্ষার শুরু থেকেই যমুনা তীরের এলাকাগুলোতে শুরু হয়েছে ভাঙন। নদী ভাঙনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দৌলতপুর ও শিবালয় এলাকার বাসিন্দারা। এছাড়া জেলার হরিরামপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি পয়েন্টে পদ্মার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতাধিক পরিবার।
বিআইডব্লিউটিএ মানিকগঞ্জের আরিচা কার্যালয়ের গ্রেজ রিডার আলমগীর হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, প্রায় এক মাস ধরেই কিছু কিছু মাত্রায় পানি বাড়ছে যমুনা নদীর আরিচা পয়েন্টে। তবে এতোদিন পানি বাড়ার মাত্রা ছিল অল্প। কিন্তু গেল দুই-তিন দিন ধরে অতি মাত্রায় পানি বাড়ছে যমুনা নদীর আরিচা পয়েন্টে।
সবশেষ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বিপদসীমার দুই সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে যমুনার পানি প্রবাহিত হচ্ছিল বলেও জানান তিনি।
মানিকগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক বাবুল মিয়া বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, পদ্মা ও যমুনার ভাঙনে মানিকগঞ্জের শিবালয়, দৌলতপুর ও হরিরামপুর উপজেলার কয়েকশ’ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব এলাকা পরিদর্শন শেষে আট মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ভাঙন ও বন্যা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সতর্ক রয়েছে বলেও জানান তিনি।