নোটিশ তোয়াক্কা না করেই সড়কে বিদ্যুতের ৬ খুঁটি
চাঁদপুরের দুইটি সড়কে ছয়টি খুঁটি বসিয়েছে চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। সড়ক সংশ্লিষ্ট বিভাগের দেয়া নোটিশের তোয়াক্কা না করেই বিদ্যুতের লাইন সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল-রামপুর সড়কের রামপুর বাজারে চারটি বিদ্যুতের খুঁটি ও রামপুর-নওহাটা সড়কের উপর দুইটি বিদ্যুতের খুঁটি বসানো হয়েছে। খুঁটিগুলো কমপক্ষে আরও ছয় ফুট দূরত্বে বসানোর জন্য পরিপত্রের মাধ্যমে অনুরোধ করেছেন হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. রাহাত আমিন পাটওয়ারী।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) তিনি জানান, বলাখাল-রামপুর সড়কটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক। শিগগির সড়কটি সংস্কার করার সময় দুই পাশে দুই ফুট করে বৃদ্ধি করা হবে। এছাড়া রামপুর-নওহাটা সড়কের পিচ ঢালাইয়ের কাজ শিগগির শুরু হবে। অথচ সড়কের উপর নতুন করে ছয়টি বিদ্যুতের খুঁটি বসানো হয়েছে। এ বিষয়ে চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজারকে একটি পরিপত্র দেয়া হয়েছে।
৪নং কালচোঁ ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা স্বপন বলেন, চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঠিকাদারকে একাধিকবার নিষেধ করা সত্ত্বেও বিদ্যুতের ছয়টি খুঁটি বসানো হয়েছে। এখন বিদ্যুতের লাইনের কাজ চলছে। মূলত রামপুর বাজারের ব্যবসায়ীদের স্বার্থে ওই খুঁটিগুলো সড়কের উপর বসানো হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, রামপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হলেন মানিক তালুকদার। বিদ্যুতের খুঁটিগুলো ওই স্থানে বসানো হলে তার মার্কেট ও ব্যবসার ক্ষতি হবে। তাই রামপুর বাজারের সড়কের উপর চারটি খুঁটি বসানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রামপুর বাজার এলাকার এক বাসিন্দা জানান, চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্তৃপক্ষ একঘেঁয়েমি করেই দায়সারা কাজ করছে। জনবহুল এই সড়কের কথা চিন্তা না করেই তারা খুঁটিগুলো বসিয়েছে। যা ঠিক হয়নি।
রামপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মানিক তালুকদার বলেন, ‘এখানে আমি কোনো প্রভাব বিস্তার করিনি। এ বিষয়ে চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্তৃপক্ষ ভালো জানেন।’
রামপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মানিক মিয়া জানান, জনস্বার্থে খুঁটিগুলো সরানো উচিত।
চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঠিকাদার দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার ও প্রকৌশলী যেভাবে বলেছেন, সেভাবেই কাজ করছি।’
চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার জানান, সড়ক সংস্কার হলে ওই সময় খুঁটিগুলো সরকারি খরচে সরানো হবে। তবে এখন সরানো বা কাজ বন্ধ রাখা যাবে না।