দেশি গরুতে জমজমাট গোপালগঞ্জের হাট

  • মাসুদুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, গোপালগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গোপালগঞ্জের পশুর হাট। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

গোপালগঞ্জের পশুর হাট। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দেশি গরুতে জমে উঠেছে গোপালগঞ্জের পশুর হাটগুলো। এ বছর ভারতীয় গরু না আসায় হাটে দেশি ছোট-বড় সব সাইজের গরু তোলা হয়েছে। তবে দেশি গরুর দাম কিছুটা বেশি বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। তারপরও তারা দরদাম করে কিনতে পারছেন, আর তাতেই খুশি ক্রেতারা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শনিবার (১০ আগস্ট) সকাল থেকেই বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাটগুলোতে ট্রাকবোঝাই করে গরু আসা শুরু করে। এ বছর হাটগুলোতে ৫০ হাজার থেকে ৭ লাখ টাকা দামের গরু দেখা গেছে। বিদেশি গরু না থাকায় দেশি গরুর দাম বেশি চাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

বিজ্ঞাপন

গোপালগঞ্জ প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ঈদুল আজহা উপলক্ষে গোপালগঞ্জে ১৬টি পশুর হাট বসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় পশুর হাট বসেছে শহরের প্রাণকেন্দ্র শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও শেখ রাসেল পার্ক সংলগ্ন মাঠে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/10/1565449759810.jpg

বিজ্ঞাপন

শেখ রাসেল পার্ক সংলগ্ন হাটের গরু ব্যবসায়ী ওলিউল্লাহ খান জানান, গরু লালন-পালন করতে খরচ অনেক বেশি। এ বছর প্রচুর গরু ওঠায় দাম স্বাভাবিক রয়েছে। ক্রেতারা কম দামে ভালো মোটা-তাজা ও পছন্দের গরু কিনতে পারছেন। হাটে ক্রেতার চাহিদার তুলনায় গরু বেশি উঠেছে। তাই সব গরু স্বাভাবিক দামে বিক্রি না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

একই হাটের গরু ব্যবসায়ী নীলু হাওলাদার বলেন, ‘এ বছর হাটের সবচেয়ে বড় গরুটা আমি এনেছি। ৭ লাখ টাকা দাম চেয়েছি, ক্রেতারা চার থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা দাম বলছেন।’

গরু ব্যবসায়ী নুরু মুন্সী বলেন, ‘আমি হাটে ১৮টি গরু তুলেছি। ইতোমধ্যে দুইটা বিক্রি হয়েছে। বাকিগুলো বিক্রির চেষ্টা করছি। কিন্তু ক্রেতারা দাম বেশি বলে বাজার যাচাই করছেন।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/10/1565449777533.jpg

ওই হাটের ক্রেতা বাবলু জানান, সকালের তুলনায় কোরবানির পশুর দাম অনেক বেশি। এ বছর ক্রেতার তুলনায় গরু অনেক বেশি আছে। কিন্তু দাম কমছে না। ব্যবসায়ীরা এ বছর গরুর মূল্য বেশি চাওয়ার কারণে ক্রেতারা দরদাম করতে হিমশিম খাচ্ছেন। আস্তে আস্তে হাটে ক্রেতা বাড়ছে, আর ব্যবসায়ীরা চড়া দাম চাচ্ছে।

হাট ইজারাদার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতি বছরের তুলনায় এ বছর গরু অনেক বেশি। ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে পছন্দের গরু কিনছেন। তাছাড়া হাটের সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ফলে ক্রেতারা নিরাপদে কোরবানির পশু কিনতে পারবেন।

আরও পড়ুন:আফতাব নগরের আকর্ষণ ‘যুবরাজ’ ও সৌদি আরবের ‘মেষ’

                পেশির ব্যথা আর পেটের অসুখে ভুগছে গরু