সরকারি জমিতে নির্মাণাধীন দোকানঘর ভেঙে দিল প্রশাসন

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, লক্ষ্মীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অবৈধভাবে নির্মাণাধীন দোকানঘরের দেয়াল ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

অবৈধভাবে নির্মাণাধীন দোকানঘরের দেয়াল ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর শহরের পীর ফয়েজ উল্যা সড়কের পাশে সরকারি জমিতে অবৈধভাবে নির্মাণাধীন দোকানঘরের দেয়াল ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সার্ভেয়ার আবদুল্লাহ আল মামুন কাজ বন্ধ করে দেয়াল ভেঙে দেন। এ সময় দখলদারদের সতর্ক করে দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, পৌরসভার পীর ফয়েজ উল্যা সড়কের মুখে ডান পাশে সরকারি প্রায় দেড় শতাংশ জমি রয়েছে। সেখানে উপজেলা রিকশা চালক মালিক সমবায় সমিতির নামে পাঁচটি টিনসেট দোকানঘর আছে।

অভিযোগ রয়েছে, কয়েক বছর আগে পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কাজী জামশেদ কবির বাক্কি বিল্লাহ রিকশা চালক মালিক সমবায় সমিতির হয়ে দোকানঘরগুলো নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন। এর জের ধরে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে সেখানে লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের সদস্য শাখাওয়াত হোসেন আরিফ দোকানঘরগুলো ভেঙে দখলের চেষ্টা করেন। এতে দুই গ্রুপের লোকজন মুখোমুখি অবস্থান নেয়। তখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিল্পী রানী রায় নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।

বিজ্ঞাপন

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সম্প্রতি দোকানঘরগুলো করার জন্য ইট-বালুসহ নির্মাণ সামগ্রী এনে স্তূপ করা হয়। গত তিন দিন ধরে শ্রমিকরা পাঁচটি দোকানঘরের দেয়াল তুলেছেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অবৈধ দখলের বিষয়টি জেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সার্ভেয়ার ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেন।

পীর ফয়েজ উল্যা সড়কের তিনজন ব্যবসায়ী জানান, ক্ষমতার দাপটে অবৈধভাবে দোকানগুলো করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ নেতা জামশেদ কবির বাক্কি বিল্লাহ ও জেলা পরিষদের সদস্য শাখাওয়াত হোসেন আরিফ দোকানগুলো ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

জানতে চাইলে জেলা পরিষদের সদস্য শাখাওয়াত হোসেন আরিফ বলেন, ‘আমাদের (আরিফ ও বাক্কি বিল্লাহ) মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে আগে ইউএনও কাজ বন্ধ করেছিল। এখন দুইজনে সমঝোতা করেই ঘরগুলোর সংস্কার কাজ ধরেছি। এটা তো খাস জমি না।’

উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সার্ভেয়ার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘অবৈধভাবে সরকারি খাস জমিতে দোকানের নির্মাণাধীন দেওয়াল ভেঙে দেওয়া হয়। রেকর্ডপত্রেও এটি খাসজমি।’

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জন চন্দ্র পাল বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইউএনওকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি খাস জমি দখলকারীদের কোনো ছাড় নেই।’