আশুগঞ্জ থেকে ৬ জেলায় সার সরবরাহ বন্ধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সারকারখানা থেকে ৬ জেলায় সার সরবরাহ দ্বিতীয় দফায় বন্ধ রেখেছেন উপজেলায় কর্মরত ট্রাক শ্রমিকরা। অভিযোগ আছে, মহাসড়কে চলাচলকারী ট্রাকে ১৩ টণের বেশি পণ্য না নেওয়ার সরকারি নির্দেশনা আছে। কিন্তু আশুগঞ্জ থেকে বিভিন্ন স্থানে যাওয়া ট্রাকগুলোকে ১৫-২০ টন সার নিতে বাধ্য করেন ব্যবসায়ীরা। এতে বিভিন্ন যায়গায় সড়কে পুলিশকে মানেজ করে চলতে হয় শ্রমিকদের। তাই বাধ্য হয়ে আশুগঞ্জ সার কারখানা থেকে সার নেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন ট্রাক চালক ও শ্রমিকরা।
এদিকে, সমস্যা সমাধানে প্রশাসন থেকে কয়েক দফা চেষ্টা করা হলেও তা ব্যার্থ হয়েছে। ফলে মৌসুমের শুরুতেই সময় মতো সার না পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট জেলার চাষাবাদে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, আশুগঞ্জ সারকারখানা এলাকা থেকে কোনো ট্রাক ছাড়ছে না। তবে সার ব্যবসায়ীরা লোকাল ট্রাকের সিরিয়াল বাদ দিয়ে নিজেদের ট্রাক ব্যবহার করতে চান। এতে এলাকার তিন শতাধিক ট্রাক অলস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শ্রমিকদের দাবি, সরকার নির্ধারিত পরিমানের বেশি সার তারা নিতে চান না। তাই সার লোড দিচ্ছে না সার ব্যবসায়ীরা। এনিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হলে প্রথম দফায় শনিবার ও রোববার সার পরিবহন বন্ধ থাকে। পরে বিষয়টি সুরাহা করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উদ্যোগে কয়েকবার আলোচনায় বসলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। ফলে বুধবার থেকে সার সরবরাহ আবারও বন্ধ রয়েছে।
ট্রাক শ্রমিক ও চালক মো. মাহালম মিয়া জানান, নির্দিষ্ট পরিমানের বেশি সার পরিবহন না করায় ব্যবসায়ীদের সাথে ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছে।
আশুগঞ্জ ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. ইদন মিয়া মিন্টু জানান, শ্রমিকরা ন্যায্য দাবি জানিয়েছেন। তবে সার ব্যবসায়ীদের সাথে আমাদের আলোচনা হচ্ছে। আশা করা যায় বিষয়টি অচিরেই সুরাহা হবে।
আশুগঞ্জ সার সমিতির সভাপতি মো. জালাল মিয়া জানান, বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা হয়েছে। তবে আবারও বসে সমস্যার সমাধান করা হবে।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজিমুল হায়দার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘সার কারখানার আশেপাশে কোনো সিন্ডিকেট থাকতে পারবে না। পাশাপাশি কেউ সার সরবরাহে বাধা দিতে পারবে না। বিষয়গুলো নিয়ে সার ব্যবসায়ী ও ট্রাক শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সার পরিবহনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে এবং সার সরবরাহ আপাতত শুরু হয়েছে।’