ধর্ষণ মামলায় যুবলীগ কর্মীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় কিশোরীকে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের ভিডিও ইন্টানেটে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন কামরুল হাসান কামাল নামে এক যুবলীগ কর্মী।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কামালকে আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। পরে মানিকগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলমের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে শনিবার কিশোরীর বাবা থানায় মামলা করার পর সেদিন রাতেই কামালকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে এ ঘটনায় কামালকে ঘিওর উপজেলা যুবলীগের সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান জনি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে ওই কিশোরীর বড় বোনকে বিয়ের প্রস্তাব দেন কামাল। এ সুবাদে তার সঙ্গে ওই কিশোরীর পরিবারের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সূত্রে ওই কিশোরীকে বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে নিয়ে যেতেন কামাল। দুই মাস আগে কামাল কিশোরীকে নিয়ে ঢাকায় বেড়াতে যান। সেখানে মেয়েটিকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে একটি হোটেলে ওঠেন তিনি। হোটেল রুমে কামাল ভয় দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের ভিডিও করেন। পরে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন তিনি। সেই ভিডিও এক লোকের মাধ্যমে কিশোরীর বাবা দেখতে পান। পরে শনিবার তিনি বাদী হয়ে ঘিওর থানায় মামলা করেন।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।