হুমকি মোকাবিলায় জলপথে তৎপরতা বাড়াচ্ছে বিজিবি
সেন্টমার্টিন থেকে: কক্সবাজার-টেকনাফ সীমান্তের যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় জলপথে তৎপরতা বাড়াচ্ছে বিজিবি। তারই অংশ হিসেবে সেন্টমার্টিনে ২২ বছর পর বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। একটি বিওপি করার পরিকল্পনাও চলছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে সেন্টমার্টিন বিওপির জন্য নির্ধারণকৃত জমি পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম।
সেন্টমার্টিনকে মিয়ানমারের অংশ দাবি করা নিয়ে তিনি বলেন, ‘হয়তো মিয়ানমার অজ্ঞাত বসত এটি বলছে। আন্তর্জাতিক সীমানা রেখা অনুযায়ী সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের। খুব কম সময়ের মধ্যে বিজিবি সেন্টমার্টিনে টহল আরও বৃদ্ধি করবে। সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমারের মতো বাংলাদেশ সীমান্তেও কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার কাজ চলছে। বিজিবির তৎপরতায় অনেক অংশে কমে এসেছে চোরা চালানসহ বিভিন্ন অপরাধ।’
নাফনদী দিয়ে ইয়াবা পাচার রোধে অনেক সফলতা পেয়েছে বিজিবি এমনটা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইয়াবা পাচার কমে এসেছে। আগের তুলনায় ইয়াবা পাচার নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পাশাপাশি ইয়াবার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’
এর আগে, হেলিকপ্টারযোগে সেন্টমার্টিনে পৌঁছান বিজিবির মহা-পরিচালক। সেখানে নেমে তিনি বিজিবির বিভিন্ন সীমান্ত চৌকি পরিদর্শন ও বিওপির জন্য প্রস্তাবিত জমি পরিদর্শন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কক্সবাজার রামু সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল মাইন উদ্দিন চৌধুরী, বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজেদুল রহমান, সেক্টর কমান্ডার মনজরুল হাসান খান, টেকনাফের ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সাল হাসান খান, অপারেশন অফিসার মেজর রুবায়াৎ কবীরসহ কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৭ এপ্রিল সেন্টমার্টিনজুড়ে বিজিবি মোতায়েন করে সরকার। মূলত সেন্টমার্টিনকে মিয়ানমার তাদের দাবি করার পর পরই বিজিবি মোতায়েন করে। ১৯৯৭ সালে তৎকালীন বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) তুলে নেয়া হয়। প্রায় ২২ বছর পর আবারো সেন্টমার্টিনে বিজিবি মোতায়েন করল সরকার।