রামু ট্র্যাজেডি

৭ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি ১৮ মামলা



মুহিববুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কক্সবাজার
রামুতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর হামলার চিত্র, পুরনো ছবি

রামুতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর হামলার চিত্র, পুরনো ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ ২৯ সেপ্টেম্বর রামু ট্র্যাজেডির ৭ বছর পূর্ণ হলেও এখনো আলোর মূখ দেখেনি এ ঘটনায় দায়ের করা ১৮ মামলা। ২০১২ সালে ফেসবুকে গুজবের জের ধরে ভয়াবহ হামলার শিকার হন রামুর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ। পুড়িয়ে দেয়া হয় শত বছরের বুদ্ধমূর্তি, আরাধনার মন্দির আর আঘাত আসে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনে।

তবে বর্তমান শেখ হাসিনা সরকারের প্রচেষ্টায় সেখান থেকে উঠে আসা গেলেও আসামিদের বিচার নিয়ে চরম হতাশা বিরাজ করছে রামুর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, রামুর ঘটনার পরপরই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ১৯টি মামলার মধ্যে একটি আপোষ হয়ে গেছে বহু আগেই। পুলিশ বাদী হয়ে করা বাকি ১৮টি মামলা এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। অথচ ঘটনার সূত্রপাত যার ফেসবুক থেকে শুরু সেই উত্তম বড়ুয়ার হদিস মিলেনি সাত বছরেও। গেল ৭টি বছর ধরে তার খোঁজ দিতে পারেনি প্রশাসন।

হামলার ঘটনায় রামু থানার আট মামলার এজাহারে মোট আসামি সাত হাজার ৮৭৫ জন। এর মধ্যে ১১১ জনের নাম-ঠিকানা থাকলেও পুলিশ গ্রেফতার করতে পেরেছিল মাত্র ৭৪ জনকে। আর সন্দেহভাজনদের মধ্যে আটক করেছিল ১৩২ জনকে। উখিয়া থানার সাত মামলায় পাঁচ হাজার ৬২৪ আসামি থাকলেও গ্রেফতার ছিল ১১৬ জন।

টেকনাফ থানার দুটি মামলায় ৬৫৩ আসামির মধ্যে গ্রেফতার ছিল ৬৩ জন। কক্সবাজার সদর মডেল থানায় দুই মামলায় এক হাজার ৩০ আসামি থাকলেও গ্রেফতার ছিল ৯৮ জন। তবে গত সাত বছরে ধাপে ধাপে জামিন নিয়ে বেরিয়ে গেছেন সব আসামি।

আরও পড়ুন: রামু ট্রাজেডির ৭ বছর

কক্সবাজার জেলা দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা বর্তমানে সাক্ষী দিতে না আসায় মামলাগুলো ঝুলে আছে। যদি তারা সাক্ষী দিতে আসেন তাহলে একটি সুষ্ঠু বিচার করা হতো। সাক্ষীরা না আসায় কিছু করা যাচ্ছে না। তাই মামলাগুলো আলোর মুখ দেখছে না।

তিনি আরও জানান, ১৮টি মামলা আদালতে বিচারের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন সাক্ষ্য না দেওয়ার কারণে বিচারকাজ বিলম্বিত হচ্ছে।

তবে বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুরা বলছেন, ভয়, আর মামলা প্রক্রিয়ার প্রতি অবিশ্বাসের জায়গা থেকে সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে অনীহা দেখাচ্ছেন।

বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, সাক্ষীদের মাঝে একটা চিন্তা কাজ করছে। সেটি হচ্ছে অনেক লোককে কোনো কারণ ছাড়া এ মামলায় জড়িত করা হয়েছে। দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, এ ঘটনার যারা মূলনায়ক তাদের এই মামলাগুলোতে আসামি করা হয়নি। যার কারণে সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে ভয় পাচ্ছেন।

আরও পড়ুন: সম্প্রীতির নতুন আলোয় রামুর বৌদ্ধ সম্প্রদায়

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের আরেক নেতা জানান, ঘটনার অনেক ছবি ও ভিডিও রয়েছে। এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির তদন্তও হয়েছে। এতে চিহ্নিতদের অনেকেই মামলার আসামি নন। আবার এমন অনেক ব্যক্তিকে মামলায় জড়ানো হয়েছে যারা কোনভাবেই এ ঘটনায় জড়িত নন। ফলে বিষয়টি জটিল হয়ে উঠেছে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, রামুতে হামলার ঘটনায় ১৮টি মামলা হয়। প্রত্যেকটি মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। ওই মামলাগুলো এখন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তবে আদালত যদি মনে করে সাক্ষীদের নোটিশের মাধ্যমে আদালতে নিয়ে আসবে, সে ব্যাপারে পুলিশ সহযোগিতা করবে।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে গুজবের জেরে রামুর ঘুমন্ত বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বাড়ি ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয় একদল দুর্বৃত্ত। ভাংচুর করা হয় শত বছরের মূর্তি ও মন্দির। আগুনের লেলিহান শিকায় চাপা পড়ে যায় রামুর ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;