টেকনাফ স্থলবন্দরে ১ দিনে ৫৬৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ খালাস
কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে একদিনে ৫৬৯ দশমিক ৭৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ খালাস হয়েছে। খালাস হওয়া এসব পেঁয়াজ ৩৬টি ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা।
তবে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে আরো চার থেকে পাঁচশ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বোঝাই জাহাজ ও ট্রলার। তবে আরও কয়েক হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ বন্দরে এসে পৌঁছাবে বলে জানা যায়। বন্দরে পর্যাপ্ত শ্রমিক ও অবকাঠামোর অভাবে আমদানি করা পেয়াঁজ খালাস করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানায় ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) মিয়ানমার থেকে ৫৬৯ দশমিক ৭৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ স্থলবন্দরে এসে পৌঁছায় । আমদানি করা পেঁয়াজের বস্তা গুলো শ্রমিকেরা জাহাজ ও ট্রলার থেকে খালাস করে সরাসরি ট্রাক বোঝাই করেন। পরে বন্দর থেকে পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাক দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়।
টেকনাফ শুল্ক স্টেশন সূত্র জানায়, অক্টোবরের প্রথম দিনে এই বন্দরে এসেছে ৫৬৯ দশমিক ৭৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ। এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে ৩৫৭৩ দশমিক ১৪১ মেট্রিক টন পেয়াঁজ আমদানি হয়। তবে আগস্ট মাসে এসেছে ৮৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজ।
টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে ব্যবসায়ী এমএ হাশেম ৮০৩ মেট্রিক টন পেয়াঁজ আমদানি করেন। ব্যবসায়ী যদু চন্দ্র দাশ ৫০৬ মেট্রিক টন, ব্যবসায়ী আব্দুল জব্বার ৪৯৯ মেট্রিক টন পেয়াঁজ আমদানি করেন বলে জানান।
ব্যবসায়ী এমএ হাশেম বলেন, দেশে পেয়াঁজের সংকট মোকাবিলায় মিয়ানমার থেকে পেয়াঁজ আমদানি করা হচ্ছে। বন্দরে পর্যাপ্ত শ্রমিক ও অবকাঠামো ঠিক থাকলে আরো বেশি পেঁয়াজ আমদানি করা সম্ভব হত। তবে ভারতে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের খবরে মিয়ানমারেও পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হচ্ছে। তারপরও ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রেখেছে।
টেকনাফ স্থল বন্দর শুল্ক কর্মকর্তা আবছার উদ্দিন বলেন, মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়ছে। মঙ্গলবার একদিনে ৫৬৯ দশমিক ৭৩০ মেট্রিক টন পেয়াঁজ খালাস করা হয়েছে। এসব পেঁয়াজ দ্রুত খালাস করে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজস্ব আদায়ে ধস দেখা দিয়েছে। তবে দেশের স্বার্থে সংকট মোকাবিলায় ব্যবসায়ীদের পেঁয়াজ আমদানি বাড়াতে আরো বেশি উৎসাহিত করা হচ্ছে।