মেহেরপুরে জেলারসহ ২ কারারক্ষী কারাগারে

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, মেহেরপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আক্তার হোসেন শেখ। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

আক্তার হোসেন শেখ। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

মেহেরপুর জেলা কারাগারের সাবেক জেলার আক্তার হোসেন শেখ সহ দুই কারারক্ষীকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। কারাগারের অভ্যন্তরে কয়েদি হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আব্দুস সালাম। সন্ধ্যায় পুলিশি পাহারায় তাদের মেহেরপুর আদালত থেকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

অপর দুই আসামি হলেন- মেহেরপুর জেলা কারাগারের সাবেক প্রধান কারারক্ষী আলামিন হোসেন ও কারারক্ষী গঞ্জের আলী।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, মেহেরপুরের সাবেক জেলার আক্তার হোসেন শেখ বর্তমানে পিরোজপুর জেলা কারাগারের জেলার হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। আলামিন হোসেন যশোর কারাগারে কর্মরত রয়েছেন ও গঞ্জের আলী অবসর গ্রহণ করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর মেহেরপুর জেলা ডিবি পুলিশের হাতে গাংনী উপজেলার বালিয়াঘাট গ্রামের ছলেমান মিয়ার ছেলে জামিরুল ইসলাম ফেনসিডিলসহ আটক হন। ওই দিন তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। ১৭ অক্টোবর দুপুরে গলায় গামছা দিয়ে কারাগারের রেলিংয়ের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন জামিরুল। তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জামিরুলের মৃত্যু সনদে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা বলে উল্লেখ করে।

এ ঘটনার পর দিন নিহত জামিরুলের স্ত্রী শাহিনা খাতুন মেহেরপুর আদালতে জেলার আক্তার হোসেন শেখ, প্রধান কারারক্ষী আলামিন হোসেন ও কারারক্ষী গঞ্জের আলীকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। তিন বছরে পুলিশ তিনবার মামলাটির তদন্ত করে আদালতে রিপোর্ট দাখিল করে। তবে আদালত তদন্ত রিপোর্ট গ্রহণ না করে উচ্চতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন।
সিআইডির যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেশমা সারমিন দীর্ঘ তদন্ত শেষে চলতি বছরের ১৯ আগস্ট আদালতে হত্যার কথা উল্লেখ করে একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরবর্তীতে আদালত আসামিদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

বিজ্ঞাপন

এদিকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে আসামিরা জামিনের জন্য মেহেরপুর আদালতে হাজির হন। আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে তিনজনকেই জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।