উখিয়ায় ৪ খুন, দুই সপ্তাহেও রহস্যের জট খুলেনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের উখিয়ায় একই পরিবারের চারজনকে জবাই করে হত্যার দুই সপ্তাহ পার হলেও এখনো হত্যাকারী বা হত্যার কারণ জানা যায়নি। এখন পর্যন্ত কোন আসামিকেও আটক করতে পারেনি পুলিশ।

এ নিয়ে নিহতের স্বজন ও প্রতিবেশীসহ নানা মহলে গুঞ্জন উঠেছে, ঘটনায় জড়িতরা আত্মগোপন বা বিদেশে পালিয়ে গিয়েছে।

তবে পুলিশ বলছে, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত বা গ্রেফতারের নানাভাবে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এখানে নিরাশ হওয়ার মত কিছু নেই।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বলছে, গত ২৪ আগস্ট দিবাগত রাতে কুয়েত প্রবাসী রোকেন বড়ুয়ার মা সুখিবালা বড়ুয়া (৬৫), রোকেনের স্ত্রী মিলা বড়ুয়া (২৬), তাদের ছেলে রবিন বড়ুয়া (২) এবং রোকেলের ভাই শিপু বড়ুয়ার মেয়ে সনি বড়ুয়া (৬) কে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পরপরই পুলিশের বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং পিবিআই ও সিআইডির বিশেষ টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে। এছাড়াও মামলার বাদী ও সাক্ষীসহ প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেন তারা। এ ঘটনার পর ২৬ আগস্ট রাতে রোকেনের শশুর শশাংক বড়ুয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

প্রতিবেশী সুরেশ বড়ুয়া বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, হত্যাকারীরা কিভাবে ওই বাড়িতে প্রবেশ করেছে এ বিষয়টিকে তদন্ত কাজে গুরুত্ব দিলে রহস্য উদঘাটন সম্ভব হবে। প্রায় দুই সপ্তাহ পার হলেও এখনো কোন ফলাফল না হওয়ায় চিন্তিত আমরা।

তবে কুয়েত প্রবাসী রোকন বড়ুয়া মা, স্ত্রী ও সন্তানকে হারিয়ে নির্বাক। ঘটনার দুই সপ্তাহ পার হলেও রহস্য বা কোন আসামি আটক না হওয়ায় তিনি অনেকটা হতাশ বলে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান।

রোকন বলেন, তার পরিবারের কারো সঙ্গে এমন নৃসংশ ঘটনা ঘটানোর মতো সম্পর্ক ছিল না। এক প্রতিবেশীর সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ থাকলেও এমন ঘটনা ঘটাবে কিনা তা নিয়ে চিন্তিত আমি।

তবে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে আন্তরিকতা নিয়ে তার কোন প্রশ্ন নেই জানিয়ে রোকন বলেন, দুই সপ্তাহ পার হলেও এখনো খুনিরা আটক না হওয়ায় তিনি হতাশ।

এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) নুরুল ইসলাম মজুমদার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশ নিরলসভাবে তদন্ত করে যাচ্ছে। ঘটনার বিষয়ে সার্বক্ষণিক পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও খবর রাখছেন।

হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত জানিয়ে তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডে ঘনিষ্ট কেউ জড়িত থাকতে পারে। আর তারা (হত্যাকারীরা) যে পথ প্রবেশ দিয়ে করুক না কেন ছাদের উপর দিয়ে বেরিয়ে গেছে এটা নিশ্চিত। পরিচিত কেউ ছাড়া ছাদ দিয়ে যে বের হওয়া যায় তা তো কেউ জানবে না।

নুরুল ইসলাম মজুমদার আরও বলেন, এ পর্যন্ত প্রতিবেশীসহ ২০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। যাকেই তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন মনে করেছি তাকেই থানায় এনেছি। তবে এখনো হতাশ হওয়ার কিছুই নেই বলে মন্তব্য করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;