শিক্ষকের লাথিতে হাসপাতালে ছাত্র
লক্ষ্মীপুরে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) শিক্ষক শামছুল আলমের লাথিতে মো. রায়হান খন্দকার (১৬) নামে এক ছাত্র অচেতন হয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার খিলবাইছা এলাকায় টিটিসির ইলেকট্রিক্যাল ট্রেডের শ্রেণিকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রিয় গোবিন্দ নামে আরও এক ছাত্রকে লাথি মারে ওই শিক্ষক। রায়হান ইলেকট্রিক্যাল ট্রেডের দশম শ্রেণির ছাত্র ও সদর উপজেলার বিজয়নগর এলাকার সিরাজ উল্যা খন্দকারের ছেলে। অভিযুক্ত শামছুল আলম ওয়েল্ডিং ট্রেডের সিভিল ইন্সট্রাক্টর।
শিক্ষার্থীরা জানায়, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাসিক মূল্যায়ন পরীক্ষা চলছে। ঘটনার সময় ওই শিক্ষক প্রশ্নপত্র নিয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করেন। ফ্যান (পাখা) রেগুলেটর বাড়ানোর জন্য রায়হান বৈদ্যুতিক বোর্ডে হাত দেয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শিক্ষক শামছুল ছাত্র রায়হানের কোমরে লাথি মারেন। এতে সে অচেতন হয়ে পড়ে। ওই শিক্ষকের পায়ে বুট জুতা ছিল। রায়হান উদ্ধার করতে গেলে সহপাঠী প্রিয় গোবিন্দকেও শিক্ষক লাথি মারেন। খবর পেয়ে অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা রায়হানকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এর আগেও ওই শিক্ষকের হাতে কয়েকজন শিক্ষার্থী মারধরের শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মাহবুবুর রশিদ তালুকদার মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’