দৌলতদিয়ার ৬ ঘাটের ৩ ঘাটই বন্ধ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়ায় ৬টি ঘাটের মধ্যে বর্তমানে তিনটি ঘাটই বন্ধ রয়েছে। যার ফলে ফেরি ঘাটে পদ্মা নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় তিন শতাধিক যানবাহন।
প্রায় এক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে পদ্মা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়া দৌলতদিয়ার ১ ও ২ নং ঘাটটি। চারটি ঘাট দিয়ে যানবাহন নদী পার করছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু নিম্ন চাপের কারণে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হওয়ায় শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে চারটি ঘাটের মধ্যে ৩ নং ঘাটটি থেকে মাটি সরে যায়। ফলে ঘাট কর্তৃপক্ষ ৩ নং ঘাটটি আপাতত বন্ধ রেখে সংস্কারের কাজ শুরু করে।
বর্তমানে তিনটি ঘাট বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় যানবাহনের চাপ রয়েছে বলে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ( বিআইডব্লিউটিসি) কর্তৃপক্ষ।
ঘাট সংখ্যা কমে যাওয়ায় নদী পার হতে আসা যানবাহনগুলোকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে মহাসড়কে। বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে পণ্যবাহী ট্রাকগুলো। কারণ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঘাট কর্তৃপক্ষ যাত্রীবাহী বাসগুলোকে নদী পার করায় পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১টায় সরেজমিনে দেখা যায়, ৩ নং ঘাটটি সংস্কারের জন্য কাজ করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে দৌলতদিয়া ঘাটের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে নদী পারের জন্য প্রায় শতাধিক যানবাহন অপেক্ষা করছে। আর গোয়ালন্দ মোড়ে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে নদী পারের জন্য অপেক্ষা করছে প্রায় দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। নদী পারের জন্য প্রায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাদের।
কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা পণ্যবাহী ট্রাক চালক সালাম মোল্লা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘ভোর রাতে এখানে এসেছি। এখনো আমার আগে প্রায় শতাধিক যানবাহন রয়েছে।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ রনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় ৩নং ঘাটটি থেকে মাটি সরে যাওয়ায় তা আপাতত বন্ধ রয়েছে। আশা করছি সন্ধ্যার মধ্যেই কাজ শেষ হবে। ৩নং ঘাটটি সচল করতে পারলে চারটি ঘাট দিয়েই যানবাহন পারাপার করা যাবে। বর্তমান দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৩টি ফেরি চলাচল করছে বলেও তিনি জানান।’