ডিমওয়ালা ইলিশে বাজার ভরপুর
নিষেধাজ্ঞা শেষে লক্ষ্মীপুরের অর্ধ-লক্ষাধিক জেলে মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা মেতে উঠেছেন ইলিশ উৎসবে। তবে জেলেদের জালে সবচেয়ে বেশি ধরা পড়েছে মা-ইলিশ। এখন লক্ষ্মীপুরের মাছবাজারগুলো ভরপুর ডিমওয়ালা ইলিশে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে জেলা শহরের মাছ বাজারে প্রায় ৯০ শতাংশই ডিমওয়ালা ইলিশ দেখা গেছে। ডিমওয়ালা একটি ইলিশের ওজন হয়েছে দেড় কেজি। মাছটি একহাজার একশ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করা হয়েছে।
এদিকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষেও জেলে জালে ধরা পড়ছে মা-ইলিশ। আরো কয়েকদিন এ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকা উচিত ছিল বলে মনে করছেন সচেতন মহল। বাজারে ইলিশ কিনতে আসা কয়েকজন ক্রেতাও এমন কথাই জানিয়েছেন।
অন্যদিকে ডিমওয়ালা ইলিশ কিনতে ক্রেতাদের আগ্রহ কম। সবার আগ্রহ ডিমবিহীন ইলিশে। তবে ইলিশের ডিমেও আলাদা স্বাদ রয়েছে। যার কারণে ইলিশ কিনতে এসে ক্রেতারা খালি হাতে ফিরে যাচ্ছে না।
জানা গেছে, প্রতিটি মাছ ১০ টাকা হারে কেটে-কুটে নেওয়ার সুবিধা ক্রেতাদের ইলিশ কেনার হার আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ কিনতে এসে কম দামেই পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কয়েকজন ক্রেতা। এক একটি ইলিশের ওজন প্রায় ৮শ গ্রাম থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত।
কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ী জানান, মা-ইলিশ রক্ষায় ২২ দিন সরকার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। এখানকার জেলেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই নিষেধাজ্ঞা মেনে নদীতে যায়নি। নিষেধাজ্ঞা শেষে মেঘনায় ইলিশ শিকারে মেতে উঠেছে। তবে বেশিরভাগ ইলিশই ডিমওয়ালা।
জানতে চাইলে ক্রেতা রাকিব হোসেন বলেন, বাজারে বড় বড় ইলিশ পেয়েছি। তবে সবগুলো ইলিশ ডিমে ভরপুর। ডিমের কারণে মাছের স্বাদ কমে যায়। আবার ইলিশের ডিম খেতে বেশ মজার।
লক্ষ্মীপুর মাছ বাজারের ব্যবসায়ী মো. হিরন বলেন, আজ ঘাটে প্রচুর মাছ ধরা পড়েছে। কেজি প্রতি তাদের ৮ শ থেকে ৯ শ টাকা করে ঘাট থেকে মাছ কিনতে হয়েছে। তবে গত মৌসুম থেকে ইলিশের দাম এবার অনেক কম। গেল মৌসুমে এক কেজি ওজনের ইলিশ এক হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়েছে।