দুটি কিডনিই বিকল হয়ে গেছে উজ্জলের
দরিদ্র কৃষক বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলে লেখাপড়া শেষে চাকরি করে সংসারের হাল ধরবে। আর তাতে টানাপোড়েনের সংসারে ফুটবে হাসি। সে আশাতেই বুক বেঁধে নিত্যদিনের অনেক চাহিদা অপূর্ণ রেখেই ছেলের লেখাপড়ার খরচ চালিয়েছেন বাবা। আর এভাবেই দরিদ্র পরিবারের বড় ছেলে উজ্জল মিয়া (২৮) হয়ে উঠেছিল স্বপ্নের বাতিঘর।
কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। হঠাৎ স্বপ্নকাতর পিতা-মাতা জানতে পারেন ছেলে উজ্জলের দুই কিডনিই বিকল হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন দ্রুত কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা না হলে ছেলে আর বাঁচবে না। ছেলের এমন দুঃসংবাদে আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে দরিদ্র পিতা-মাতার অভাবের সংসারে। কী করবেন তারা! ছেলের জীবন বাঁচাতে সাহায্য কামনায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দিশেহারা হয়ে ঘুরছেন প্রতিবেশী, স্বজন-সুহৃদ আর জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় এ সাহায্য যে অতি সামান্য।
এমন অবস্থা ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের পিতা আহম্মদ আলী ও মা আনোয়ারা খাতুনের সংসারে।
জানা যায়, দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড় উজ্জল। ২০০৯-১০ সেশনে আনন্দ মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে সমাজ বিজ্ঞানে অনার্স শেষ করে কৃতিত্বের সাথে মাস্টার্স পাস করেন তিনি। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সংসারের হাল ধরার আগেই তার দু’টি কিডনি বিকল হয়ে এখন সে মৃত্যু পথযাত্রী।
উজ্জলের সহপাঠীরা জানায়, উজ্জলের চিকিৎসা ব্যয় বহন করার মত সামর্থ্য পরিবারের নেই। আমরা সাধ্যমত সাহায্যের চেষ্টা করছি। তবে তা খুবই নগণ্য। উজ্জলের জীবন বাঁচাতে হলে সরকার এবং বিত্তবানদের সহযোগিতা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
উজ্জলের বাবা আহম্মদ আলী জানান, গত এক মাস ধরে উজ্জলের সহপাঠী ও বন্ধুদের সহযোগিতায় চলছে চিকিৎসা। ডাক্তার বলেছে উজ্জলের জীবন বাঁচাতে হলে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা প্রয়োজন। এই সামর্থ্য আমার নেই।
মা আনোয়ারা খাতুন বলেন, ছেলে জীবন বাঁচাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দেশের হৃদয়বানদের কাছে সাহায্য কামনা করছি। তাদের সহযোগিতা-ই পারে আমার ছেলেকে সুস্থ করতে।
মেধাবী ছাত্র উজ্জল মিয়ার সাহায্য কামনা করে ডাচবাংলা ব্যাংক, কলতাপাড়া, ময়মনসিংহ শাখায় একটি একাউন্ট খোলা হয়েছে। একাউন্ট নাম্বার: ৭০১৭০১৯৯৯৭০৯৬ ও বিকাশ নাম্বার: ০১৯৩৭-৯২৩১৮২।