দ্বারে দ্বারে ঘুরেও মেলেনি মুক্তিযোদ্ধা সনদ



তোফায়েল হোসেন জাকির,ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,গাইবান্ধা
আমজাদ হোসেন ও তার পরিবার/ ছবি: বার্তা২৪.কম

আমজাদ হোসেন ও তার পরিবার/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘জীবনের মায়া ত্যাগ করে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম। আমার সহযোদ্ধারা সবাই বিজয়ের স্বাদ নিচ্ছেন। তারা পাচ্ছেন সরকারের নানা সুবিধা। অথচ প্রত্যয়নপত্র নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরেও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাইনি আমি। বছর শেষে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর শুরু হলেই মুক্তিযোদ্ধাদের মুখে হাসি ফুটে উঠে। অথচ বিজয়ের মাস ডিসেম্বর আসলেই আমার মন কাঁদে।’

কাঁদতে কাঁদতে এসব কথা বলেন গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের চকগোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা আমজাদ হোসেন।

১৯৭১ সালে আমজাদ হোসেন ছিলেন টগবগে যুবক। সে সময় দেশকে স্বাধীন করার নেশায় জীবনের মায়া ত্যাগ করে যুদ্ধে অংশ নেন লাখো যুবক। আমজাদ হোসেনও তাদের মধ্যে একজন। বর্তমানে তার বয়স প্রায় ৭৭ বছর। কিন্তু দারিদ্র্যের কষাঘাতে সীমাহীন কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে তাকে।

জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ১১নং সেক্টরের কমান্ডার আলতাফ হোসেন ও মনছুর আলীর অধীনে যুদ্ধ করেন। যুদ্ধ চলাকালীন মাদারগঞ্জ-মীরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন তিনি।

আমজাদ হোসেন যুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করলেও, আজ জীবনযুদ্ধে তিনি পরাজিত সৈনিক। দেশ স্বাধীনের ৪৮ বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো সরকারি সুযোগ-সুবিধা বা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি মেলেনি।

আমজাদ হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি বাংকার খনন ও রান্না করে মুক্তিবাহিনীর খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। স্থানীয় কবিরাজের বাড়ির পশ্চিমে একটি বাঁশঝাড়ের নিচে ২ নং বাংকার খনন করা হয়। এছাড়া সাদুল্লাপুর-বড় দড়গাহ রাস্তার পশ্চিম স্থানে হানাদার বাহিনীর চলাচল রোধ করতে রাস্তা কেটেছিলাম।’

এদিকে, ওই যুদ্ধে সফলভাবে অংশগ্রহণ করায় তৎকালীন সেক্টর কমান্ডার আমজাদ হোসেনকে একটি সনদপত্র দেন। কিন্তু দেশ স্বাধীনের পর আমজাদ হোসেনের বাড়িতে আগুন লেগে সনদপত্রটি পুড়ে যায়। পরবর্তীতে সাদুল্লাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড মেছের উদ্দিন এবং সাবেক সংসদ সদস্য আবু তালেব মিয়া স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হয় তাকে। এসব প্রত্যয়নপত্র নিয়ে বিভিন্ন জায়গা ঘুরেও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি আমজাদ হোসেন।

বর্তমানে এই অস্বীকৃত বীর যোদ্ধা স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে জীবনযাপন করছেন। তাই শেষ বয়সে সরকারের কাছে আকুতি করেছেন মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেতে।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আবদুর জলিল আজমী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমজাদ হোসেনকে নিয়ে আমি বিভিন্ন স্থানে সক্রিয়ভাবে যুদ্ধ করেছিলাম। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার স্বীকৃতি না পাওয়া খুবই দুঃখজনক।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;