সাভার এখন প্রাণবন্ত বিজয় নগরী
লাল সবুজ বাতিতে ঢাকা আরিচা মহাসড়ক ও সাভার আশুলিয়া সেজেছে বিজয়ের সাজে। এই লাল সবুজের আলোক বাতির ফাঁক থেকে বঙ্গবন্ধুর কন্ঠে ভেসে আসছে ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, আমার মনের আশা পূরণ হয়েছে’। বঙ্গবন্ধুর কন্ঠে ভেসে আসা দেশ স্বাধীনের কথা আর লাল সবুজ আলোকবর্তিকা যেনো প্রাণবন্ত বিজয় নগরীতে পরিণত হয়েছে সাভার।
দিবসটি উদযাপন ও সূর্য সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে রাজপথ থেকে শুরু করে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ সাজানো হয়েছে নানা সাজে। আলোকবাতি, সাজসজ্জা আর প্রস্তুতি দেখে মনে হচ্ছে বিজয়ের জন্য তাজা রক্ত ঢেলে দেওয়া বুকগুলো শ্রদ্ধার্ঘ গ্রহণের জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
রোবরার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সরেজমিনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও স্মৃতিসৌধের সামনে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটকসহ প্রাচীরগুলো আলোক বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। মহাসড়কের পাশে থাকা সরকারি ভবন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, বেসরকারি ও বাণিজ্যিক ভবনও সেজেছে লাল সবুজে আলোক বাতিতে।
এছাড়া ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার থেকে নবীনগর পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হয়েছে প্রজেক্টর। সেখানে দেখানো হচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসসহ তৎকালীন পত্রপত্রিকার খবর বিশেষ। আর এই ইতিহাস মনোযোগ দিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েই দেখছেন ও শুনছেন অনেক পথচারী।
যুদ্ধের ইতিহাস দেখা পথচারী সুমন বলেন, ‘আমরা যারা লেখাপড়া জানি না তাদের যুদ্ধের গর্বিত ইতিহাস জানার কোন সুযোগ নেই। আজ সুযোগ পেয়েছি যতক্ষণ চলবে তা দেখবো।’
অপর পথচারী আসিফ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সবার জানা নাই। আজ এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। এর মাধ্যমে সবাই যুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারবে। তবে শুধু বিজয় দিবসেই নয়, মাঝে মাঝে যুদ্ধের ইতিহাস সবাইকে জানানো ব্যবস্থা করলে বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে পারবে।
এ ব্যাপারে সাভার স্মৃতিসৌধের দায়িত্বরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাজনৈতিক ও দেশি-বিদেশি কূটনৈতিক ব্যক্তিবর্গের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আলোকসজ্জাসহ স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ পুরোপুরি প্রস্তুত করা হয়েছে।
শুধু বিজয় দিবস নয়, প্রতিটি দিনই এই বিজয়ের গৌরব মাখা উচ্ছ্বাসে মুখরিত থাকবে বাঙালির মনে প্রাণে, এমনটাই প্রত্যাশা সবার।