মরিচে স্বপ্ন বুনছেন গাইবান্ধার চরাঞ্চলের চাষিরা

  • তোফায়েল হোসেন জাকির, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মরিচে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক, ছবি: বার্তা২৪.কম

মরিচে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক, ছবি: বার্তা২৪.কম

শীত মৌসুমে ব্রহ্মপুত্র নদের বুকে জেগে ওঠে ছোট-বড় অসংখ্য চর। এসব চরে এখন পা পড়েছে মানুষের। সবুজে সবুজে ভরে গেছে চরগুলো। থোকায় থোকায় ধরেছে কাঁচামরিচ। গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ব্রহ্মপুত্রের চরে প্রতি বছর এভাবেই মরিচের চাষ হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। এই ফসল ঘিরে স্বপ্নের জাল বুনছেন এখানকার কৃষক।

উত্তর জনপদের নদীবেষ্টিত জেলা গাইবান্ধা। প্রতিবছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হন এ জেলার নদী তীরবর্তী মানুষ। আর তাদের ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করে নদ-নদীতে জেগে ওঠা বালুচরে মরিচের আবাদ।

বিজ্ঞাপন

বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর জেলার ফুলছড়ি উপজেলার নদীর তীরে জেগে উঠেছে খাটিয়ামারী, এরেন্ডাবাড়ী জিগাবাড়ী, হরিচন্ডি, বুলবুলি, জিয়াডাঙ্গা ও গুপ্তমনি চরসহ অসংখ্য চরাঞ্চল।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সবুজে ছেয়ে আছে মরিচের ক্ষেতগুলো। যেদিকে চোখ যায় শুধু সবুজের রঙে দোল খাচ্ছে মরিচ আর মরিচের ক্ষেত। কোথাও কোথাও চোখের দৃষ্টিসীমাকেও ছাপিয়ে যায়। 

বিজ্ঞাপন

খাটিয়ামারী চরের কৃষক আব্দুল মান্নান মিয়া বলেন, এই চরে ভুট্টা, বাদাম মরিচসহ বেশ কিছু ফসল উৎপাদন হয়। এর মধ্যে মরিচ চাষ অত্যন্ত লাভজনক ফসল। প্রতিবছরের মতো এবারও তিন বিঘা জমিতে (বালুচরে) মরিচ চাষ করেছি। আশা করছি লাভের মুখ দেখবো।

জিগাবাড়ী চরের কৃষক সেকেন্দার আলী বলেন, মরিচ চাষে অল্প খরচে অধিক লাভবান হওয়া যায়। মরিচ আবাদে কীটনাশক, জমির সেচ, বীজ, সার, শ্রমিক খরচ দিয়ে বিঘাপ্রতি ১৫ হাজার টাকা খরচ করে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।

তিনি বলেন, চরাঞ্চলগুলোতে কৃষি বিভাগের লোক তেমন আসেন না। তারা যদি নিয়মিত আসতেন তাহলে অধিক ফলন পাওয়া যেত।

ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি অফিসার ফাতেমা কাওসার মিশু বার্তা২৪.কমকে বলেন, চরাঞ্চলের মরিচ চাষিদের লাভবান করতে তাদেরকে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যাতে করে অধিক ফসল পান তারা। আশা করছি এবার তারা লাভের মুখ দেখবেন।