৮ মাসে তিন ব্যাংকে চুরি, হদিস নেই টাকা-আসামির
কুমিল্লার ব্যাংকগুলোতে বাড়ছে টাকা চুরির ঘটনা। গত আট মাসে জেলার দুটি ব্যাংক ও একটি এটিএম বুথে চুরির ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করলেও টাকা কিংবা ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
গত ৩ ডিসেম্বর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়ার বাজারে কৃষি ব্যাংকের শাখায় চুরির ঘটনা ঘটে। ওইদিন গভীর রাতে চোরের দল জানালার গ্রিল কেটে ব্যাংকের ভিতরে থাকা আলমিরার তালা ভেঙ্গে নগদ ১১ লাখ ১৫ হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ৪ ডিসেম্বর (বুধবার) বিকেলে ব্যাংকের ওই শাখা ম্যানেজার মো. শাকিব ছালেহীন বাদী হয়ে সন্দেহভাজন অভিযুক্ত হিসেবে সিকিউরিটি গার্ড মো. সেলিমকে আসামী করে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তবে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে ওই ব্যাংকে চুরির ঘটনায় জড়িতরা। এছাড়া উদ্ধার হয়নি টাকাও।
এর আগে গত ১৬ নভেম্বর রাতে পূবালী ব্যাংকের কুমিল্লার প্রধান শাখা কান্দিরপাড় এটিএম বুথের মেশিন থেকে তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা চুরি হয়। অত্যাধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে বুথের মেশিন খুলে একজন ব্যক্তি এই টাকা চুরি করে। যা পরবর্তীতে সিসিটিভি’র ফুটেজে শনাক্ত করা হয়।
চুরির ঘটনার চারদিন পর কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন শাখার ব্যবস্থাপক মাইনুল ইসলাম। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছেন জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তবে ঘটনার দেড় মাস হতে চললেও এখনো কোন আসমিকে গ্রেফতার বা খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এছাড়া চলতি বছরের ২৯ মে রাতে কুমিল্লার দেবিদ্বারে কৃষি ব্যাংকের জানালার গ্রিল কেটে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে প্রায় ৫ লাখ ৮৮ হাজার টাকা চুরির ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি ঘটে দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী ইউনিয়নের ধামতী আলিয়া কামিল মাদ্রাসা কৃষি ব্যাংক শাখায়। এখন পর্যন্ত ওই ঘটনায় কোন আসামি আটক বা চুরি হওয়া টাকা উদ্ধার হয়নি।
ব্যাংকের ওই শাখার ব্যবস্থাপক শেখ মাহবুব হোসেন জানান, চুরির ঘটনায় দেবিদ্বার থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে বলে সব সময় জানায়। তবে এখনও কোন আসামি গ্রেফতার বা চুরি হওয়া টাকা উদ্ধার করতে পারেনি তারা।
জানতে চাইলে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, কুমিল্লায় ব্যাংকে চুরির ঘটনাগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে সফলতা পাবো।
তিনি বলেন, ব্যাংকে চুরিরোধে কর্তৃপক্ষের আরো সচেতন হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে মিয়ার বাজারে কৃষি ব্যাংকের শাখায় একটি সিসি ক্যামেরাও ছিলো না। এসব বিষয়ে আরো বেশি সচেতন হতে হবে।